মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত শ্বশুর

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে সাইদুর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

তার স্ত্রীর শাহনাজ রহমান জানান, তার মেয়ে সাদিয়া রহমানের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে ইব্রাহিম নামে একজনের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। তাদের দুই সন্তান। জামাই ও মেয়ে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় থাকতেন। মেয়ের জামাই ইব্রাহিম হোটেল ব্যবসা করতেন। তাকে হোটেল ব্যবসার জন্য আমরা অনেক টাকা দিয়েছি। পাশাপাশি তিনি মাদকাসক্ত। প্রায় সময় তার মেয়েকে মারধর করতেন। গত পাঁচ মাস আগে মেয়েকে মারধরের কারণে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কলেজ রোড এলাকায় তাকে আমরা নিয়ে আসি। মেয়েকে নির্যাতনের কারণে ইব্রাহিমকে আসামি করে একটা মামলাও দিয়েছি।

রোববার সকালে ইব্রাহিমসহ ৫ জন আমাদের বাসায় প্রবেশ করে আমার মেয়ে সাদিয়াকে মারধর করতে থাকে। এই মারধরের বাধা দেয় আমার স্বামী সাইদুর রহমান। এতে জামাই ক্ষিপ্ত হয়ে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এখন তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তার রক্ত লাগবে। অবস্থা আশঙ্কাজনক চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত শ্বশুর

মেডিকেল বার্তা পরিবেশক

মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মাদকাসক্ত জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে সাইদুর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

তার স্ত্রীর শাহনাজ রহমান জানান, তার মেয়ে সাদিয়া রহমানের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে ইব্রাহিম নামে একজনের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। তাদের দুই সন্তান। জামাই ও মেয়ে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় থাকতেন। মেয়ের জামাই ইব্রাহিম হোটেল ব্যবসা করতেন। তাকে হোটেল ব্যবসার জন্য আমরা অনেক টাকা দিয়েছি। পাশাপাশি তিনি মাদকাসক্ত। প্রায় সময় তার মেয়েকে মারধর করতেন। গত পাঁচ মাস আগে মেয়েকে মারধরের কারণে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কলেজ রোড এলাকায় তাকে আমরা নিয়ে আসি। মেয়েকে নির্যাতনের কারণে ইব্রাহিমকে আসামি করে একটা মামলাও দিয়েছি।

রোববার সকালে ইব্রাহিমসহ ৫ জন আমাদের বাসায় প্রবেশ করে আমার মেয়ে সাদিয়াকে মারধর করতে থাকে। এই মারধরের বাধা দেয় আমার স্বামী সাইদুর রহমান। এতে জামাই ক্ষিপ্ত হয়ে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। এখন তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। তার রক্ত লাগবে। অবস্থা আশঙ্কাজনক চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।