করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহী চীন। গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফিংগে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে গবেষণা ও উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।’
একদিনের সফরে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান জেনারেল ওয়েই ফিংগে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে চীন। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন কাজ করে যাচ্ছে।’
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিডিও বার্তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি তার নিজের ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মায়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুবই ভালো। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ চীন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি চায়না কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর পূর্তিতে চীনের রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লে. জে. ওয়াকার উজ জামান, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহী চীন। গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফিংগে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে গবেষণা ও উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।’
একদিনের সফরে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান জেনারেল ওয়েই ফিংগে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে চীন। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন কাজ করে যাচ্ছে।’
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিডিও বার্তা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি তার নিজের ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মায়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুবই ভালো। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ চীন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি চায়না কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর পূর্তিতে চীনের রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লে. জে. ওয়াকার উজ জামান, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।