টিকা কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে

গত ৭ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য কিন্তু সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর অনেকেই পড়েছেন নানা বিপত্তিতে। কেউ ঢাকার বাইরে আবার কেউ ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসার কারণে তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়েছেন।

এতদিন টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানানো হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, যারা ঢাকার বাইরে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। এ পাঁচটি হাসপাতাল হলো- কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (কিডনি হাসপাতাল), জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর উপজেলা ছাড়া) ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যাবে।

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ পাঁচ হাজার ৬৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৪ জন, আর নারী ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৬৭ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৮৯ জন। অর্থাৎ, দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪২৪ জন।

অন্যদিকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর ৬৭তম দিনে গতকাল প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০ জন। যদিও ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকা গণহারে দেয়া বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় নিয়েছেন ১ জন। ঢাকার বাইরে ৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন। প্রসঙ্গত, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমজান ১৪৪২

টিকা কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গত ৭ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার জন্য কিন্তু সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর অনেকেই পড়েছেন নানা বিপত্তিতে। কেউ ঢাকার বাইরে আবার কেউ ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসার কারণে তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়েছেন।

এতদিন টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানানো হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, যারা ঢাকার বাইরে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। এ পাঁচটি হাসপাতাল হলো- কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (কিডনি হাসপাতাল), জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর উপজেলা ছাড়া) ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যাবে।

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ পাঁচ হাজার ৬৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৪ জন, আর নারী ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭০ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৬৭ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৮৯ জন। অর্থাৎ, দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৫০ ডোজ টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪২৪ জন।

অন্যদিকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর ৬৭তম দিনে গতকাল প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০ জন। যদিও ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকা গণহারে দেয়া বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় নিয়েছেন ১ জন। ঢাকার বাইরে ৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সারাদেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন। প্রসঙ্গত, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে।