জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মল ও নদী, খালের পানির নমুনা পরীক্ষা করে তাতে কলেরা জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)এর প্রতিনিধি দল। গত সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ডায়রিয়া রোগীর মল নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে তাতে দুইজন ডায়রিয়া রোগীর কলেরায় জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা সংবাদকে জানান, তিনি আরও জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) প্রতিষ্ঠানের ডা. জাহিদুল ইসলাম ও ডা. রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার দুপুরে মির্জাগঞ্জ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এ সময়ে তারা হাসপাতালের ৬ জন ডায়রিয়া রোগীর মলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। তাতে ২ জন রোগীর কলেরার জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পরে। এর সাথে ওই রোগীর করোনার রেপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট করানো হলে তাদের রিপোট নেগেটিভ আসে। এ সফরের সময় আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল উপজেলার বেশ কয়েকটি পুকুর, খাল ও ডোবার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান।এদিকে উপজেলার ৬টি স্থানে পানির নমুনা পরীক্ষা করে ২টি স্থানে নদী, খাল,পুকুরের পানিতে কলেরার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে আইইডিসিআর প্রতিনিধি দলের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন। তিনি আরো জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ক্ষরার কারণে নদী, খাল ও পুকুরের পানি লবণাক্ত দেখা দিয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে জনসাধারনের সব কাজে টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করেন।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২
প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মল ও নদী, খালের পানির নমুনা পরীক্ষা করে তাতে কলেরা জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)এর প্রতিনিধি দল। গত সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত মির্জাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ডায়রিয়া রোগীর মল নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে তাতে দুইজন ডায়রিয়া রোগীর কলেরায় জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে বলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা সংবাদকে জানান, তিনি আরও জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) প্রতিষ্ঠানের ডা. জাহিদুল ইসলাম ও ডা. রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার দুপুরে মির্জাগঞ্জ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। এ সময়ে তারা হাসপাতালের ৬ জন ডায়রিয়া রোগীর মলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। তাতে ২ জন রোগীর কলেরার জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পরে। এর সাথে ওই রোগীর করোনার রেপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট করানো হলে তাদের রিপোট নেগেটিভ আসে। এ সফরের সময় আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল উপজেলার বেশ কয়েকটি পুকুর, খাল ও ডোবার পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান।এদিকে উপজেলার ৬টি স্থানে পানির নমুনা পরীক্ষা করে ২টি স্থানে নদী, খাল,পুকুরের পানিতে কলেরার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে আইইডিসিআর প্রতিনিধি দলের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন। তিনি আরো জানান, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ক্ষরার কারণে নদী, খাল ও পুকুরের পানি লবণাক্ত দেখা দিয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে জনসাধারনের সব কাজে টিউবয়েলের পানি ব্যবহার করেন।