গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ তিনজন গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে (৪২) শনিবার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নলিয়াপাড়া গ্রামের লতিফ ম-লের ছেলে। আগে শনিবার ভোররাতে নলিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত জব্বার প্রামানিকের ছেলে ইসহাক প্রামানিক (৪৫) ও সিরাজ প্রামানিকের ছেলে রেদোয়ান প্রামানিককে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। ইসহাক ও রেদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় সহযোগিতা করেন। দিকে অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ দূর স্থানীয় নলিয়াপাড়া গ্রামের প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ির কাছে পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয় জাহাঙ্গীর মণ্ডল স্থানীয় জব্বার ইসহাক প্রামানিক ও রেদোয়ান প্রামানিকসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে রাস্তার ওপর থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। কিশোরী বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা খুঁজতে থাকেন।

প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পর অপহরণকারীদের স্থানীয়ভাবে চাপ সৃষ্টি করলে দুই দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছে স্কুলছাত্রীকে অপহরণকারী জাহাঙ্গীর মণ্ডল রেখে যায়। পরে পরিবারের কাছে স্কুলছাত্রী জানায়, জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অজ্ঞাত স্থানের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

পরদিন ঢাকার গাবতলী এলাকার অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে সেখানেও তাকে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর মণ্ডল।

গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে প্রধান, ইসহাক ও রেদোয়ানকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এর আগে শুক্রবার মামলা দায়েরের পর ওই দিন দিবাগত রাত চারটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ইসহাক ও রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও খবর
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার অভাবে পুরান ঢাকায় মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে : টিআইবি
ঢাকামুখী মানুষের ঢল
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের কঠোর লকডাউন কাদের
কারাগারে হেফাজত নেতাদের বিধিবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগ
হাওরের সোনালী ফসলের হাসি থাকতে হবে কৃষকের মুখেও কৃষিমন্ত্রী
জঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানে ছিলেন মামুনুল পুলিশ
সপ্তম দফা ভোট আজ সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর ইসি
করোনা মোকাবিলায় ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে রীমা রানী দাশ
চট্টগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া দুই ইমাম গ্রেপ্তার
নির্মাণকাজে বিল জালিয়াতি

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ তিনজন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে (৪২) শনিবার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নলিয়াপাড়া গ্রামের লতিফ ম-লের ছেলে। আগে শনিবার ভোররাতে নলিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত জব্বার প্রামানিকের ছেলে ইসহাক প্রামানিক (৪৫) ও সিরাজ প্রামানিকের ছেলে রেদোয়ান প্রামানিককে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। ইসহাক ও রেদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় সহযোগিতা করেন। দিকে অষ্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে কয়েকশ গজ দূর স্থানীয় নলিয়াপাড়া গ্রামের প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়ির কাছে পৌঁছায়। এ সময় স্থানীয় জাহাঙ্গীর মণ্ডল স্থানীয় জব্বার ইসহাক প্রামানিক ও রেদোয়ান প্রামানিকসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে রাস্তার ওপর থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। কিশোরী বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা খুঁজতে থাকেন।

প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার পর অপহরণকারীদের স্থানীয়ভাবে চাপ সৃষ্টি করলে দুই দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছে স্কুলছাত্রীকে অপহরণকারী জাহাঙ্গীর মণ্ডল রেখে যায়। পরে পরিবারের কাছে স্কুলছাত্রী জানায়, জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানার অজ্ঞাত স্থানের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

পরদিন ঢাকার গাবতলী এলাকার অজ্ঞাত এক বাড়িতে নিয়ে সেখানেও তাকে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন জাহাঙ্গীর মণ্ডল।

গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে প্রধান, ইসহাক ও রেদোয়ানকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর মণ্ডলকে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। এর আগে শুক্রবার মামলা দায়েরের পর ওই দিন দিবাগত রাত চারটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ইসহাক ও রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।