ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে

শনাক্তের নতুন রেকর্ড

ভারতে একদিনে তিন লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ভারতে তো বটেই, বিশ্বেও এই প্রথম কোনও একটি দেশে একদিনে এতো বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলো। গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কখনও এক লাখ পেরোয়নি। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ অতিক্রম করে। তার ১০ দিন পর, ১৫ এপ্রিল শনাক্ত ছাড়ায় দুই লাখের গ-ি। এর এক সপ্তাহের মাথায় এ সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ায়, যা এরইমধ্যে তিন লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৯৩ জনের। করোনাভাইরাসের জেরে এই প্রথম দেশটিতে একদিনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়াল। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সাড়ে তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

তিন লাখ ৬০ হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭। আক্রান্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯৬ হাজার।

ভারতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৯। এই বিপুল সংখ্যক সক্রিয় রোগীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। রোজ অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন শুধু অক্সিজেনের অভাবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখেরও বেশি। সংক্রমণ হার ছাড়িয়েছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ করোনা পরীক্ষা হওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের পরিষেবা দেয়ার পরিসর ক্রমেই কমে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই একই শয্যায় একাধিক রোগীকে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক জায়গাতেই অস্থায়ী কোভিড কেয়ার কেন্দ্র তৈরি করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গিয়ে একেবারে হিমশিম অবস্থা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর মধ্যেই খারাপ খবর পেলেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোদির চাচি নর্মদাবেন মোদির মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ১০ দিন আগে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। সেখানে তার করোনাভাইরাসের চিকিৎসা চলছিল।

প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই প্রহ্লাদ মোদি জানিয়েছেন, তাদের চাচিকে ১০ দিন আগে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোদি পরিবারে শোক নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২

ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে

শনাক্তের নতুন রেকর্ড

image

ভারতে একদিনে তিন লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ভারতে তো বটেই, বিশ্বেও এই প্রথম কোনও একটি দেশে একদিনে এতো বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলো। গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কখনও এক লাখ পেরোয়নি। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ অতিক্রম করে। তার ১০ দিন পর, ১৫ এপ্রিল শনাক্ত ছাড়ায় দুই লাখের গ-ি। এর এক সপ্তাহের মাথায় এ সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ায়, যা এরইমধ্যে তিন লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৯৩ জনের। করোনাভাইরাসের জেরে এই প্রথম দেশটিতে একদিনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়াল। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সাড়ে তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

তিন লাখ ৬০ হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭। আক্রান্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯৬ হাজার।

ভারতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৯। এই বিপুল সংখ্যক সক্রিয় রোগীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। রোজ অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন শুধু অক্সিজেনের অভাবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখেরও বেশি। সংক্রমণ হার ছাড়িয়েছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ করোনা পরীক্ষা হওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের পরিষেবা দেয়ার পরিসর ক্রমেই কমে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই একই শয্যায় একাধিক রোগীকে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক জায়গাতেই অস্থায়ী কোভিড কেয়ার কেন্দ্র তৈরি করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গিয়ে একেবারে হিমশিম অবস্থা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর মধ্যেই খারাপ খবর পেলেন তিনি।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোদির চাচি নর্মদাবেন মোদির মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ১০ দিন আগে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। সেখানে তার করোনাভাইরাসের চিকিৎসা চলছিল।

প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই প্রহ্লাদ মোদি জানিয়েছেন, তাদের চাচিকে ১০ দিন আগে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোদি পরিবারে শোক নেমে এসেছে।