করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রি-শিপমেন্ট ঋণের জন্য গত বছর ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে এতদিনে গ্রাহক ৬ শতাংশ সুদহারে ঋণ পেলেও এখন থেকে এ সুদহার হবে ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ব্যাংক পর্যায়ে এতদিন ৩ শতাংশ হারে সুদ নেয়া হলেও এখন থেকে ২ শতাংশ হবে ব্যাংক পর্যায়ের সুদহার। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্ট।
দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে তহবিল থেকে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট খাতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ এবং ব্যাংকসমূহ কর্তৃক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর সুদহার ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যায়ে স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে রপ্তানি খাতে অধিকতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করার লক্ষ্যে গ্রাহক ও ব্যাংক পর্যায়ে সুদহার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক গৃহীত পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর ২ শতাংশ সুদ আরোপ করা হবে। তবে বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর-০৯/২০২০, বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর-৩৮/২০২০ ও বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর-৪২/২০২০ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে করোনার ক্ষতি পোষাতে রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রি-শিপমেন্ট ঋণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যেকোন খাতের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান এ তহবিলের আওতায় ঋণ পাবে। একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য এই তহবিল উন্মুক্ত থাকবে।
ঋণ বিতরণের বিষয়টি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের আলোকে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের শিডিউল অব চার্জেস নীতিমালার বাইরে গ্রাহকের কাছ থেকে কোন ধরনের ফি আদায় করা যাবে না। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ যাই হোক না কেন জাহাজীকরণের তারিখের পর সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণকারী ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন করা হবে যা মেয়াদ শেষে সুদসহ এককালীন পরিশোধ যোগ্য হবে।
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রি-শিপমেন্ট ঋণের জন্য গত বছর ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে এতদিনে গ্রাহক ৬ শতাংশ সুদহারে ঋণ পেলেও এখন থেকে এ সুদহার হবে ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ব্যাংক পর্যায়ে এতদিন ৩ শতাংশ হারে সুদ নেয়া হলেও এখন থেকে ২ শতাংশ হবে ব্যাংক পর্যায়ের সুদহার। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্ট।
দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে তহবিল থেকে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট খাতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ এবং ব্যাংকসমূহ কর্তৃক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর সুদহার ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যায়ে স্বল্প সুদে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে রপ্তানি খাতে অধিকতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করার লক্ষ্যে গ্রাহক ও ব্যাংক পর্যায়ে সুদহার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকসমূহ কর্তৃক গৃহীত পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর ২ শতাংশ সুদ আরোপ করা হবে। তবে বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর-০৯/২০২০, বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর-৩৮/২০২০ ও বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নম্বর-৪২/২০২০ এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে করোনার ক্ষতি পোষাতে রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রি-শিপমেন্ট ঋণের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যেকোন খাতের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান এ তহবিলের আওতায় ঋণ পাবে। একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য এই তহবিল উন্মুক্ত থাকবে।
ঋণ বিতরণের বিষয়টি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের আলোকে কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের শিডিউল অব চার্জেস নীতিমালার বাইরে গ্রাহকের কাছ থেকে কোন ধরনের ফি আদায় করা যাবে না। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ যাই হোক না কেন জাহাজীকরণের তারিখের পর সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণকারী ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন করা হবে যা মেয়াদ শেষে সুদসহ এককালীন পরিশোধ যোগ্য হবে।