ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় প্রায় তিন মাস পূর্বে মাসকান্দা ও মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫০জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়নের অধিকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ আওতায় আধাপাকা ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সে সব ঘরে নেই বিদ্যুৎ, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, বসানো হয়নি নলকূপ, ঘর হস্তান্তরে তিন মাস চলতে থাকলে ও ঘরে উঠেনি দুই তৃতীয়াংশ বাসিন্দা।ঘর প্রতি ১লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায় বরাদ্দে ঘর নিমানে কার চুপির অভিযোগ ওঠে আসে। তিনমাস যেতেনা যেতেই ফেটে যায় ফ্লোর, পিলার। নি¤œমানের উপকর ব্যবহার করায় প্রতিটি বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পরে । ভাঙতে শুরু করেবাথ রুমে দেয়া প্লাষ্টিকের দরজা। ধ্বসে যায় একটি ঘরের একাংশ। মাধবপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রের ৩৫জন বাসিন্দার স্থলে ঘরে উঠেন বারো জন। বাকি ঘর গুলোতে তালা ঝুলছে। নেই বিদ্যুৎ, রয়েছে পানীয় জলের ব্যাবস্থাসহ নানা অভিযোগ। এ নিয়ে গত ২৩এপ্রিল সংবাদে ‘মাসকান্দা-মাধবপুর আশ্রয়নপ্রকল্প, নির্মানের ৩মাসেই ঘরে ঘরে ফাটল। নেই বিদ্যুৎ-পানি। নানা সমস্যায় ঘরে উঠেনি অধিকাংশ বাসিন্দা। এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে ওই দিনই উপজেলা নিবার্হী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা জাকারিয়া আলম তালুকদার মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরপর দিনই সিমেন্ট বালু, ইট সরবরাহ করা হয় ওখানে। শুরু হয় পুনঃনির্মান, সংস্কার ও উপকরন পরিবর্তনের কাজ। আশ্রয়ন প্রকল্পে ডেকে আনা হয় এক দল রাজমিস্ত্রীকে। একই সঙ্গে ঘরেনাউঠা ২৩ বাসিন্দাকেঘরে তোলার চেষ্টা চালানো হয়। গত ২৬ এপ্রিল মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় ৩৫ বাথরুমের পূর্বে লাগানো প্লাস্টিকের কমোড পরিবর্তন করে মানসম্মত কমোড লাগানোর কাজ চলছে। লাগানো হয় ইফেন। ৭ বাথরুমের ভেঙ্গে যাওয়া দরজা পরিবর্তন করেনতুন দরজা লাগানো হয়। একটি ঘরের এক অংশ ধেবে যাওয়া ঘরটি পুনঃনির্মান করা হয়। ঘর নম্বর ৩৫,১৩,১৪,০৫,২৬ ঘরের পিলার মেরামতকরা হয়। অপরদিকে ৭টি ঘরের প্রবেশ পথে সিড়ি নির্মানসহ নানা ধরনের পুনসংস্কার নির্মান চলছে। দ্রুতবিদু্যুৎ ও পানীয়জলের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট জন স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ বিভাগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২
প্রতিনিধি, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় প্রায় তিন মাস পূর্বে মাসকান্দা ও মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫০জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়নের অধিকার প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ আওতায় আধাপাকা ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সে সব ঘরে নেই বিদ্যুৎ, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, বসানো হয়নি নলকূপ, ঘর হস্তান্তরে তিন মাস চলতে থাকলে ও ঘরে উঠেনি দুই তৃতীয়াংশ বাসিন্দা।ঘর প্রতি ১লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায় বরাদ্দে ঘর নিমানে কার চুপির অভিযোগ ওঠে আসে। তিনমাস যেতেনা যেতেই ফেটে যায় ফ্লোর, পিলার। নি¤œমানের উপকর ব্যবহার করায় প্রতিটি বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পরে । ভাঙতে শুরু করেবাথ রুমে দেয়া প্লাষ্টিকের দরজা। ধ্বসে যায় একটি ঘরের একাংশ। মাধবপুর আশ্রয়ন কেন্দ্রের ৩৫জন বাসিন্দার স্থলে ঘরে উঠেন বারো জন। বাকি ঘর গুলোতে তালা ঝুলছে। নেই বিদ্যুৎ, রয়েছে পানীয় জলের ব্যাবস্থাসহ নানা অভিযোগ। এ নিয়ে গত ২৩এপ্রিল সংবাদে ‘মাসকান্দা-মাধবপুর আশ্রয়নপ্রকল্প, নির্মানের ৩মাসেই ঘরে ঘরে ফাটল। নেই বিদ্যুৎ-পানি। নানা সমস্যায় ঘরে উঠেনি অধিকাংশ বাসিন্দা। এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে ওই দিনই উপজেলা নিবার্হী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা জাকারিয়া আলম তালুকদার মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরপর দিনই সিমেন্ট বালু, ইট সরবরাহ করা হয় ওখানে। শুরু হয় পুনঃনির্মান, সংস্কার ও উপকরন পরিবর্তনের কাজ। আশ্রয়ন প্রকল্পে ডেকে আনা হয় এক দল রাজমিস্ত্রীকে। একই সঙ্গে ঘরেনাউঠা ২৩ বাসিন্দাকেঘরে তোলার চেষ্টা চালানো হয়। গত ২৬ এপ্রিল মাধবপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় ৩৫ বাথরুমের পূর্বে লাগানো প্লাস্টিকের কমোড পরিবর্তন করে মানসম্মত কমোড লাগানোর কাজ চলছে। লাগানো হয় ইফেন। ৭ বাথরুমের ভেঙ্গে যাওয়া দরজা পরিবর্তন করেনতুন দরজা লাগানো হয়। একটি ঘরের এক অংশ ধেবে যাওয়া ঘরটি পুনঃনির্মান করা হয়। ঘর নম্বর ৩৫,১৩,১৪,০৫,২৬ ঘরের পিলার মেরামতকরা হয়। অপরদিকে ৭টি ঘরের প্রবেশ পথে সিড়ি নির্মানসহ নানা ধরনের পুনসংস্কার নির্মান চলছে। দ্রুতবিদু্যুৎ ও পানীয়জলের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট জন স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎ বিভাগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।