নির্মাণকাজে বিল জালিয়াতি

তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মাসেও দাখিল হয়নি

রংপুর সিটি করপোরেশনে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত নির্মাণ কাজের ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে এক কোটি তিন লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল জালিয়াতির ঘটনার খবর দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ ৭ মাসেও তদন্ত করা হয়নি এবং প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এমজিএসএফ প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশন দরপত্র আহ্বান করে। প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১০ কাজটি নগরীর গুপ্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা পান যার প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৯ কোটি টাকা। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের বিপরীতে পাঁচ দফা চলতি বিল গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ৬ষ্ঠ ফাইনাল বিল দাখিল করেন যার টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ওই বিলে ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা স্বাক্ষর করেন। এরপর ফাইনাল বিলটি বিভিন্ন দপ্তরের স্বাক্ষর হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের কাছে পাঠিয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ফাইনাল বিল প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন।

এদিকে প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করপোরেশনের কাজে ঢাকায় গেলে এ সুযোগটি গ্রহণ করেন ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা। তিনি ফাইনাল বিলের পুরো কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের যোগসাজশে এক কোটি ১০ লাখ টাকার বিলকে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা বানিয়ে নতুন করে অতিরিক্ত এক কোটি তিন লাখ টাকা বেশি দেখিয়ে ফাইনাল বিল প্রকৌশল বিভাগে দাখিল করেন।

সেই ভুয়া বিল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ছাড়াই প্রকৌশল বিভাগ থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিলটির ব্যাপারে সন্দেহ হলে তিনি বিলটি দেখে স্বাক্ষর করবেন বলে রেখে দেন। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। তিনি তার স্বাক্ষর করা এক কোটি ১০ লাখ টাকার বিল কিভাবে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা হলো দেখে হতবাক হন।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে বিষয়টি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানকে জানানো হয়। তাক্ষণিক মেয়র এ ঘটনা তদন্তের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. জাফরকে প্রধান করে সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক ও রাবিদ আল আমিনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খায়রুল কবীর রানা নির্বাহী প্রকৌশলী আযম আলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৫ টাকা অতিরিক্ত বিল প্রদানের অভিযোগ আনা হয়।

এ সংক্রান্ত খবর দৈনিক সংবাদে গত বছরের ৪ জুন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সিটি করপোরেশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলে তদন্ত কমিটি ঘটনার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আযম, সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও শুধুমাত্র সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাসপেন্ড করার আদেশ দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর ৫৭৮ তারিখ ১৮.০৫.২০ইং। একই অভিযোগে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আযমকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হয়। এ সংক্রান্ত ফলোআপ খবর গত বছর ১৪ জুলাই দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজনীন ওয়ারেছ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রদান করে। যার স্মারক নম্বর ৫৬৬ তারিখ ২২/০৯/২০ইং।

কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরও কোন তদন্ত করা হয়নি এবং কোন প্রতিবেদন দীর্ঘ ৭ মাসেও দাখিল করা হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহাম্মেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কেন একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কিন্তু সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এই তদন্ত কমিটিও তদন্ত শুরু করেনি বরং পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বিশেষ করে ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা ও অন্যান্য দায়ী কর্মকর্তাদের বাঁচাতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

আরও খবর
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জবাবদিহিতার অভাবে পুরান ঢাকায় মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে : টিআইবি
ঢাকামুখী মানুষের ঢল
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের কঠোর লকডাউন কাদের
কারাগারে হেফাজত নেতাদের বিধিবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগ
হাওরের সোনালী ফসলের হাসি থাকতে হবে কৃষকের মুখেও কৃষিমন্ত্রী
জঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানে ছিলেন মামুনুল পুলিশ
সপ্তম দফা ভোট আজ সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর ইসি
গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ তিনজন গ্রেপ্তার
করোনা মোকাবিলায় ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে রীমা রানী দাশ
চট্টগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া দুই ইমাম গ্রেপ্তার

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

রংপুর সিটি করপোরেশন

নির্মাণকাজে বিল জালিয়াতি

তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মাসেও দাখিল হয়নি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর সিটি করপোরেশনে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত নির্মাণ কাজের ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে এক কোটি তিন লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল জালিয়াতির ঘটনার খবর দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ ৭ মাসেও তদন্ত করা হয়নি এবং প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এমজিএসএফ প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশন দরপত্র আহ্বান করে। প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১০ কাজটি নগরীর গুপ্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা পান যার প্রাক্কলিত মূল্য ছিল ৯ কোটি টাকা। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের বিপরীতে পাঁচ দফা চলতি বিল গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ৬ষ্ঠ ফাইনাল বিল দাখিল করেন যার টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। ওই বিলে ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা স্বাক্ষর করেন। এরপর ফাইনাল বিলটি বিভিন্ন দপ্তরের স্বাক্ষর হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের কাছে পাঠিয়ে এক কোটি ১০ লাখ টাকা ফাইনাল বিল প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন।

এদিকে প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী করপোরেশনের কাজে ঢাকায় গেলে এ সুযোগটি গ্রহণ করেন ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা। তিনি ফাইনাল বিলের পুরো কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের যোগসাজশে এক কোটি ১০ লাখ টাকার বিলকে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা বানিয়ে নতুন করে অতিরিক্ত এক কোটি তিন লাখ টাকা বেশি দেখিয়ে ফাইনাল বিল প্রকৌশল বিভাগে দাখিল করেন।

সেই ভুয়া বিল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর স্বাক্ষর ছাড়াই প্রকৌশল বিভাগ থেকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিলটির ব্যাপারে সন্দেহ হলে তিনি বিলটি দেখে স্বাক্ষর করবেন বলে রেখে দেন। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঢাকা থেকে রংপুরে আসেন। তিনি তার স্বাক্ষর করা এক কোটি ১০ লাখ টাকার বিল কিভাবে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা হলো দেখে হতবাক হন।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে বিষয়টি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানকে জানানো হয়। তাক্ষণিক মেয়র এ ঘটনা তদন্তের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. জাফরকে প্রধান করে সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক ও রাবিদ আল আমিনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খায়রুল কবীর রানা নির্বাহী প্রকৌশলী আযম আলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৯৫ টাকা অতিরিক্ত বিল প্রদানের অভিযোগ আনা হয়।

এ সংক্রান্ত খবর দৈনিক সংবাদে গত বছরের ৪ জুন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সিটি করপোরেশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলে তদন্ত কমিটি ঘটনার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আযম, সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও শুধুমাত্র সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাসপেন্ড করার আদেশ দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর ৫৭৮ তারিখ ১৮.০৫.২০ইং। একই অভিযোগে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আযমকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হয়। এ সংক্রান্ত ফলোআপ খবর গত বছর ১৪ জুলাই দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজনীন ওয়ারেছ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রদান করে। যার স্মারক নম্বর ৫৬৬ তারিখ ২২/০৯/২০ইং।

কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরও কোন তদন্ত করা হয়নি এবং কোন প্রতিবেদন দীর্ঘ ৭ মাসেও দাখিল করা হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আহাম্মেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কেন একজন জুনিয়র কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কিন্তু সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এই তদন্ত কমিটিও তদন্ত শুরু করেনি বরং পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বিশেষ করে ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা ও অন্যান্য দায়ী কর্মকর্তাদের বাঁচাতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।