জার্মান করপোরেশন এবং কাতার ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট (কিউএফএফডি)-এর অর্থায়নে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) গতকাল এক্সেলেটর ল্যাব-বাংলাদেশ নামে একটি নতুন উদ্যোগের উদ্বোধন করেছে। এটি এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জসমূহকে হ্রাস করার মাধ্যমে, এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘ইউএনডিপির এক্সিলারেটর ল্যাবের মতো একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে সহায়তা করবে।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিপিপিএ ও ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব যৌথভাবে এসডিজি অর্জনে নতুন ধারা যোগ করতে পারে।’
আলোচকদের মধ্যে আরও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘ইউএনডিপি সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছে। নতুন চালু হওয়া এই এক্সিলারেটর ল্যাব বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বৈষম্য এবং কোভিড-১৯-এর ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসহ অন্যান্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ এক্সিলারেটর ল্যাব, এসডিজি অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো হ্রাস করার জন্য, গৃহীত সব উদ্যোগকে সমন্বিত করবে এই আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম আলোচকদের মাঝে উপস্থিত থেকে বলেন, ‘আইসিটির সহায়তায় আমরা এই মহামারীর ফলে সৃষ্ট নতুন জীবনযাত্রার সঙ্গে খাপ খায়িয়ে নিচ্ছি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব, মহামারীর কারণে, সৃষ্ট ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাস করতে আমাদের সহায়তা করতে পারে।’
আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুয়েনা আজিজ মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইউএনডিপির মতো, উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে থাকাটা অবশ্যই জরুরি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব, তাদের নতুন প্রযুক্তি, নতুন ধারণা ইত্যাদির মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে সহায়তা করবে।’
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি ন্যুয়েন ভ্যান, এক্সেলারেটর ল্যাব নেটওয়ার্কের টিম লিডার জিনা লুকেরেলি।
২০১৯ সালে ইউএনডিপি এসডিজি উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলোর ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুততম লার্নিং নেটওয়ার্ক, এক্সিলারেটর ল্যাবগুলো শুরু করে। ৭৮টি দেশের ৯১টি ল্যাব নিয়ে শুরু হওয়া, এই নেটওয়ার্কটি এখন বাংলাদেশসহ ১১৫টি দেশের ৯১টি ল্যাবের মাধ্যেম তাদের কাজ পরিচালনা করছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই, ল্যাবগুলো ১৭টি এসডিজি অর্জনে প্রায় ১৭০০টিরও বেশি তৃণমূলভিত্তিক উদ্যোগে সংগৃহীত করেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
জার্মান করপোরেশন এবং কাতার ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট (কিউএফএফডি)-এর অর্থায়নে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) গতকাল এক্সেলেটর ল্যাব-বাংলাদেশ নামে একটি নতুন উদ্যোগের উদ্বোধন করেছে। এটি এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জসমূহকে হ্রাস করার মাধ্যমে, এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘ইউএনডিপির এক্সিলারেটর ল্যাবের মতো একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশনে সহায়তা করবে।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘এসডিজি অর্জনে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিপিপিএ ও ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব যৌথভাবে এসডিজি অর্জনে নতুন ধারা যোগ করতে পারে।’
আলোচকদের মধ্যে আরও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘ইউএনডিপি সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছে। নতুন চালু হওয়া এই এক্সিলারেটর ল্যাব বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বৈষম্য এবং কোভিড-১৯-এর ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসহ অন্যান্য আরও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ এক্সিলারেটর ল্যাব, এসডিজি অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো হ্রাস করার জন্য, গৃহীত সব উদ্যোগকে সমন্বিত করবে এই আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম আলোচকদের মাঝে উপস্থিত থেকে বলেন, ‘আইসিটির সহায়তায় আমরা এই মহামারীর ফলে সৃষ্ট নতুন জীবনযাত্রার সঙ্গে খাপ খায়িয়ে নিচ্ছি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব, মহামারীর কারণে, সৃষ্ট ডিজিটাল ডিভাইড হ্রাস করতে আমাদের সহায়তা করতে পারে।’
আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুয়েনা আজিজ মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইউএনডিপির মতো, উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে থাকাটা অবশ্যই জরুরি। ইউএনডিপির এক্সেলারেটর ল্যাব, তাদের নতুন প্রযুক্তি, নতুন ধারণা ইত্যাদির মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে সহায়তা করবে।’
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি ন্যুয়েন ভ্যান, এক্সেলারেটর ল্যাব নেটওয়ার্কের টিম লিডার জিনা লুকেরেলি।
২০১৯ সালে ইউএনডিপি এসডিজি উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলোর ভিত্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুততম লার্নিং নেটওয়ার্ক, এক্সিলারেটর ল্যাবগুলো শুরু করে। ৭৮টি দেশের ৯১টি ল্যাব নিয়ে শুরু হওয়া, এই নেটওয়ার্কটি এখন বাংলাদেশসহ ১১৫টি দেশের ৯১টি ল্যাবের মাধ্যেম তাদের কাজ পরিচালনা করছে। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই, ল্যাবগুলো ১৭টি এসডিজি অর্জনে প্রায় ১৭০০টিরও বেশি তৃণমূলভিত্তিক উদ্যোগে সংগৃহীত করেছে।