বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই যুগ

সেবা শিক্ষা গবেষণার মান ও আবাসিক সংকট

দেশের চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়াতে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর কদিন বাদেই ২৪ বছর বা দুই যুগ পার হতে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু যে লক্ষ্যে যাত্রা শুরু তার কতটুকু পূরণ করা গেছে তা নিয়ে খোদ প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরাই আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মান বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। সেজন্য যেমন তহবিল দরকার, তেমনি অনেক কিছু ঢেলে সাজাতে সরকারের সহযোগিতাও দরকার। তারা বলছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকটও একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ আরও বাড়ানো হবে। আর হাসপাতালকে কেন্দ্রীয়ভাবে জীবাণুমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলছেন তিনি।

ডা. শারফুদ্দিন বললেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল শাখার আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোরিয়ান সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রায় এক হাজার বেডের কোরিয়ান মৈত্রী বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। ফরেনসিক বিভাগসহ নতুন কোর্স চালু করার চিন্তা আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা) প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গবেষণার জন্য বরাদ্ধ ছিল ২ কোটি টাকা। ‘এখন করোনা মহামারীসহ নতুন নতুন রোগ বাড়ছে। তাই বৈজ্ঞানিক (সায়েন্টিফিক) গবেষণা আরও বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ সঠিক ভ্যারিয়েন্ট (পরিবর্তনশীল) নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সিনিয়র অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, ‘গবেষণা ও চিকিৎসায় নতুন কিছু তৈরি করা দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে রেসিডেন্সি কোর্স আরও আধুনিক, পিএচডিসহ নতুন নতুন কোর্স, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং কোর্স ও এমডি কোর্স চালু হলে শিক্ষা ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।’

নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের দরকার হলে ৩ কিংবা ৬ মাসের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এসব কিছু আরও উন্নত করা হলে চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে।’

তবে তিনি বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালু করায় এমএস ও এমডি কোর্স বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেয়েছে। মিড লেভেলের চিকিৎসকদের প্র্যাকটিস সিস্টেম চালু করলে রোগীরা উপকৃত হতো।’ এতে কম খরচে চিকিৎসাসেবার সুযোগ পাওয়া যেত বলে এ বিশেষজ্ঞ মত দেন।

অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. একেএম আখতারুজ্জামান মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু থেকে যুব বয়সে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন গবেষণাসহ নানা কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নন-প্র্যাকটিস নীতিমালা প্রণয়ন করে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দিতে হবে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকরা অধিকতর সময় দিতে পারবে। এতে রোগীরা উপকৃত হবে। শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

কর্মকর্তারা বলছেন, আবাসন সমস্যার কারণে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই ভাড়া বাসায় থাকেন। যার কারণে অনেক সময় জরুরি সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার রাস্তার যানজটের কারণে কর্মস্থলে পৌঁছতে প্রায় সময়ই অনেকের দেরি হয়।

নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক সিন্ডিকেট সদস্য ও ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হোসেন সংবাদকে জানান, ‘হাসপাতালে রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য শিক্ষক ও ডাক্তারদের আবাসন দরকার। এজন্য এখন যেসব জায়গায় ছোটখাট ভবন আছে সেগুলো বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করলে আবাসন সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।’

হাসপাতালটিতে প্রায় সাড়ে ১৩শ’ নার্স আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশের আবাসন নেই। আড়াইশ’ থেকে তিনশ’র মতো নার্স হাসপাতালের বি ব্লকের ৪ ও ৬ তলায় থাকেন। আর এখন বেতার ভবনে কিছু নার্স থাকেন।

গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেবেল ডি. রোজারিও বলেন, নাসর্, ডাক্তারদের আবাসন হাসপাতালের কাছাকাছি হলে সবার জন্য সুবিধা হতো।

কয়েকজন কর্মচারী জানান, তারা পুরনো কিছু সরকারি বাসায় থাকছেন। সেগুলো মেরামত বা আধুনিকায়ন করলে অনেকেই সেখানে থাকার সুযোগ পেত।

ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন ‘ভিসি, প্রো-ভিসি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রী কারও কোন আবাসন নেই। আবাসন সংকট নিরসনে পূর্বাচলে ৫০ একর জমি চাওয়া হয়েছে। জমি পাওয়া গেলে সেখানে আবাসন গড়ে তোলা হবে। এজন্য চেষ্টা চলছে।’

মেডিকেল অফিসারদের পদোন্নতির নীতিমালা নিয়েও অভিযোগ করলেন অনেকে। তাদের মেধা অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি নীতি অনুসরণ করার দাবি তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে ৫৭টি বিভাগ রয়েছে। আর জনসংযোগ শাখা থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষক, ডাক্তার ও কর্মকর্তাসহ জনবলের সংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই যুগ

সেবা শিক্ষা গবেষণার মান ও আবাসিক সংকট

বাকী বিল্লাহ

image

দেশের চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়াতে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর কদিন বাদেই ২৪ বছর বা দুই যুগ পার হতে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু যে লক্ষ্যে যাত্রা শুরু তার কতটুকু পূরণ করা গেছে তা নিয়ে খোদ প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরাই আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মান বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। সেজন্য যেমন তহবিল দরকার, তেমনি অনেক কিছু ঢেলে সাজাতে সরকারের সহযোগিতাও দরকার। তারা বলছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকটও একটি বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ আরও বাড়ানো হবে। আর হাসপাতালকে কেন্দ্রীয়ভাবে জীবাণুমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলছেন তিনি।

ডা. শারফুদ্দিন বললেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল শাখার আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কোরিয়ান সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রায় এক হাজার বেডের কোরিয়ান মৈত্রী বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। ফরেনসিক বিভাগসহ নতুন কোর্স চালু করার চিন্তা আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা) প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গবেষণার জন্য বরাদ্ধ ছিল ২ কোটি টাকা। ‘এখন করোনা মহামারীসহ নতুন নতুন রোগ বাড়ছে। তাই বৈজ্ঞানিক (সায়েন্টিফিক) গবেষণা আরও বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ সঠিক ভ্যারিয়েন্ট (পরিবর্তনশীল) নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সিনিয়র অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, ‘গবেষণা ও চিকিৎসায় নতুন কিছু তৈরি করা দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে রেসিডেন্সি কোর্স আরও আধুনিক, পিএচডিসহ নতুন নতুন কোর্স, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং কোর্স ও এমডি কোর্স চালু হলে শিক্ষা ও সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।’

নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের দরকার হলে ৩ কিংবা ৬ মাসের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এসব কিছু আরও উন্নত করা হলে চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে।’

তবে তিনি বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালু করায় এমএস ও এমডি কোর্স বিশ্বমানের স্বীকৃতি পেয়েছে। মিড লেভেলের চিকিৎসকদের প্র্যাকটিস সিস্টেম চালু করলে রোগীরা উপকৃত হতো।’ এতে কম খরচে চিকিৎসাসেবার সুযোগ পাওয়া যেত বলে এ বিশেষজ্ঞ মত দেন।

অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. একেএম আখতারুজ্জামান মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু থেকে যুব বয়সে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন গবেষণাসহ নানা কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নন-প্র্যাকটিস নীতিমালা প্রণয়ন করে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় দিতে হবে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকরা অধিকতর সময় দিতে পারবে। এতে রোগীরা উপকৃত হবে। শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

কর্মকর্তারা বলছেন, আবাসন সমস্যার কারণে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই ভাড়া বাসায় থাকেন। যার কারণে অনেক সময় জরুরি সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার রাস্তার যানজটের কারণে কর্মস্থলে পৌঁছতে প্রায় সময়ই অনেকের দেরি হয়।

নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক সিন্ডিকেট সদস্য ও ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হোসেন সংবাদকে জানান, ‘হাসপাতালে রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য শিক্ষক ও ডাক্তারদের আবাসন দরকার। এজন্য এখন যেসব জায়গায় ছোটখাট ভবন আছে সেগুলো বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করলে আবাসন সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।’

হাসপাতালটিতে প্রায় সাড়ে ১৩শ’ নার্স আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশের আবাসন নেই। আড়াইশ’ থেকে তিনশ’র মতো নার্স হাসপাতালের বি ব্লকের ৪ ও ৬ তলায় থাকেন। আর এখন বেতার ভবনে কিছু নার্স থাকেন।

গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেবেল ডি. রোজারিও বলেন, নাসর্, ডাক্তারদের আবাসন হাসপাতালের কাছাকাছি হলে সবার জন্য সুবিধা হতো।

কয়েকজন কর্মচারী জানান, তারা পুরনো কিছু সরকারি বাসায় থাকছেন। সেগুলো মেরামত বা আধুনিকায়ন করলে অনেকেই সেখানে থাকার সুযোগ পেত।

ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন ‘ভিসি, প্রো-ভিসি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রী কারও কোন আবাসন নেই। আবাসন সংকট নিরসনে পূর্বাচলে ৫০ একর জমি চাওয়া হয়েছে। জমি পাওয়া গেলে সেখানে আবাসন গড়ে তোলা হবে। এজন্য চেষ্টা চলছে।’

মেডিকেল অফিসারদের পদোন্নতির নীতিমালা নিয়েও অভিযোগ করলেন অনেকে। তাদের মেধা অনুযায়ী পদোন্নতি দেয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি নীতি অনুসরণ করার দাবি তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে ৫৭টি বিভাগ রয়েছে। আর জনসংযোগ শাখা থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষক, ডাক্তার ও কর্মকর্তাসহ জনবলের সংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।