সব জেনেও নির্বাক বিআইডব্লিউটিসি, পুলিশ

বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশ। হামলার ভিডিও ও ছবি সংস্থাগুলোর হাতে থাকলেও ভুক্তভোগী কোন যাত্রী অভিযোগ না করার অজুহাতে হামলাকারীরা নির্বিঘেœই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গতকাল এ রুট হয়ে যাত্রী পারাপার করলেও তা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়তি ভাড়া ও ভোগান্তি নিয়েই পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে। জানা যায়, রোববার সকালে ১নং ফেরি ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে টিকিট কাটা নিয়ে ফেরির টিকিট বিক্রেতা ঠিকাদারের লোকদের (বিআইডব্লিউটিসির কটি পরিহিত) সঙ্গে কয়েক যাত্রীর সংঘর্ষ বাধে। সংর্ঘষকালে ঠিকাদার পক্ষ যাত্রীদের উপর ইট, বাঁশ দিয়ে আঘাত করে ও বেদম মারধর করে। সাংবাদিকদের ভিডিও ও ছবি ধারণ দেখে ঠিকাদার পক্ষ নিবৃত হয়। পরে ঠিকাদার পক্ষ ধমকের সঙ্গে মাফ চেয়ে ওই যাত্রীদের ঘটনাস্থল ত্যাগে বাধ্য করে। সংঘর্ষে ৩ যাত্রী ও ঠিকাদার পক্ষের একজন সামান্য আহত হয়। একইদিন সকাল থেকেই এই ঠিকাদার পক্ষের লোকেদের হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাড়া তুলতে দেখা যায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘাট এলাকার কর্তব্যরত পুলিশের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর মো. আশিকুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ও থানায় খবর দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ পায় ও টিভি চ্যানেলে ঘটনাটি প্রচার হয়। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ঘাট এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের হাতে হামলার ভিডিও ও ছবি থাকলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিনিয়ত ভাড়া কাটার নামে ঠিকাদারের লোকেরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর করে। গতকালকের এত বড় ঘটনায় যেভাবে হামলা হলো এরপরও কিছুই হলো না। এতে ওদের সাহস আরও বেড়ে যাবে। যার তার সঙ্গে আরও বেশি খারাপ ব্যবহার করবে আর বদনাম হবে শিবচরের।

এ ব্যাপারে টিকিট বিক্রির ঠিকাদার পক্ষের বাংলাবাজার ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোস্তাক বেপারির (০১৯১৩৮৩৪৫৬৯) মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

কর্তব্যরত পুলিশের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর মো. আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার শিবচর থানার। তবে কোন যাত্রী কোন অভিযোগ করেনি তাই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে ঠিকাদার দিয়ে ফেরির টিকিট কাটানো হয়। এর মানে তারা যাত্রীদের মারধর করবে এটা ঠিক নয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি আর আজও ৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার হয়েছে। যাত্রী চাপ কমে এসেছে।

শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজুল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২

সব জেনেও নির্বাক বিআইডব্লিউটিসি, পুলিশ

প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)

বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি বিআইডব্লিউটিসি ও পুলিশ। হামলার ভিডিও ও ছবি সংস্থাগুলোর হাতে থাকলেও ভুক্তভোগী কোন যাত্রী অভিযোগ না করার অজুহাতে হামলাকারীরা নির্বিঘেœই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে গতকাল এ রুট হয়ে যাত্রী পারাপার করলেও তা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়তি ভাড়া ও ভোগান্তি নিয়েই পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে। জানা যায়, রোববার সকালে ১নং ফেরি ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে টিকিট কাটা নিয়ে ফেরির টিকিট বিক্রেতা ঠিকাদারের লোকদের (বিআইডব্লিউটিসির কটি পরিহিত) সঙ্গে কয়েক যাত্রীর সংঘর্ষ বাধে। সংর্ঘষকালে ঠিকাদার পক্ষ যাত্রীদের উপর ইট, বাঁশ দিয়ে আঘাত করে ও বেদম মারধর করে। সাংবাদিকদের ভিডিও ও ছবি ধারণ দেখে ঠিকাদার পক্ষ নিবৃত হয়। পরে ঠিকাদার পক্ষ ধমকের সঙ্গে মাফ চেয়ে ওই যাত্রীদের ঘটনাস্থল ত্যাগে বাধ্য করে। সংঘর্ষে ৩ যাত্রী ও ঠিকাদার পক্ষের একজন সামান্য আহত হয়। একইদিন সকাল থেকেই এই ঠিকাদার পক্ষের লোকেদের হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাড়া তুলতে দেখা যায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘাট এলাকার কর্তব্যরত পুলিশের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর মো. আশিকুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন ও থানায় খবর দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ পায় ও টিভি চ্যানেলে ঘটনাটি প্রচার হয়। ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ঘাট এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের হাতে হামলার ভিডিও ও ছবি থাকলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিনিয়ত ভাড়া কাটার নামে ঠিকাদারের লোকেরা যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর করে। গতকালকের এত বড় ঘটনায় যেভাবে হামলা হলো এরপরও কিছুই হলো না। এতে ওদের সাহস আরও বেড়ে যাবে। যার তার সঙ্গে আরও বেশি খারাপ ব্যবহার করবে আর বদনাম হবে শিবচরের।

এ ব্যাপারে টিকিট বিক্রির ঠিকাদার পক্ষের বাংলাবাজার ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোস্তাক বেপারির (০১৯১৩৮৩৪৫৬৯) মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

কর্তব্যরত পুলিশের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর মো. আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার শিবচর থানার। তবে কোন যাত্রী কোন অভিযোগ করেনি তাই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে ঠিকাদার দিয়ে ফেরির টিকিট কাটানো হয়। এর মানে তারা যাত্রীদের মারধর করবে এটা ঠিক নয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি আর আজও ৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার হয়েছে। যাত্রী চাপ কমে এসেছে।

শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজুল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।