চিঠিপত্র : হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে

হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে যে কঠোর বিধিনিষেধ চলেছে, তাতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চললেও সেটা পৌঁছাচ্ছে না সবার কাছে। এই সংকটে সরকারের ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বেশিরভাগই দেখা যাচ্ছে গ্রামকেন্দ্রিক। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচির কথা বলছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য খাদ্য সহায়তা আর নগদ অর্থ প্রদানের কথা সরকার ঘোষণা করেছে। কিন্তু শহরকেন্দ্রিক তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। অথচ এখন পর্যন্ত করোনার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক প্রভাব শহরেই বেশি।

এই সংকটকালে বস্তিতে থাকা স্বল্প আয়ের শহুরে জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ খুবই দরকারি। এরা এই লকডাউনের সময় গ্রামে চলে যাবে, এই ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়। এরা ঘরে বসে থাকবে, তা চাইলে আপদকালীন অবস্থায় এদের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে হবে। যেসব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান শহুরে দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করছে, তাদের অবশ্যই এখন এদের পাশে দ্রুত দাঁড়াতে হবে। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রদের এসব উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোকে এদের দায়িত্ব নিতে হবে।

এখনই সময় করোনাভাইরাসের নেতিবাচক আর্থসামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় আগাম পরিকল্পনা গ্রহণের। অন্যথায় ভাইরাসজনিত রোগটির কারণে আমাদের যতটা না ক্ষতি হবে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এমনকি গত দুই দশকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা অনেক পরিবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।

তামান্না আক্তার

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

রোজার মাসেও লোডশেডিং

বছরে একবার আসে রোজার মাস। মহিমান্বিত এ মাসে মানুষ বেশি বেশি ইবাদত করে। সেহেরি, ইফতার ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের লক্ষে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দরকার। এবারের রোজায় সেটি হচ্ছে না। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে মানুষ অনেক বিড়ম্বনায় পড়ছে। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।

সব দিক বিবেচনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আবু তালহা রায়হান

গোয়াইনঘাট, সিলেট।

আরও খবর

শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ১৮ রমজান ১৪৪২

চিঠিপত্র : হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে

হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে যে কঠোর বিধিনিষেধ চলেছে, তাতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চললেও সেটা পৌঁছাচ্ছে না সবার কাছে। এই সংকটে সরকারের ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর বেশিরভাগই দেখা যাচ্ছে গ্রামকেন্দ্রিক। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচির কথা বলছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য খাদ্য সহায়তা আর নগদ অর্থ প্রদানের কথা সরকার ঘোষণা করেছে। কিন্তু শহরকেন্দ্রিক তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। অথচ এখন পর্যন্ত করোনার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক প্রভাব শহরেই বেশি।

এই সংকটকালে বস্তিতে থাকা স্বল্প আয়ের শহুরে জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ খুবই দরকারি। এরা এই লকডাউনের সময় গ্রামে চলে যাবে, এই ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়। এরা ঘরে বসে থাকবে, তা চাইলে আপদকালীন অবস্থায় এদের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে হবে। যেসব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান শহুরে দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করছে, তাদের অবশ্যই এখন এদের পাশে দ্রুত দাঁড়াতে হবে। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রদের এসব উদ্যোগের কেন্দ্রে থাকতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোকে এদের দায়িত্ব নিতে হবে।

এখনই সময় করোনাভাইরাসের নেতিবাচক আর্থসামাজিক প্রভাব মোকাবিলায় আগাম পরিকল্পনা গ্রহণের। অন্যথায় ভাইরাসজনিত রোগটির কারণে আমাদের যতটা না ক্ষতি হবে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এমনকি গত দুই দশকে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা অনেক পরিবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।

তামান্না আক্তার

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

রোজার মাসেও লোডশেডিং

বছরে একবার আসে রোজার মাস। মহিমান্বিত এ মাসে মানুষ বেশি বেশি ইবাদত করে। সেহেরি, ইফতার ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের লক্ষে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দরকার। এবারের রোজায় সেটি হচ্ছে না। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে মানুষ অনেক বিড়ম্বনায় পড়ছে। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।

সব দিক বিবেচনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আবু তালহা রায়হান

গোয়াইনঘাট, সিলেট।