যশোর হাসপাতালে ১০ করোনা রোগীর পলায়ন

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দশজন করোনা রোগী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বাড়ি চলে গেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন ভারতফেরত করোনা পজেটিভ রোগী। শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুরের মধ্যে অনুমতি ছাড়াই তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। করোনা রোগীদের এভাবে ‘পালিয়ে’ যাওয়ার তোলপাড় চলছে। সোমবার ‘পালিয়ে’ যাওয়া রোগীদের নাম ঠিকানা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে ৭ জনকে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে বলে জানা গেছে।

শনি ও রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ১০ জন করোনা পজেটিভ রোগীকে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন, মালা দত্ত, ফাতেমা বেগম, রোমা, মমিন, নাসিমা বেগম, শহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী শেফালি রানি, আমিরুল সানা ও সোহেল। এরা সবাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলে গেছেন।

করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত একজন সিনিয়র নার্স বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু রোববার সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে ‘পালিয়ে যাওয়া’ রোগীরা যদি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০ রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে ৫ জন ভারতফেরত করোনা রোগী রয়েছে। ওই পাঁচজনের মধ্যে খুলনার ২ জন, যশোর, সাতক্ষীরা ও রাজবাড়ী জেলার একজন করে রোগী রয়েছেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই ১০ জনের নাম ঠিকানা রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

পরে পালিয়ে যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৭ জনকে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে জানা গেছে। তাদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাতজনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরা হয়। তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমিত সাতজন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সাতজন করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন আসেন। তাদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২

যশোর হাসপাতালে ১০ করোনা রোগীর পলায়ন

যশোর অফিস

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দশজন করোনা রোগী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই বাড়ি চলে গেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন ভারতফেরত করোনা পজেটিভ রোগী। শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুরের মধ্যে অনুমতি ছাড়াই তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। করোনা রোগীদের এভাবে ‘পালিয়ে’ যাওয়ার তোলপাড় চলছে। সোমবার ‘পালিয়ে’ যাওয়া রোগীদের নাম ঠিকানা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে ৭ জনকে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে বলে জানা গেছে।

শনি ও রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ১০ জন করোনা পজেটিভ রোগীকে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন, মালা দত্ত, ফাতেমা বেগম, রোমা, মমিন, নাসিমা বেগম, শহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী শেফালি রানি, আমিরুল সানা ও সোহেল। এরা সবাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলে গেছেন।

করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত একজন সিনিয়র নার্স বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা দশজন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু রোববার সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যশোর জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে ‘পালিয়ে যাওয়া’ রোগীরা যদি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ১০ রোগী ছাড়পত্র না নিয়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে ৫ জন ভারতফেরত করোনা রোগী রয়েছে। ওই পাঁচজনের মধ্যে খুলনার ২ জন, যশোর, সাতক্ষীরা ও রাজবাড়ী জেলার একজন করে রোগী রয়েছেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ওই ১০ জনের নাম ঠিকানা রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

পরে পালিয়ে যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৭ জনকে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে জানা গেছে। তাদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাতজনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরা হয়। তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমিত সাতজন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, সাতজন করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন আসেন। তাদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।