টানা ১২ দিন সংক্রমণ হার কমেছে

বেড়েছে সেবা পেতে মানুষের কলসংখ্যা

টানা ১২ দিন দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার কমেছে। রোগী শনাক্তের সংখ্যাও কমছে কিন্তু গত তিনদিন ধরে ‘কোভিড-১৯’ সংক্রান্ত সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত তিনটি নম্বরে টেলিফোন ‘কল’ বেড়েছে। নম্বর তিনটি হলোÑ স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), ৩৩৩ এবং আইইডিসিআর (১০৬৫৫)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দশদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই তিনটি নম্বরে গড়ে দৈনিক ১৯ থেকে ২০ হাজার ফোন ‘কল’ এসেছে। লোকজন টেলিফোনের মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯’ সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

কিন্তু গত তিনদিনে এই ফোন ‘কল’ সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গত ২৫ এপ্রিল ‘কল’ আসে ১৯ হাজার ৩৫৩টি। পরদিন ‘কল’ সংখ্যা এক লাফে পাঁচ হাজার বৃদ্ধি পায়। ২৬ এপ্রিল তিনটি নম্বরে ‘কল’ আসে ২৪ হাজার ৪২৮টি। ২৭ এপ্রিল ফোন ‘কল’ সংখ্যা দশ হাজার বেড়ে যায়। ওইদিন ‘কল’ আসে ৩৪ হাজার ৯৪১টি।

সর্বশেষ গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ওই তিনটি নম্বরে টেলিফোন ‘কল’ আসে ৩৫ হাজার ৫৯৮টি।

কোভিড-১৯ সেবা পেতে হঠাৎ ফোন ‘কল’ সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা নিতেই মানুষজন ফোন কল করেছেন। গত কয়েকদিনে মানুষ বেশি ফোন করেছেন; এ কারণে কল সংখ্যা বেশি।’

ফোন কল বৃদ্ধির সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির যোগ রয়েছে কিনাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা বলতে পারব না... সংক্রমণ বাড়েনি।

টানা ১২ দিন শনাক্তের হার কমেছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১২ দিনই নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা শনাক্ত কমেছে। একইসঙ্গে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমছে।

গত ১৬ এপ্রিল চার হাজার ৪১৭ জনের করোনা শনাক্ত; ১০১ জনের মৃত্যু এবং নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এরপর ১৭ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ; ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ; ২০ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ; ২১ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ; ২২ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ; ২৩ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ০০ শতাংশ; ২৪ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ; ২৫ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ; ২৬ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ; ২৭ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত নামল ১০ শতাংশে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯৫৫ জনের। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে।

গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৩০৫ জনে।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

গত একদিনে সারাদেশে ৩৫৮টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ; এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন এবং নারী ৩৪ জন। এর মধ্যে ৪৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। আর দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১১ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ২৬৯ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৬ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৫২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, আটজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং দুইজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুইজন সিলেট বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের এবং দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২

টানা ১২ দিন সংক্রমণ হার কমেছে

বেড়েছে সেবা পেতে মানুষের কলসংখ্যা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

টানা ১২ দিন দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার কমেছে। রোগী শনাক্তের সংখ্যাও কমছে কিন্তু গত তিনদিন ধরে ‘কোভিড-১৯’ সংক্রান্ত সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্ধারিত তিনটি নম্বরে টেলিফোন ‘কল’ বেড়েছে। নম্বর তিনটি হলোÑ স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), ৩৩৩ এবং আইইডিসিআর (১০৬৫৫)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দশদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই তিনটি নম্বরে গড়ে দৈনিক ১৯ থেকে ২০ হাজার ফোন ‘কল’ এসেছে। লোকজন টেলিফোনের মাধ্যমে ‘কোভিড-১৯’ সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

কিন্তু গত তিনদিনে এই ফোন ‘কল’ সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। গত ২৫ এপ্রিল ‘কল’ আসে ১৯ হাজার ৩৫৩টি। পরদিন ‘কল’ সংখ্যা এক লাফে পাঁচ হাজার বৃদ্ধি পায়। ২৬ এপ্রিল তিনটি নম্বরে ‘কল’ আসে ২৪ হাজার ৪২৮টি। ২৭ এপ্রিল ফোন ‘কল’ সংখ্যা দশ হাজার বেড়ে যায়। ওইদিন ‘কল’ আসে ৩৪ হাজার ৯৪১টি।

সর্বশেষ গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ওই তিনটি নম্বরে টেলিফোন ‘কল’ আসে ৩৫ হাজার ৫৯৮টি।

কোভিড-১৯ সেবা পেতে হঠাৎ ফোন ‘কল’ সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা নিতেই মানুষজন ফোন কল করেছেন। গত কয়েকদিনে মানুষ বেশি ফোন করেছেন; এ কারণে কল সংখ্যা বেশি।’

ফোন কল বৃদ্ধির সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির যোগ রয়েছে কিনাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা আমরা বলতে পারব না... সংক্রমণ বাড়েনি।

টানা ১২ দিন শনাক্তের হার কমেছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ১২ দিনই নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা শনাক্ত কমেছে। একইসঙ্গে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কমছে।

গত ১৬ এপ্রিল চার হাজার ৪১৭ জনের করোনা শনাক্ত; ১০১ জনের মৃত্যু এবং নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এরপর ১৭ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ; ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ; ২০ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ; ২১ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ; ২২ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ; ২৩ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ০০ শতাংশ; ২৪ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ; ২৫ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ; ২৬ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ; ২৭ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত নামল ১০ শতাংশে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৯৫৫ জনের। তাদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে।

গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৩০৫ জনে।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

গত একদিনে সারাদেশে ৩৫৮টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি।

গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ; এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন এবং নারী ৩৪ জন। এর মধ্যে ৪৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। আর দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১১ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ২৬৯ জন এবং নারী তিন হাজার ৩৬ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৫২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, আটজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং দুইজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন রাজশাহী বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুইজন সিলেট বিভাগের, একজন রংপুর বিভাগের এবং দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।