বাবার জিডি মামুনুলের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ উদ্ধার

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঝর্ণার বাবার করা জিডির পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার এক বাসা থেকে ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে ঝর্ণাকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

গতকাল ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান তার মেয়েকে ‘জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার’ করতে কলাবাগান থানায় জিডি করেন।

জিডিতে অভিযোগ করা হয়, দুদিন আগে ঝর্ণা ফোনে তার বড় ছেলেকে জানান, তিনি ‘গুহবন্দী’ অবস্থায় আছেন। যেকোন সময় তাকে ‘মেরে ফেলা’ হতে পারে। তিনি ঢাকায় মামুনুল হকের বোনের বাসায় আছেন। জরুরিভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। কোথায় আছেন, জানতে চাইলে অন্য প্রান্ত থেকে ফোনের সংযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যায় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

জিডিতে ওলিয়ার জানান, তিনি এই ঘটনা তার নাতির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।

ওলিয়ার রহমান জিডিতে অভিযোগ করেন, মামুনুল হকের ‘অপকৌশলে’ ঝর্ণার ‘সুখের সংসার ভেঙে যায়’। সেই সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। একপর্যায়ে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় আসে। উত্তর ধানমন্ডির একটি বাসায় ঝর্ণা বসবাস করছিলেন বলে তাকে জানানো হয়।

জিডিতে অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের লোকজন যেকোন মুহূর্তে তার মেয়েকে ‘অজ্ঞাত স্থানে অসৎ অভিপ্রায়ে আটকে হত্যার পর লাশ গুম’ করতে পারে বলে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। এমন অবস্থায় ঝর্ণাকে ‘জরুরিভাবে উদ্ধার করা আবশ্যক’ বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।

জিডিতে আরও বলা হয়, ‘৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঘটনার পর তিনি জানতে পারেন, তার মেয়েকে ইসলামী শরিয়তের বিধান মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন মামুনুল হক। ওই ঘটনার পর তিনি তার মেয়ের ঢাকার ঠিকানায় হাজির হয়ে তাকে পাননি।’

বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমজান ১৪৪২

বাবার জিডি মামুনুলের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঝর্ণার বাবার করা জিডির পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার এক বাসা থেকে ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, ঝর্ণাকে ‘উদ্ধার’ করে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে ঝর্ণাকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

গতকাল ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান তার মেয়েকে ‘জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার’ করতে কলাবাগান থানায় জিডি করেন।

জিডিতে অভিযোগ করা হয়, দুদিন আগে ঝর্ণা ফোনে তার বড় ছেলেকে জানান, তিনি ‘গুহবন্দী’ অবস্থায় আছেন। যেকোন সময় তাকে ‘মেরে ফেলা’ হতে পারে। তিনি ঢাকায় মামুনুল হকের বোনের বাসায় আছেন। জরুরিভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। কোথায় আছেন, জানতে চাইলে অন্য প্রান্ত থেকে ফোনের সংযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যায় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

জিডিতে ওলিয়ার জানান, তিনি এই ঘটনা তার নাতির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।

ওলিয়ার রহমান জিডিতে অভিযোগ করেন, মামুনুল হকের ‘অপকৌশলে’ ঝর্ণার ‘সুখের সংসার ভেঙে যায়’। সেই সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। একপর্যায়ে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় আসে। উত্তর ধানমন্ডির একটি বাসায় ঝর্ণা বসবাস করছিলেন বলে তাকে জানানো হয়।

জিডিতে অভিযোগ করা হয়, মামুনুল হকের লোকজন যেকোন মুহূর্তে তার মেয়েকে ‘অজ্ঞাত স্থানে অসৎ অভিপ্রায়ে আটকে হত্যার পর লাশ গুম’ করতে পারে বলে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। এমন অবস্থায় ঝর্ণাকে ‘জরুরিভাবে উদ্ধার করা আবশ্যক’ বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।

জিডিতে আরও বলা হয়, ‘৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ঘটনার পর তিনি জানতে পারেন, তার মেয়েকে ইসলামী শরিয়তের বিধান মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন মামুনুল হক। ওই ঘটনার পর তিনি তার মেয়ের ঢাকার ঠিকানায় হাজির হয়ে তাকে পাননি।’