উত্থানে সপ্তাহ পার করলো শেয়ারবাজার

ফিরলো আরও ২ হাজার কোটি টাকা

উত্থানে আরও একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের শেয়ারবাজার। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে গত সপ্তাহে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৯ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২১২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৩ টাকা বেশি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৯.৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৯.৮২ পয়েন্ট এবং ২১১০.৯১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের, কমেছে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬১ টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১.১৯ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪৪.৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৭৪.৫৩ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৯১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.৬০ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৬০.০৫ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৬২.৪৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৭.৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.৬৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.৫৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৫টির বা ৩৯.৮১ শতাংশের কমেছে এবং ৪৬টির বা ১৪.৬৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্ড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩.৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩.২০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৪০ টাকা বা ১১.১১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ফারইস্ট ফাইন্যান্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেয়া কসমেটিকসের ১০.৫৩ শতাংশ, এমএল ডাইংয়ের ৯.২৩ শতাংশ, সুহৃদের ৮.৮৮ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৮.৭২ শতাংশ, শেফার্ডের ৮.৪৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ৮.৪৭ শতাংশ, নুরানী ডাইংয়ের ৮.২০ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৭.৯৮ শতাংশ এবং সায়হাম কটনের শেয়ার দর ৭.৮৭ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল ফিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮.৭০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৪০ টাকা বা ৩৯.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ফিড মিলস ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৩৩.৫০ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৯৪ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৬.৭৪ শতাংশ, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ২৬.৫৬ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ২৬.১২ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৮০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৫৮ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৩৮ শতাংশ এবং রহিমা ফুডের শেয়ার দর ১৪.৩০ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.৩৪ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.১৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.১৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৪০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২২.৯২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৭৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.৯১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৩.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৫৮ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১৬ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৮২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৫.৮৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৮.০১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৩৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৩.৯৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.০৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.২১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩০.১১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৮.২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

উত্থানে সপ্তাহ পার করলো শেয়ারবাজার

ফিরলো আরও ২ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

উত্থানে আরও একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের শেয়ারবাজার। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে গত সপ্তাহে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৯ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২১২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৩ টাকা বেশি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৯.৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৯.৮২ পয়েন্ট এবং ২১১০.৯১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের, কমেছে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬১ টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১.১৯ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪৪.৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৭৪.৫৩ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৯১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.৬০ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৬০.০৫ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৬২.৪৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৭.৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.৬৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.৫৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৫টির বা ৩৯.৮১ শতাংশের কমেছে এবং ৪৬টির বা ১৪.৬৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্ড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩.৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩.২০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৪০ টাকা বা ১১.১১ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ফারইস্ট ফাইন্যান্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেয়া কসমেটিকসের ১০.৫৩ শতাংশ, এমএল ডাইংয়ের ৯.২৩ শতাংশ, সুহৃদের ৮.৮৮ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৮.৭২ শতাংশ, শেফার্ডের ৮.৪৭ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ৮.৪৭ শতাংশ, নুরানী ডাইংয়ের ৮.২০ শতাংশ, সায়হাম টেক্সটাইলের ৭.৯৮ শতাংশ এবং সায়হাম কটনের শেয়ার দর ৭.৮৭ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল ফিডের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮.৭০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৪০ টাকা বা ৩৯.৫৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ফিড মিলস ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৩৩.৫০ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ২৯.৯৪ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৬.৭৪ শতাংশ, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ২৬.৫৬ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ২৬.১২ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৮০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৫৮ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৫.৩৮ শতাংশ এবং রহিমা ফুডের শেয়ার দর ১৪.৩০ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.৩৪ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.১৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.১৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৫.৪০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২২.৯২ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮.৭৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২১.৮৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.৯১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৫৩.৬২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২.৫৮ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.১৬ শতাংশ, চামড়া খাতের (-) ১৩.৮২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৫.৮৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৮.০১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৫১.৩৩ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৬৩.৯৬ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১১.০৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৬.২১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩০.১১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৮.২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।