ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের বকেয়া প্রশিক্ষণ ভাতা

প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এ ভর্তি হয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) পরিচালিত দেড় বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক। প্রশিক্ষণকালে শিক্ষকগণ পোশাক ভাতা বাবদ এককালীন ২০০০ টাকা এবং প্রশিক্ষণের আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহে মাসিক ৩০০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন।

কিন্তু ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২০০০০ প্রশিক্ষণার্থীর ডিপিএড প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও তারা পোশাক ভাতাসহ প্রথম ছয় মাসের ভাতার অর্থ পেলেও অবশিষ্ট সময়ের ভাতার অর্থ প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। উল্লেখ্য ২০২০ এর ০১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলার পর করোনা মহামারীর কারণে তা বন্ধ হলেও ১ জুলাই থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রাথমিক স্তরের পাঠসমূহ পর্যবেক্ষণ করেও গাঠনিক মূল্যায়নের বিভিন্ন কাজ যেমন, প্রতিবেদন তৈরি, কেস স্টাডি, বুক রিভিউ ইত্যাদি সম্পন্ন করতে হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২০ এর ডিসেম্বরে চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সেটাতেও তারা অংশগ্রহণ করেছে। অনলাইন মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজনে মানসম্পন্ন স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ কেনা ও ইন্টারনেট বিল প্রদান, মাসব্যাপী চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সেইসঙ্গে পিটিআইয়ের সংস্থাপন ব্যয় ও হোস্টেল কিংবা ভাড়া করা বাসার খরচও মেটাতে হয়েছে। আর ভাতার অর্থ না পাওয়ায় বেতনের নির্দিষ্ট টাকা থেকেই সকল ব্যয় নির্বাহ করতে হয়েছে।

তাছাড়া বেশ কিছু শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আর্থিক চাপ প্রকট হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাপ্য ভাতার অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য আদৌ সুখকর নয়। এমতাবস্থায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণার্থীদের বকেয়া ভাতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমজান ১৪৪২

ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থীদের বকেয়া প্রশিক্ষণ ভাতা

প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এ ভর্তি হয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) পরিচালিত দেড় বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক। প্রশিক্ষণকালে শিক্ষকগণ পোশাক ভাতা বাবদ এককালীন ২০০০ টাকা এবং প্রশিক্ষণের আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহে মাসিক ৩০০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন।

কিন্তু ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২০০০০ প্রশিক্ষণার্থীর ডিপিএড প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও তারা পোশাক ভাতাসহ প্রথম ছয় মাসের ভাতার অর্থ পেলেও অবশিষ্ট সময়ের ভাতার অর্থ প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। উল্লেখ্য ২০২০ এর ০১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মে সরাসরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলার পর করোনা মহামারীর কারণে তা বন্ধ হলেও ১ জুলাই থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। পাশাপাশি সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রাথমিক স্তরের পাঠসমূহ পর্যবেক্ষণ করেও গাঠনিক মূল্যায়নের বিভিন্ন কাজ যেমন, প্রতিবেদন তৈরি, কেস স্টাডি, বুক রিভিউ ইত্যাদি সম্পন্ন করতে হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২০ এর ডিসেম্বরে চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সেটাতেও তারা অংশগ্রহণ করেছে। অনলাইন মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজনে মানসম্পন্ন স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ কেনা ও ইন্টারনেট বিল প্রদান, মাসব্যাপী চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সেইসঙ্গে পিটিআইয়ের সংস্থাপন ব্যয় ও হোস্টেল কিংবা ভাড়া করা বাসার খরচও মেটাতে হয়েছে। আর ভাতার অর্থ না পাওয়ায় বেতনের নির্দিষ্ট টাকা থেকেই সকল ব্যয় নির্বাহ করতে হয়েছে।

তাছাড়া বেশ কিছু শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আর্থিক চাপ প্রকট হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাপ্য ভাতার অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য আদৌ সুখকর নয়। এমতাবস্থায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণার্থীদের বকেয়া ভাতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক