রাসায়নিক গুদাম : ফি বছর মানুষ কেন অঙ্গার হয়?

মীর আব্দুল আলীম

কয়েক শত মানুষ জীবন্ত আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পরও পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানো যায়নি। শত নির্দেশনাও কাজে লাগেনি। তাই আবারও পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২১ জন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন আরমানিটোলা খেলার মাঠের পাশে একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এত প্রাণহানির পরেও বোধোদয় হয় না। জনগণ সচেতন হয় না; রাষ্ট্র সজাগ হয় না। তাই কেমিক্যাল গোডাউন পুরান ঢাকা থেকে সরেনি। হয়তো সরবেও না। কেমিক্যাল গোডাউন ঢাকা শহর থেকে সরানোর দরকার নেই বরং পুরান শহরের মানুষগুলো সরিয়ে বনজঙ্গলে নিয়ে যান। মানুষের জীবন তো বাঁচানো চাই! তাতে মানুষ নিরাপদ হবে; ঝামেলা চুকে যাবে। চকবাজারে যা ঘটেছে সেই ২০১০ সালে নিমতলীতে একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলে চকবাজারে পুনরাবৃত্তি হতো না। শত অঙ্গার হওয়া লাশ আর আমাদের দেখতে হতো না। নিমতলীর মর্মান্তিক ঘটনার পর কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরানোর দাবি ওঠে। সরকারও নড়ে চড়ে বসে। শোক শেষ হলে বেমালুম ভুলে যায় সবাই। গোডাউন সরেনি বরং ফুলে ফেঁপে গোডাউনের সংখ্যা বেড়েছে। লাইসেন্স দেয়া হয়েছে নতুনদের। তাই যা হওয়ার তাই হয়েছে। ফি বছর অঙ্গার হচ্ছে মানুষ। মানুষের পোড়া হাঁড়, মাংসের গন্ধে গোটা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় দুমড়েমুচড়ে দিচ্ছে তবুও সংশ্লিষ্টদের হৃদয়ে তা নাড়া দিচ্ছে না।

আমরা সব ভুলে যাই। এবারের আরমানিটোলা খেলার মাঠের ছয়তলা ভবনে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাও ভুলে যাবে। ভোলারাম বাঙালি বলে কথা! মানুষ শোক ভুলবে; সরকার কর্তব্য করতে ভুলবে। আবারও পাশের কোন গোডাউনে আগুন লাগবে। আবারও মানুষ মরে কয়লা-কাবাব হবে। মানুষের জীবনের কি আর দাম আছে? থাকলে ব্যস্ত এলাকা থেকে কবেই গোডাউনগুলো সরে যেত। নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গোডাউন সরানোর প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ বছর সময় লাগতো না। এভাবে একের পর এক মানুষ অঙ্গার হতো না। প্রকৃতপক্ষে এ দায় কার? এর সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারবে না।

নিমতলী থেকে চকবাজোরের চুড়িহাট্টার ট্র্যাজেডি পর্যন্ত কয়েক বছরে মন্ত্রী, মেয়র, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা দফায় দফায় গুদাম সরানোর ঘোষণা, আশ্বাস ও নির্দেশ দেন। সব নির্দেশ অকার্যকর ছিল। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে থাকা ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল বহাল তবিয়তে। আসলে সবাই বড় বড় কথা বলেন কাজ করেন না। আমরা সোচ্চার নই, প্রশাসন কঠোর নয় বলেই বারবার মর্মান্তিক ঘটনা দেশবাসীকে অবলোকন করতে হচ্ছে। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করতে সোশ্যাল করপোরেট রেসপনসিবিলিটি যেভাবে গড়ে ওঠার কথা, তা সেভাবে হয়নি। আর যারা স্টেকহোল্ডার আছেন, তারাও সরকারকে বাধ্য করতে পারেননি। ভবন মালিকদেরও দায় আছে। তারা বেশি ভাড়া পাওয়ার জন্য গোডাউন (রাসায়নিকের জন্য) ভাড়া দেয় এবং ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখে। রাসায়নিকের মজুতের সনদ দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনকে আরও কঠোর হওয়া উচিত।

২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নগর পরিকল্পনাবিদ, নগর বিশেষজ্ঞ, স্থপতিসহ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পুরান ঢাকাকে আধুনিকভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নেয় রাজউক। প্রাথমিকভাবে বকশীবাজার, চাঁদনীঘাট, চকবাজার, মৌলভীবাজার, পুরাতন জেলখানা এলাকা, ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ ও বাবুবাজার এলাকায় তা বাস্তবায়নের চিন্তা করে। মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানোর পর ২০১৬ সালে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বংশালের দুটি এলাকাকে রিডেভেলপমেন্ট করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময়। রাজউক এলাকাবাসীকে রিডেভেলপমেন্টের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। অনেকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের মতামত প্রত্যাশা করে রাজউক।

২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর রাজউক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রকল্পের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। মেয়রও এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে সভা করে এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরে আরমানিটোলায় পুরান ঢাকার বাসিন্দা, স্থানীয় পাঁচটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজউকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভা হয়। সভায় কিছু বাসিন্দা রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের বিষয়ে রাজউকের ওপর আস্থাহীনতার কথা ব্যক্ত করেন। কেউ কেউ যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকতে চান। এলাকাবাসীর বেশিরভাগ মতামত রাজউকের বিরুদ্ধে গেলে স্থগিত হয়ে যায় রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের কার্যক্রম। এজন্য দায়টা কিন্তু স্থানীয়দেরও আছে। স্থানীয়দের মধ্যে অর্থ আর সম্পদের লোভ কাজ করে। তাদের বোঝানো না গেলে বাধ্য করতে হবে।

মানুষের জীবন বলে কথা। শহরকে নিরাপদ করতে হলে যা যা দরকার তাই করা উচিত। চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর একটা অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায়নি। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্ট করলে রাস্তাও প্রশস্ত হতো, আগুন নেভানোর পানিও পাওয়া যেত। অ্যাম্বুলেন্সও দাঁড়াতে পারত। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের কারণে এটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। অথচ রিডেভেলপমেন্ট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেই হবে। আমরা আর কোন অস্বাভাবিক মৃত্যু চাই না। সরকার আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দিক।

[লেখক : কলামিস্ট]

newsstoremir@gmail.com

সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ , ১৩ বৈশাখ ১৪২৮ ১৩ রমজান ১৪৪২

রাসায়নিক গুদাম : ফি বছর মানুষ কেন অঙ্গার হয়?

মীর আব্দুল আলীম

image

কয়েক শত মানুষ জীবন্ত আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পরও পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানো যায়নি। শত নির্দেশনাও কাজে লাগেনি। তাই আবারও পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২১ জন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন আরমানিটোলা খেলার মাঠের পাশে একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এত প্রাণহানির পরেও বোধোদয় হয় না। জনগণ সচেতন হয় না; রাষ্ট্র সজাগ হয় না। তাই কেমিক্যাল গোডাউন পুরান ঢাকা থেকে সরেনি। হয়তো সরবেও না। কেমিক্যাল গোডাউন ঢাকা শহর থেকে সরানোর দরকার নেই বরং পুরান শহরের মানুষগুলো সরিয়ে বনজঙ্গলে নিয়ে যান। মানুষের জীবন তো বাঁচানো চাই! তাতে মানুষ নিরাপদ হবে; ঝামেলা চুকে যাবে। চকবাজারে যা ঘটেছে সেই ২০১০ সালে নিমতলীতে একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিলে চকবাজারে পুনরাবৃত্তি হতো না। শত অঙ্গার হওয়া লাশ আর আমাদের দেখতে হতো না। নিমতলীর মর্মান্তিক ঘটনার পর কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরানোর দাবি ওঠে। সরকারও নড়ে চড়ে বসে। শোক শেষ হলে বেমালুম ভুলে যায় সবাই। গোডাউন সরেনি বরং ফুলে ফেঁপে গোডাউনের সংখ্যা বেড়েছে। লাইসেন্স দেয়া হয়েছে নতুনদের। তাই যা হওয়ার তাই হয়েছে। ফি বছর অঙ্গার হচ্ছে মানুষ। মানুষের পোড়া হাঁড়, মাংসের গন্ধে গোটা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় দুমড়েমুচড়ে দিচ্ছে তবুও সংশ্লিষ্টদের হৃদয়ে তা নাড়া দিচ্ছে না।

আমরা সব ভুলে যাই। এবারের আরমানিটোলা খেলার মাঠের ছয়তলা ভবনে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তাও ভুলে যাবে। ভোলারাম বাঙালি বলে কথা! মানুষ শোক ভুলবে; সরকার কর্তব্য করতে ভুলবে। আবারও পাশের কোন গোডাউনে আগুন লাগবে। আবারও মানুষ মরে কয়লা-কাবাব হবে। মানুষের জীবনের কি আর দাম আছে? থাকলে ব্যস্ত এলাকা থেকে কবেই গোডাউনগুলো সরে যেত। নিমতলী ট্র্যাজেডির পর গোডাউন সরানোর প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ বছর সময় লাগতো না। এভাবে একের পর এক মানুষ অঙ্গার হতো না। প্রকৃতপক্ষে এ দায় কার? এর সঠিক উত্তর কেউ দিতে পারবে না।

নিমতলী থেকে চকবাজোরের চুড়িহাট্টার ট্র্যাজেডি পর্যন্ত কয়েক বছরে মন্ত্রী, মেয়র, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা দফায় দফায় গুদাম সরানোর ঘোষণা, আশ্বাস ও নির্দেশ দেন। সব নির্দেশ অকার্যকর ছিল। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে থাকা ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল বহাল তবিয়তে। আসলে সবাই বড় বড় কথা বলেন কাজ করেন না। আমরা সোচ্চার নই, প্রশাসন কঠোর নয় বলেই বারবার মর্মান্তিক ঘটনা দেশবাসীকে অবলোকন করতে হচ্ছে। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করতে সোশ্যাল করপোরেট রেসপনসিবিলিটি যেভাবে গড়ে ওঠার কথা, তা সেভাবে হয়নি। আর যারা স্টেকহোল্ডার আছেন, তারাও সরকারকে বাধ্য করতে পারেননি। ভবন মালিকদেরও দায় আছে। তারা বেশি ভাড়া পাওয়ার জন্য গোডাউন (রাসায়নিকের জন্য) ভাড়া দেয় এবং ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখে। রাসায়নিকের মজুতের সনদ দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনকে আরও কঠোর হওয়া উচিত।

২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নগর পরিকল্পনাবিদ, নগর বিশেষজ্ঞ, স্থপতিসহ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পুরান ঢাকাকে আধুনিকভাবে ঢেলে সাজানোর জন্য ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নেয় রাজউক। প্রাথমিকভাবে বকশীবাজার, চাঁদনীঘাট, চকবাজার, মৌলভীবাজার, পুরাতন জেলখানা এলাকা, ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ ও বাবুবাজার এলাকায় তা বাস্তবায়নের চিন্তা করে। মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালানোর পর ২০১৬ সালে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বংশালের দুটি এলাকাকে রিডেভেলপমেন্ট করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময়। রাজউক এলাকাবাসীকে রিডেভেলপমেন্টের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করে। অনেকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের মতামত প্রত্যাশা করে রাজউক।

২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর রাজউক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রকল্পের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। মেয়রও এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে সভা করে এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরে আরমানিটোলায় পুরান ঢাকার বাসিন্দা, স্থানীয় পাঁচটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রাজউকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভা হয়। সভায় কিছু বাসিন্দা রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের বিষয়ে রাজউকের ওপর আস্থাহীনতার কথা ব্যক্ত করেন। কেউ কেউ যেভাবে আছেন সেভাবেই থাকতে চান। এলাকাবাসীর বেশিরভাগ মতামত রাজউকের বিরুদ্ধে গেলে স্থগিত হয়ে যায় রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের কার্যক্রম। এজন্য দায়টা কিন্তু স্থানীয়দেরও আছে। স্থানীয়দের মধ্যে অর্থ আর সম্পদের লোভ কাজ করে। তাদের বোঝানো না গেলে বাধ্য করতে হবে।

মানুষের জীবন বলে কথা। শহরকে নিরাপদ করতে হলে যা যা দরকার তাই করা উচিত। চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর একটা অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায়নি। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়নি। ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্ট করলে রাস্তাও প্রশস্ত হতো, আগুন নেভানোর পানিও পাওয়া যেত। অ্যাম্বুলেন্সও দাঁড়াতে পারত। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের কারণে এটি বাস্তবায়ন করা যায়নি। অথচ রিডেভেলপমেন্ট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেই হবে। আমরা আর কোন অস্বাভাবিক মৃত্যু চাই না। সরকার আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দিক।

[লেখক : কলামিস্ট]

newsstoremir@gmail.com