নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লায় এক ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী হাবিবুর রহমান (৪০) মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার ভোরে স্ত্রী আলেয়া বেগমের (৪০) মৃত্যু হয় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হাবিবুর রহমানের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু হলো। অন্যরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। গত শুক্রবার ভোরে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় তিনতলার ফ্ল্যাটে লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক শিশুসহ দুটি পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে শিশুসহ ৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের দুটি রুমের দেয়াল উড়ে গিয়ে পাশের দোতলা ভবনের ছাদে পড়ে। ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের দরজা-জানালার কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া পাশের দোতলা ভবনের দরজা-জানালা ও দেয়ালে ফাটল ধরে। জেলা প্রশাসন ওই ফ্ল্যাটটি সীলগালা করে দিয়েছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ১৬ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লায় এক ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী হাবিবুর রহমান (৪০) মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার ভোরে স্ত্রী আলেয়া বেগমের (৪০) মৃত্যু হয় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হাবিবুর রহমানের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু হলো। অন্যরা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। গত শুক্রবার ভোরে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় তিনতলার ফ্ল্যাটে লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক শিশুসহ দুটি পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে শিশুসহ ৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের দুটি রুমের দেয়াল উড়ে গিয়ে পাশের দোতলা ভবনের ছাদে পড়ে। ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের দরজা-জানালার কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া পাশের দোতলা ভবনের দরজা-জানালা ও দেয়ালে ফাটল ধরে। জেলা প্রশাসন ওই ফ্ল্যাটটি সীলগালা করে দিয়েছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে।