ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেখিয়ে খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করছেন শরীফ আহাম্মেদ

তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেখিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরে উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চাকরি করছেন রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ দেওয়ান তুলি এলাকার শরীফ আহাম্মেদ। পুরো বিষয় খাদ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবার পরেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সবুজ আহাম্মেদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেবার অভিযোগ ওঠেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে ২০১৪ সালে শরীফ আহাম্মেদ তার বাবা বাহারুল ইসলাম কামালকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভুয়া সনদপত্র তৈরি করে খাদ্য বিভাগে উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে চাকরি বাগিয়ে নেয়। সে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্য গুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি দেবার ঘটনায় অনেকের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় তার বাবা বাহারুল ইসলাম কামাল কোন দিন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন। তার সার্টিফিকেটটিও জাল। এর সত্যতা মিলে তার নিজের ছোট বোন ২০১০-১১ শিক্ষা বর্ষে দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তদন্ত করে দেখতে পায় ওটি ভুয়া সার্টিফিকেট। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার ছাত্রত্ব ২০১৩ সালে বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগে আরও জানা গেছে শরীফ আহাম্মেদের আপন চাচা রবিউল ইসলাম জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি নেবার বিষয়টি জানাজানি হলে সে খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে শরীফ আহাম্মেদ তারাগঞ্জ খাদ্য গুদামে কর্মরত আছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে খাদ্য বিভাগে চাকরিরত শরীফ আহাম্মেদের সঙ্গে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বিভাগীয় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকরি করছে শরীফ আহাম্মেদ।

এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ কিভাবে কোন খুঁটির জোরে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে খাদ্য বিভাগে চাকরি করছে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেখিয়ে খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করছেন শরীফ আহাম্মেদ

তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট দেখিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরে উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চাকরি করছেন রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ দেওয়ান তুলি এলাকার শরীফ আহাম্মেদ। পুরো বিষয় খাদ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবার পরেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সবুজ আহাম্মেদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেবার অভিযোগ ওঠেছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে ২০১৪ সালে শরীফ আহাম্মেদ তার বাবা বাহারুল ইসলাম কামালকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভুয়া সনদপত্র তৈরি করে খাদ্য বিভাগে উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে চাকরি বাগিয়ে নেয়। সে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্য গুদামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি টাকার মালিক হয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি দেবার ঘটনায় অনেকের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় তার বাবা বাহারুল ইসলাম কামাল কোন দিন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন। তার সার্টিফিকেটটিও জাল। এর সত্যতা মিলে তার নিজের ছোট বোন ২০১০-১১ শিক্ষা বর্ষে দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট তদন্ত করে দেখতে পায় ওটি ভুয়া সার্টিফিকেট। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার ছাত্রত্ব ২০১৩ সালে বাতিল করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগে আরও জানা গেছে শরীফ আহাম্মেদের আপন চাচা রবিউল ইসলাম জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি নেবার বিষয়টি জানাজানি হলে সে খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে শরীফ আহাম্মেদ তারাগঞ্জ খাদ্য গুদামে কর্মরত আছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে খাদ্য বিভাগে চাকরিরত শরীফ আহাম্মেদের সঙ্গে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বিভাগীয় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকরি করছে শরীফ আহাম্মেদ।

এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ কিভাবে কোন খুঁটির জোরে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে খাদ্য বিভাগে চাকরি করছে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানানো হয়েছে।