হাওরের সোনালী ফসলের হাসি থাকতে হবে কৃষকের মুখেও কৃষিমন্ত্রী

কিশোরগঞ্জের দিগন্ত বিস্তৃত হাওরাঞ্চল বোরো ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। এখানে থাকে আগাম বন্যার ছোবল। আবার ধানকাটা শ্রমিকেরও থাকে সংকট। ফলে বন্যার আগেই ধান কেটে আনার জন্য এখন হাওরে ভর্তুকি মূল্যে সরকার দিচ্ছে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার নামে ধান কাটার যন্ত্র। এসব যন্ত্রে ধানকাটা উদ্বোধন করতে মিঠামইনের হাওরে গেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি গতকাল ঢাকা থেকে সকালে মিঠামইনের হাওরে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সরকারের ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার বিতরণ করেন এবং এসব যন্ত্রে ধান কাটা পরিদর্শন করেন। এর আগে মিঠামইন সাদরের হাওরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, দিগন্ত বিস্তৃত হাওরের সোনালী ফসলের হাসি কৃষকের মুখেও সরকার ধরে রাখতে চায়। সেই কারণেই কৃষিকে লাভজনক করে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার উদারভাবে সার, বীজ ও সেচসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার খাদ্য সংকটের মতো চরম একটি দুর্যোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে আর কৃষি জমি কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও রয়েছে। এর সঙ্গে করোনা মহামারী যুক্ত হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জটিল করে তুলছে। কিন্তু সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে কৃষি উৎপাদনের চাকা সচল রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত সরকার খাদ্য নিয়ে জনগণকে বড় কোন সমস্যায় পড়তে দেয়নি। কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, হাওরে একটি মাত্র বোরো ফসল হয়। ফলে এর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আপনাদের উন্নত হাইব্রিড জাতের বীজ দেব। এগুলো আবাদ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

হাওরাঞ্চলের বোরো ধান কয়েক বছর পরপর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছর এবং এ বছর অন্যান্য জেলা থেকে কৃষি শ্রমিক আসার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার এবার কিশোরগঞ্জের ১০৮টি ইউনিয়নের মধ্যে হাওর অধ্যুষিত ৬০টি ইউনিয়নের জন্য ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার বরাদ্দ দিয়েছে। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন মূলত আগাম জাতের ব্রিধান-২৮ এবং হাইব্রিড ধান কাটা হচ্ছে।

আরও খবর
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার অভাবে পুরান ঢাকায় মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে : টিআইবি
ঢাকামুখী মানুষের ঢল
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের কঠোর লকডাউন কাদের
কারাগারে হেফাজত নেতাদের বিধিবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগ
জঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানে ছিলেন মামুনুল পুলিশ
সপ্তম দফা ভোট আজ সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর ইসি
গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ তিনজন গ্রেপ্তার
করোনা মোকাবিলায় ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে রীমা রানী দাশ
চট্টগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া দুই ইমাম গ্রেপ্তার
নির্মাণকাজে বিল জালিয়াতি

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

হাওরের সোনালী ফসলের হাসি থাকতে হবে কৃষকের মুখেও কৃষিমন্ত্রী

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের দিগন্ত বিস্তৃত হাওরাঞ্চল বোরো ধান উৎপাদনের প্রধান এলাকা। এখানে থাকে আগাম বন্যার ছোবল। আবার ধানকাটা শ্রমিকেরও থাকে সংকট। ফলে বন্যার আগেই ধান কেটে আনার জন্য এখন হাওরে ভর্তুকি মূল্যে সরকার দিচ্ছে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার নামে ধান কাটার যন্ত্র। এসব যন্ত্রে ধানকাটা উদ্বোধন করতে মিঠামইনের হাওরে গেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি গতকাল ঢাকা থেকে সকালে মিঠামইনের হাওরে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সরকারের ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার বিতরণ করেন এবং এসব যন্ত্রে ধান কাটা পরিদর্শন করেন। এর আগে মিঠামইন সাদরের হাওরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, দিগন্ত বিস্তৃত হাওরের সোনালী ফসলের হাসি কৃষকের মুখেও সরকার ধরে রাখতে চায়। সেই কারণেই কৃষিকে লাভজনক করে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার উদারভাবে সার, বীজ ও সেচসহ বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার খাদ্য সংকটের মতো চরম একটি দুর্যোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি বছর জনসংখ্যা বাড়ছে আর কৃষি জমি কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও রয়েছে। এর সঙ্গে করোনা মহামারী যুক্ত হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জটিল করে তুলছে। কিন্তু সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে কৃষি উৎপাদনের চাকা সচল রয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত সরকার খাদ্য নিয়ে জনগণকে বড় কোন সমস্যায় পড়তে দেয়নি। কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, হাওরে একটি মাত্র বোরো ফসল হয়। ফলে এর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আপনাদের উন্নত হাইব্রিড জাতের বীজ দেব। এগুলো আবাদ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

হাওরাঞ্চলের বোরো ধান কয়েক বছর পরপর আগাম বন্যায় তলিয়ে যায়। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছর এবং এ বছর অন্যান্য জেলা থেকে কৃষি শ্রমিক আসার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকার এবার কিশোরগঞ্জের ১০৮টি ইউনিয়নের মধ্যে হাওর অধ্যুষিত ৬০টি ইউনিয়নের জন্য ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার ও রিপার বরাদ্দ দিয়েছে। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন মূলত আগাম জাতের ব্রিধান-২৮ এবং হাইব্রিড ধান কাটা হচ্ছে।