ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে লোকজন জড়ো করে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় শনিবার রাতে দুই ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার ঘাটুরার বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে বেলালি ও ঘাটুরা হরিনাদি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা ইকবাল হোসেন।
তান্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই দুজন ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৯ জনে।
পুলিশের সূত্রটি আরও জানায়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়।
উল্লেখ্য, হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডব চালিয়ে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী ও অঙ্গসহযোগী নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান।
সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে লোকজন জড়ো করে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় শনিবার রাতে দুই ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার ঘাটুরার বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে বেলালি ও ঘাটুরা হরিনাদি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা ইকবাল হোসেন।
তান্ডবের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই দুজন ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৯ জনে।
পুলিশের সূত্রটি আরও জানায়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি ও সরাইল থানায় দুটিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়।
উল্লেখ্য, হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডব চালিয়ে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী ও অঙ্গসহযোগী নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান।