বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

পৃথিবীতে যে কয়টি দেশ বজ্রপাতপ্রবণ, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তন, লম্বা গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, আকাশে কালো মেঘের পরিমাণ ও মেঘে মেঘে ঘর্ষণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, যত্রতত্র মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি বজ্রপাতের উল্লেখযোগ্য কারন।

বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো আকাশে ঘন-কালো মেঘ দেখলে যথাসম্ভব বাড়িতে অবস্থান করা। বাড়িতে থাকাকালীন জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় না থাকা এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি থেকে দূরে থাকা।

ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করা। বজ্রপাত ও ঝরের সময় ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করা। অতি জরুরি প্রয়োজনে বাহিরে গেলে রাবারের জুতা এবং প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা। ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকা; খোলা জায়গায়, মাঠে বা কোন বড় গাছের নিচে অবস্থান না করা। নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকা। গাড়িতে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ না ঘটানো; নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে অবস্থান করা। খোলা মাঠে থাকলে পায়ের অঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকা।

রাসেল মিয়া

বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ১৫ রমজান ১৪৪২

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

image

পৃথিবীতে যে কয়টি দেশ বজ্রপাতপ্রবণ, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তন, লম্বা গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, আকাশে কালো মেঘের পরিমাণ ও মেঘে মেঘে ঘর্ষণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, যত্রতত্র মোবাইল ফোনের টাওয়ার এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি বজ্রপাতের উল্লেখযোগ্য কারন।

বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো আকাশে ঘন-কালো মেঘ দেখলে যথাসম্ভব বাড়িতে অবস্থান করা। বাড়িতে থাকাকালীন জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় না থাকা এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি থেকে দূরে থাকা।

ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করা। বজ্রপাত ও ঝরের সময় ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করা। অতি জরুরি প্রয়োজনে বাহিরে গেলে রাবারের জুতা এবং প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা। ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকা; খোলা জায়গায়, মাঠে বা কোন বড় গাছের নিচে অবস্থান না করা। নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকা। গাড়িতে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ না ঘটানো; নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে অবস্থান করা। খোলা মাঠে থাকলে পায়ের অঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকা।

রাসেল মিয়া