করোনা কেড়েছে সবকিছু তবুও ভরসা আম গাছেই

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়লেও দেশের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদনকারী রাজশাহী অঞ্চলের আম বাগানগুলোয় দিকে চেয়ে আছে আম চাষিরা। চারিদিকে লকডাউন। আমচাষিরা যথাযথ যতœআত্তি করতে পারছে না আমের তবুও ভরসা গাছে আম। আর মাস খানেকের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে পাকা আমের মওসুম। চলতি মওসুমে এবারো গাছে গাছে মুকুল এসেছিল। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে তা ফুটতে বিঘœ ঘটে। বিশেষ করে চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বাঘায়। মুকুল দেখে ভালো ফলনের আশা করলে পরে অনেকটা কমে যায়। তারপর গাছে গাছে যা আম আছে তা মন্দ নয়।

রাজশাহী অঞ্চলে গাছে গাছে আমের দুলুনি বলে দিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন মন্দ হবে না।

গাছের ডালে ডালে যখন আমের প্রচুর মুকুল। সেই মুকুল দেখে আমচাষিরা আশায় বুকে বেধেছিলেন। তারা মনে করেছিলেন এবার বুঝি আমের ভালো ফলন হবে। প্রথম দিকে ঘন কুয়াশায় কিছু মুকুল নষ্ট হয়। এরপর কিছু হালকা বৃষ্টি হলেও দীর্ঘ ৬ মাস বৃষ্টির দেখা নেই রাজশাহীতে। গত বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। এরপর সন্ধ্যায় নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় যে আমচাষিরা আশাহত হয়েছিলেন এই বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবার আশান্বিত হয়েছেন তারা। তবে দীর্ঘ ৬ মাস বৃষ্টির দেখা না হওয়ায় প্রায় ৫০ ভাগ আমের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহীর আমচাষি শহিদুর রহমান। বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হলেও তার ৩৫ বিঘার আমের বাগান রয়েছে নিয়ামত পুরে। সে নিয়মিত আম বাগানের পরিচর্চা করেও গাছের আম রক্ষা করতে পারেননি বলে জানান।

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

করোনা কেড়েছে সবকিছু তবুও ভরসা আম গাছেই

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়লেও দেশের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদনকারী রাজশাহী অঞ্চলের আম বাগানগুলোয় দিকে চেয়ে আছে আম চাষিরা। চারিদিকে লকডাউন। আমচাষিরা যথাযথ যতœআত্তি করতে পারছে না আমের তবুও ভরসা গাছে আম। আর মাস খানেকের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে পাকা আমের মওসুম। চলতি মওসুমে এবারো গাছে গাছে মুকুল এসেছিল। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে তা ফুটতে বিঘœ ঘটে। বিশেষ করে চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বাঘায়। মুকুল দেখে ভালো ফলনের আশা করলে পরে অনেকটা কমে যায়। তারপর গাছে গাছে যা আম আছে তা মন্দ নয়।

রাজশাহী অঞ্চলে গাছে গাছে আমের দুলুনি বলে দিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন মন্দ হবে না।

গাছের ডালে ডালে যখন আমের প্রচুর মুকুল। সেই মুকুল দেখে আমচাষিরা আশায় বুকে বেধেছিলেন। তারা মনে করেছিলেন এবার বুঝি আমের ভালো ফলন হবে। প্রথম দিকে ঘন কুয়াশায় কিছু মুকুল নষ্ট হয়। এরপর কিছু হালকা বৃষ্টি হলেও দীর্ঘ ৬ মাস বৃষ্টির দেখা নেই রাজশাহীতে। গত বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। এরপর সন্ধ্যায় নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় যে আমচাষিরা আশাহত হয়েছিলেন এই বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবার আশান্বিত হয়েছেন তারা। তবে দীর্ঘ ৬ মাস বৃষ্টির দেখা না হওয়ায় প্রায় ৫০ ভাগ আমের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহীর আমচাষি শহিদুর রহমান। বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় হলেও তার ৩৫ বিঘার আমের বাগান রয়েছে নিয়ামত পুরে। সে নিয়মিত আম বাগানের পরিচর্চা করেও গাছের আম রক্ষা করতে পারেননি বলে জানান।