মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশে চলছে লকডাউন কিন্তু চলছে পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে শ্রমিকদের বেতন ভাতা দিতে ব্যর্থ মালিকপক্ষ এ সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন ও আসন্ন ঈদের বোনাস দিতে সরকারের কাছে টাকা চেয়েছে বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মালিকদের তিনটি সংগঠন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা টিকিয়ে রাখা এবং আসন্ন ঈদে শ্রমিক অসন্তোষ রোধ ও আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এই সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে এটাই সবার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পুনরায় শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বিশ্বের অনেক দেশেই আগের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা পেমেন্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারাও পেমেন্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের উপর প্রচুর চাপ রয়েছে। উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের জন্য অর্থের যোগান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেয়া একান্ত আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো চিঠির অনুলিপিতে সই করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ও বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরেিবশক
মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশে চলছে লকডাউন কিন্তু চলছে পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে শ্রমিকদের বেতন ভাতা দিতে ব্যর্থ মালিকপক্ষ এ সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন ও আসন্ন ঈদের বোনাস দিতে সরকারের কাছে টাকা চেয়েছে বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মালিকদের তিনটি সংগঠন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি পোশাক ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাণিজ্যের সক্ষমতা টিকিয়ে রাখা এবং আসন্ন ঈদে শ্রমিক অসন্তোষ রোধ ও আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এই সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে এটাই সবার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পুনরায় শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বিশ্বের অনেক দেশেই আগের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে যেসব ক্রেতা পেমেন্ট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারাও পেমেন্ট দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে সচল কারখানাগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের উপর প্রচুর চাপ রয়েছে। উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের জন্য অর্থের যোগান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পকে সহায়তা করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে আগের মতো সহজ শর্তে ঋণ দেয়া একান্ত আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো চিঠির অনুলিপিতে সই করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ও বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।