বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ

করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উপায় খুঁজতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। ১৯৯৮ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছর এই দিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ভার্সিটির শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবায় মানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। করোনা মহামারীর এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবাসহ সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমসহ করোনা মোকাবিলায় ও রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন একমাত্র সমাধান নয়। এটা স্বল্পতম সময়ের জন্য প্রযোজ্য। তছাড়া লকডাউনে মানুষের নানা সমস্যা হয়। করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উপায়সমূহ নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্তির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের উপায়সমূহ খুঁজে বের করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও অগ্রগতি ছাড়া কোন কিছুরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠেছে। আগামীদিনে শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এ দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হলোÑ আমরা যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব। বিশ্ব দরবারে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণার মানদ-ে রোল মডেলে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।

আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমজান ১৪৪২

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ

করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উপায় খুঁজতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

image

গতকাল জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী -সংবাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। ১৯৯৮ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছর এই দিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ভার্সিটির শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবায় মানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। করোনা মহামারীর এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবাসহ সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমসহ করোনা মোকাবিলায় ও রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন একমাত্র সমাধান নয়। এটা স্বল্পতম সময়ের জন্য প্রযোজ্য। তছাড়া লকডাউনে মানুষের নানা সমস্যা হয়। করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উপায়সমূহ নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্তির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের উপায়সমূহ খুঁজে বের করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও অগ্রগতি ছাড়া কোন কিছুরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠেছে। আগামীদিনে শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এ দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হলোÑ আমরা যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব। বিশ্ব দরবারে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণার মানদ-ে রোল মডেলে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।

আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।