চলমান প্রকল্পে গতি আনতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

কোন দোহাই দিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান ?প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে গতি আনতে হবে। যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধারাকে অব্যাহত রাখা যায়। সরকার কোভিড-১৯ কালীন স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো শিল্প খাতকেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে, তাই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সাবধানতা অবলম্বন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।

সম্প্রতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় শিল্পমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে বলেন, ‘করোনাকালে এই লকডাউনে ভার্চুয়ালি মিটিং করে হলেও প্রকল্পের কাজের তদারকি বাড়াতে হবে। জুন/২০২১-এর মধ্যে নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। কোনভাবেই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হবে না।’ সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব কেএম আলী আজমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। মার্চ/২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে পাঁচটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আটটি বাফার গোডাউনের কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এ ছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আরও জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সমাপ্তির জন্য ১৩টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। এ সব প্রকল্প আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার ও আলোচনামূলক কার্যক্রম অনলাইন বা ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে সভায় নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম ও বিএসইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গাজী ওয়্যার লি. কে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নকরণ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম, সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।’

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

চলমান প্রকল্পে গতি আনতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

কোন দোহাই দিয়ে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা যাবে না উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান ?প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে যেখানে ধীরগতি রয়েছে, সেখানে গতি আনতে হবে। যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ধারাকে অব্যাহত রাখা যায়। সরকার কোভিড-১৯ কালীন স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো শিল্প খাতকেও অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে, তাই আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এ খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সাবধানতা অবলম্বন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।

সম্প্রতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় শিল্পমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে বলেন, ‘করোনাকালে এই লকডাউনে ভার্চুয়ালি মিটিং করে হলেও প্রকল্পের কাজের তদারকি বাড়াতে হবে। জুন/২০২১-এর মধ্যে নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। কোনভাবেই প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হবে না।’ সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব কেএম আলী আজমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি বিনিয়োগ, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। মার্চ/২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ৩৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে পাঁচটি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আটটি বাফার গোডাউনের কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এ ছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আরও জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের সমাপ্তির জন্য ১৩টি প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে। এ সব প্রকল্প আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার ও আলোচনামূলক কার্যক্রম অনলাইন বা ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে সভায় নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম ও বিএসইসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গাজী ওয়্যার লি. কে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নকরণ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘অস্থায়ীভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম, সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অতিদ্রুত শেষ করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে। করোনা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।’