চন্দ্রজয়ী নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন

১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রাখা অ্যাপোলো-১১ এর নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার ৯০ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বিবিসি।

কলিন্সের পরিবার সূত্র টুইটারে জানায়, তার শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব প্রতিকূলতা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন, শেষ সময়েও তা অটুট ছিল।

নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে একজন মহান পাইলট ও নভোচারীর বিদায়ে শোক প্রকাশ করেছে। তিনি এমন এক বন্ধু ছিলেন যিনি সবসময় মানুষের অগ্রযাত্রায় উৎসাহ দিতেন।

১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো-১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট।

১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ থেকে চন্দ্রযান ঈগল চাঁদের ট্রাঙ্কুইলিটি বেইসে অবতরণ করে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সময় ৯টা ৫৬ মিনিটে (০২৫৬ জিএমটিতে) নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাজ অলড্রিন চাঁদের পিঠে নেমে আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের অপরসঙ্গী মাইকেল কলিন্স মূল যানে থেকে অভিযানের এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়। চন্দ্রবিজয়ের অর্ধ শতক উপলক্ষে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কলিন্স।

সেখান থেকেই তাদের ঐতিহাসিক মিশন শুরু হয়েছিল। সেই দিনটি স্মরণ করে কলিন্স বলেছিলেন, ‘রকেটের যাত্রার শুরুতেই একটি ধাক্কা (শকওয়েভ) লাগল। পুরো শরীর যেন দুলছিল। এটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা... এটা বোঝার জন্য যে আসলে শক্তি বলতে কী বোঝায়।’

‘ওই সময় অভিযাত্রীরা তাদের কাঁধে গোটা বিশ্বের ভার অনুভব করে। আমরা জানতাম, পৃথিবীর সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, সে শত্রু হোক কিংবা মিত্র।’ এ তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। এখন শুধু বেঁচে আছেন বাজ অলড্রিন।

মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে নাসা তাকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়।

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমজান ১৪৪২

চন্দ্রজয়ী নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন

সংবাদ ডেস্ক |

image

১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রাখা অ্যাপোলো-১১ এর নভোচারী মাইকেল কলিন্স মারা গেছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার ৯০ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বিবিসি।

কলিন্সের পরিবার সূত্র টুইটারে জানায়, তার শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলেন। তিনি জীবনের সব প্রতিকূলতা একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন, শেষ সময়েও তা অটুট ছিল।

নাসার প্রশাসক স্টিভ জুরিক এক বিবৃতিতে বলেন, নাসা গভীর শোকের সঙ্গে একজন মহান পাইলট ও নভোচারীর বিদায়ে শোক প্রকাশ করেছে। তিনি এমন এক বন্ধু ছিলেন যিনি সবসময় মানুষের অগ্রযাত্রায় উৎসাহ দিতেন।

১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার অ্যাপোলো-১১। মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট।

১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ থেকে চন্দ্রযান ঈগল চাঁদের ট্রাঙ্কুইলিটি বেইসে অবতরণ করে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সময় ৯টা ৫৬ মিনিটে (০২৫৬ জিএমটিতে) নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাজ অলড্রিন চাঁদের পিঠে নেমে আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের অপরসঙ্গী মাইকেল কলিন্স মূল যানে থেকে অভিযানের এক অংশ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। কলিন্স চাঁদে নামেননি। এ কারণে তাকে ‘বিস্মৃত নভোচারী’ বলা হয়। চন্দ্রবিজয়ের অর্ধ শতক উপলক্ষে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কলিন্স।

সেখান থেকেই তাদের ঐতিহাসিক মিশন শুরু হয়েছিল। সেই দিনটি স্মরণ করে কলিন্স বলেছিলেন, ‘রকেটের যাত্রার শুরুতেই একটি ধাক্কা (শকওয়েভ) লাগল। পুরো শরীর যেন দুলছিল। এটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা... এটা বোঝার জন্য যে আসলে শক্তি বলতে কী বোঝায়।’

‘ওই সময় অভিযাত্রীরা তাদের কাঁধে গোটা বিশ্বের ভার অনুভব করে। আমরা জানতাম, পৃথিবীর সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, সে শত্রু হোক কিংবা মিত্র।’ এ তিনজনের মধ্যে আর্মস্ট্রং মারা যান ২০১২ সালে। এখন শুধু বেঁচে আছেন বাজ অলড্রিন।

মাইকেল কলিন্স ১৯৩০ সালে ইতালিতে জন্ম নেন। তার বাবা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল ছিলেন। কলিন্স যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৩ সালে নাসা তাকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেয়।