পথশিশুদের বিদ্যালয়

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সপ্তাহের সাতদিনই বিকেলবেলা দেখা মেলে একটা ভাসমান স্কুলের। নেই কোনো অবকাঠামো। খোলা আকাশের নিচেই চলে এই বিদ্যালয়। এখানকার বেশির ভাগ শিশুরাই ফ্লাক্সে চা নিয়ে হকারি করে। অনেকে দোকানে কাজ করে আবার অনেকে পার্শ্ববর্তী কারখানাতগুলোতে কাজ করে।

ঠিক বিকেল চারটা আনন্দের সঙ্গে সমবেত হয় স্কুলে। স্কুল চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। আর্ত সেবা নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তত্ত্বাবধানে চলে এই বিদ্যানিকেতন। ৬-৭ জন পথশিশু এবং তিনজন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে বিদ্যানিকেতনের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২০ ই ফেব্রুয়ারিতে। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা ১৬। পথশিশুদের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে ৬০ হয়েছে।

বিদ্যানিকেতনে বাচ্চাদের প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়। তবে কার্যক্রম শুধু এই খোলা আকাশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। একটি বাচ্চাকে যখন মোটামুটি স্কুলে ভর্তি করানোর উপযোগী হয়ে উঠে তখন তাকে একজন ডোনারের মাধ্যমে তাকে স্কুলে বা মাদরাসায় ভর্তি করে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

শিক্ষার পাশাপাশি পথশিশুদের খাদ্য এবং চিকিৎসার উপরে নজরদারি করেন বিদ্যানিকেতনের স্বেচ্ছাসেবকরা। স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যক্তিগত জোগান দেয়া অর্থেই চলে যাবতীয় কার্যক্রম।

যোবায়ের ইবনে আলী

বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমজান ১৪৪২

পথশিশুদের বিদ্যালয়

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সপ্তাহের সাতদিনই বিকেলবেলা দেখা মেলে একটা ভাসমান স্কুলের। নেই কোনো অবকাঠামো। খোলা আকাশের নিচেই চলে এই বিদ্যালয়। এখানকার বেশির ভাগ শিশুরাই ফ্লাক্সে চা নিয়ে হকারি করে। অনেকে দোকানে কাজ করে আবার অনেকে পার্শ্ববর্তী কারখানাতগুলোতে কাজ করে।

ঠিক বিকেল চারটা আনন্দের সঙ্গে সমবেত হয় স্কুলে। স্কুল চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। আর্ত সেবা নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তত্ত্বাবধানে চলে এই বিদ্যানিকেতন। ৬-৭ জন পথশিশু এবং তিনজন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে বিদ্যানিকেতনের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২০ ই ফেব্রুয়ারিতে। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা ১৬। পথশিশুদের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে ৬০ হয়েছে।

বিদ্যানিকেতনে বাচ্চাদের প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়। তবে কার্যক্রম শুধু এই খোলা আকাশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়। একটি বাচ্চাকে যখন মোটামুটি স্কুলে ভর্তি করানোর উপযোগী হয়ে উঠে তখন তাকে একজন ডোনারের মাধ্যমে তাকে স্কুলে বা মাদরাসায় ভর্তি করে দেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

শিক্ষার পাশাপাশি পথশিশুদের খাদ্য এবং চিকিৎসার উপরে নজরদারি করেন বিদ্যানিকেতনের স্বেচ্ছাসেবকরা। স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যক্তিগত জোগান দেয়া অর্থেই চলে যাবতীয় কার্যক্রম।

যোবায়ের ইবনে আলী