করোনা পরিস্থিতি কিংবা নানা দুরবস্থার মাঝেও মানুষ ভালো থাকার চেষ্টা করে। সমৃদ্ধ করতে মরিয়া থাকে দেশকে, এটাই প্রফেশনালিজম। যার যার অবস্থান থেকে সঠিক, দক্ষতার সহিত পেশাগত কর্তব্য পালন করা। বাংলাদেশের মানুষের তেমনটার বাইরে কখনো না। গত বছরের লকডাউন এবং পরবর্তীতে নানা অর্থনৈতিক সাফল্য সে বিষয়েরই পরিচায়ক নিঃসন্দেহে। তবে যাদের জন্য এ সাফল্য তারা অবশ্যই শান্তিতে দু-মুঠো ভাত খাবার অধিকার রাখেন।
চাল, ডাল, তেল, মসলা, লবণসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দ্রব্যমূল্যর এ ঊর্ধ্বগতি বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বিশেষত শ্রমজীবী সম্প্রদায় সরাসরি এ দুরবস্থায় নিজেদের নিয়ে বিপাকে। পূর্বের তুলনায় নানা সমৃদ্ধি, অগ্রগতির জন্য দারিদ্র্যতা নিশ্চয়ই হ্রাস পেয়েছে। নানা জটিলতার পরেও এ দামে ৮০ ভাগ মানুষ দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন এ যুক্তি অনেকে দেখাতেই পারেন। তবে এখনও ২০ ভাগ মানুষ ক্রয়সীমার নিচে বাস করছে। অনেকে চটাপট সরকার বিরোধী মতামত বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে ফেলতেই পারেন। কিন্তু এতে সাধারণ মানুষগুলোর আদৌ কোন উপকার হবে? নিশ্চয়ই না। ৮০ ভাগ মানুষ খেতে পারছে বলে ২০ ভাগ মানুষের সমস্যা দিন শেষে সরকার এড়াতে পারে না এটাও সত্য।
দ্রব্যমূল্যের এ অতিরিক্ত দামে যদি মুখে হাসি ফুটতো কৃষকদের তবেও হয়তো মেনে নেয়া যেত। যারা জীবনের সবটা বিলিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষকে তাদের জন্য এটা হয়তো মেনে নেয়া যেত। দুভার্গ্যবশত, যাদের মাঠের কাদা-মাটি কিংবা মাঠের সঙ্গে নেই বিন্দুমাত্র সম্পর্ক তারাই এই অতিরিক্ত দামের ফায়দা লুটে চলেছে অবিরাম। মধ্যস্বত্বভোগী স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের যতই সচেতন করা হোক তাদের মন গলবে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
অনন্য প্রতীক রাউত
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ১৪ রমজান ১৪৪২
করোনা পরিস্থিতি কিংবা নানা দুরবস্থার মাঝেও মানুষ ভালো থাকার চেষ্টা করে। সমৃদ্ধ করতে মরিয়া থাকে দেশকে, এটাই প্রফেশনালিজম। যার যার অবস্থান থেকে সঠিক, দক্ষতার সহিত পেশাগত কর্তব্য পালন করা। বাংলাদেশের মানুষের তেমনটার বাইরে কখনো না। গত বছরের লকডাউন এবং পরবর্তীতে নানা অর্থনৈতিক সাফল্য সে বিষয়েরই পরিচায়ক নিঃসন্দেহে। তবে যাদের জন্য এ সাফল্য তারা অবশ্যই শান্তিতে দু-মুঠো ভাত খাবার অধিকার রাখেন।
চাল, ডাল, তেল, মসলা, লবণসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বাড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দ্রব্যমূল্যর এ ঊর্ধ্বগতি বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বিশেষত শ্রমজীবী সম্প্রদায় সরাসরি এ দুরবস্থায় নিজেদের নিয়ে বিপাকে। পূর্বের তুলনায় নানা সমৃদ্ধি, অগ্রগতির জন্য দারিদ্র্যতা নিশ্চয়ই হ্রাস পেয়েছে। নানা জটিলতার পরেও এ দামে ৮০ ভাগ মানুষ দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন এ যুক্তি অনেকে দেখাতেই পারেন। তবে এখনও ২০ ভাগ মানুষ ক্রয়সীমার নিচে বাস করছে। অনেকে চটাপট সরকার বিরোধী মতামত বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে ফেলতেই পারেন। কিন্তু এতে সাধারণ মানুষগুলোর আদৌ কোন উপকার হবে? নিশ্চয়ই না। ৮০ ভাগ মানুষ খেতে পারছে বলে ২০ ভাগ মানুষের সমস্যা দিন শেষে সরকার এড়াতে পারে না এটাও সত্য।
দ্রব্যমূল্যের এ অতিরিক্ত দামে যদি মুখে হাসি ফুটতো কৃষকদের তবেও হয়তো মেনে নেয়া যেত। যারা জীবনের সবটা বিলিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষকে তাদের জন্য এটা হয়তো মেনে নেয়া যেত। দুভার্গ্যবশত, যাদের মাঠের কাদা-মাটি কিংবা মাঠের সঙ্গে নেই বিন্দুমাত্র সম্পর্ক তারাই এই অতিরিক্ত দামের ফায়দা লুটে চলেছে অবিরাম। মধ্যস্বত্বভোগী স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের যতই সচেতন করা হোক তাদের মন গলবে না। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
অনন্য প্রতীক রাউত
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।