দেশেই উৎপাদন হবে চীন ও রাশিয়ার টিকা

দ্রুত ফুরিয়ে আসছে দেশে করোনা টিকার মজুদ। চুক্তি থাকলেও টিকা আসছে না ভারত থেকে। সরকারের মজুদে গতকাল পর্যন্ত ১৮ লাখেরও কম ডোজ টিকা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের করোনার টিকা দেশেই উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের কোন ওষুধ কোম্পানিকে বিদেশি টিকা উৎপাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অন্য উৎস থেকে টিকা আনার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। তবে দেশের কোন কোম্পানি এই টিকা উৎপাদনের কাজ পাচ্ছে সেটি এখনও ঠিক হয়নি।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাশিয়া ও চীনের দুই কোম্পানির টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ‘অতি দ্রুত’ বাস্তবায়ন করা হবে।

এর আগে ২৭ এপ্রিল ‘স্পুৎনিক ভি’ বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চীনের সিনোফার্মের (চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ) টিকা অনুমোদনের বিষয়েও দ্রুত কাজ চলছে। দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চুক্তি হলেও দুই সপ্তাহের আগে রাশিয়া থেকে টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। আগামী মাসেই রাশিয়া থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আসতে পারে বলে আশা করছে সরকার।

অর্থমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল বিকল্প সোর্স থেকেও সরকার ভ্যাকসিন কিনবে বা সংগ্রহ করব। এর মানে এই নয় যে, বর্তমান যে সোর্স রয়েছে, সেটি বাতিল হয়ে গেছে। ভারত থেকে যে টিকা আনা হচ্ছে, সেটি অ্যাকটিভ আছে।

বিকল্প হিসেবে রাশিয়ান স্পুৎনিক এবং চীনের সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এই দুটি দেশ বা এই দুটি ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’

দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে পপুলার (ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেড), ইনসেপ্টা (ফার্মাসিউটিক্যালস) এবং হেলথকেয়ার (ফার্মাসিউটিক্যালস) টিকা তৈরি করতে পারে। ইনসেপ্টা রাশিয়ার সঙ্গে এরইমধ্যে কথাবার্তা শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা বলেছে আমাদের দেশে টিকা তৈরি করা যায় কিনা। টেকনোলজি ট্রান্সফারও হতে পারে, আবার বাল্ক এনে ফিলার ফিনিশও হতে পারে। কিনে এনেও হতে পারে।... আমাদের দেশেই এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৫০ শয্যার অ্যাজমা সেন্টারে কোভিড ইউনিট উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন, চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা আমদানির জন্য শীঘ্রই একটি চুক্তি হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। চায়নার সঙ্গেও চিঠিপত্র আদান-প্রদান করেছি। অল্পসময়ের মধ্যে আমরা সিনোফার্মের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হতে পারব।’

এদিকে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার স্পুৎনিক ও চীনের সাইনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে তৈরির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কোন কোম্পানি এই টিকা বানাবে সেটি আলোচনায় ওঠে আসেনি। তে দেশি কোম্পানিগুলোর সেই সক্ষমতা আছে, এটা আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।’

নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির নাম আলোচনায় ওঠেছিল কিনা- জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমোদনটা দেয়া হয়েছে। কোন বিশেষ কোম্পানির নাম আলোচনায় আসেনি। বলা হয়েছে, যারা সক্ষম কেবল তাদের দিয়ে উৎপাদন করানো হবে। এ বিষয়ে কারিগরি কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করেছে। অতি দ্রুততার সঙ্গে এটা বাস্তবায়ন হবে।’

টিকা উৎপাদনে ব্যয়ের বিষয়ে ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘এই টিকা উৎপাদনের জন্য যে টাকা খরচ হবে সেটা পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিটিতে অনুমোদন দেয়া হবে, তখন জানা যাবে। চীনও সিনোভ্যাক্স উৎপাদনের বিষয়ে আলাপ করেছে। বাংলাদেশ ও চীন দুই পক্ষই এটি উৎপাদনে একমত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে উৎপাদন হবে।’

বর্তমানে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকা দিয়ে দেশে করোনা প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেরাম থেকে কেনা টিকা এবং ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা ছিল সরকারের কাছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে গতকাল পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৮০১ ডোজ। এ হিসেবে সরকারের কাছে বর্তমানে মজুদ রয়েছে মাত্র ১৭ লাখ ৮২ হাজার ১৯৯ ডোজ টিকা।

চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা’র টিকা সরবরাহ করতে পারছে না। কারণ নিজ দেশে করোনা সংক্রমণ বিপর্যয়ে রূপ নেয়ায় টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এ কারণে বিকল্প সোর্স হিসেবে রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু ভারত থেকে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২

দেশেই উৎপাদন হবে চীন ও রাশিয়ার টিকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দ্রুত ফুরিয়ে আসছে দেশে করোনা টিকার মজুদ। চুক্তি থাকলেও টিকা আসছে না ভারত থেকে। সরকারের মজুদে গতকাল পর্যন্ত ১৮ লাখেরও কম ডোজ টিকা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের করোনার টিকা দেশেই উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের কোন ওষুধ কোম্পানিকে বিদেশি টিকা উৎপাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অন্য উৎস থেকে টিকা আনার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। তবে দেশের কোন কোম্পানি এই টিকা উৎপাদনের কাজ পাচ্ছে সেটি এখনও ঠিক হয়নি।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাশিয়া ও চীনের দুই কোম্পানির টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ‘অতি দ্রুত’ বাস্তবায়ন করা হবে।

এর আগে ২৭ এপ্রিল ‘স্পুৎনিক ভি’ বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চীনের সিনোফার্মের (চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ) টিকা অনুমোদনের বিষয়েও দ্রুত কাজ চলছে। দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চুক্তি হলেও দুই সপ্তাহের আগে রাশিয়া থেকে টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। আগামী মাসেই রাশিয়া থেকে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আসতে পারে বলে আশা করছে সরকার।

অর্থমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব ছিল বিকল্প সোর্স থেকেও সরকার ভ্যাকসিন কিনবে বা সংগ্রহ করব। এর মানে এই নয় যে, বর্তমান যে সোর্স রয়েছে, সেটি বাতিল হয়ে গেছে। ভারত থেকে যে টিকা আনা হচ্ছে, সেটি অ্যাকটিভ আছে।

বিকল্প হিসেবে রাশিয়ান স্পুৎনিক এবং চীনের সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এই দুটি দেশ বা এই দুটি ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’

দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে পপুলার (ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেড), ইনসেপ্টা (ফার্মাসিউটিক্যালস) এবং হেলথকেয়ার (ফার্মাসিউটিক্যালস) টিকা তৈরি করতে পারে। ইনসেপ্টা রাশিয়ার সঙ্গে এরইমধ্যে কথাবার্তা শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা বলেছে আমাদের দেশে টিকা তৈরি করা যায় কিনা। টেকনোলজি ট্রান্সফারও হতে পারে, আবার বাল্ক এনে ফিলার ফিনিশও হতে পারে। কিনে এনেও হতে পারে।... আমাদের দেশেই এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৫০ শয্যার অ্যাজমা সেন্টারে কোভিড ইউনিট উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন, চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা আমদানির জন্য শীঘ্রই একটি চুক্তি হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। চায়নার সঙ্গেও চিঠিপত্র আদান-প্রদান করেছি। অল্পসময়ের মধ্যে আমরা সিনোফার্মের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হতে পারব।’

এদিকে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার স্পুৎনিক ও চীনের সাইনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে তৈরির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কোন কোম্পানি এই টিকা বানাবে সেটি আলোচনায় ওঠে আসেনি। তে দেশি কোম্পানিগুলোর সেই সক্ষমতা আছে, এটা আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।’

নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির নাম আলোচনায় ওঠেছিল কিনা- জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমোদনটা দেয়া হয়েছে। কোন বিশেষ কোম্পানির নাম আলোচনায় আসেনি। বলা হয়েছে, যারা সক্ষম কেবল তাদের দিয়ে উৎপাদন করানো হবে। এ বিষয়ে কারিগরি কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করেছে। অতি দ্রুততার সঙ্গে এটা বাস্তবায়ন হবে।’

টিকা উৎপাদনে ব্যয়ের বিষয়ে ড. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘এই টিকা উৎপাদনের জন্য যে টাকা খরচ হবে সেটা পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিটিতে অনুমোদন দেয়া হবে, তখন জানা যাবে। চীনও সিনোভ্যাক্স উৎপাদনের বিষয়ে আলাপ করেছে। বাংলাদেশ ও চীন দুই পক্ষই এটি উৎপাদনে একমত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে উৎপাদন হবে।’

বর্তমানে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকা দিয়ে দেশে করোনা প্রতিরোধে টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেরাম থেকে কেনা টিকা এবং ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া মোট এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা ছিল সরকারের কাছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে গতকাল পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৮০১ ডোজ। এ হিসেবে সরকারের কাছে বর্তমানে মজুদ রয়েছে মাত্র ১৭ লাখ ৮২ হাজার ১৯৯ ডোজ টিকা।

চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা’র টিকা সরবরাহ করতে পারছে না। কারণ নিজ দেশে করোনা সংক্রমণ বিপর্যয়ে রূপ নেয়ায় টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এ কারণে বিকল্প সোর্স হিসেবে রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। কিন্তু ভারত থেকে টিকা পেতে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।