তিন সপ্তাহে একদিনে মৃত্যু কমে ষাটের নিচে

‘লকডাউন কমিয়ে আনছে সংক্রমণ ও মৃত্যু’

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত তিন সপ্তাহের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু। এর আগে ৯ এপ্রিল ও ৭ এপ্রিল দেশে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ৫ এপ্রিল, সেদিন ৫২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ২৫ দিনে আর ৬০-এর নিচে নামেনি মৃত্যু। তবে শনাক্তের হার নমুনা পরীক্ষার তুলনায় আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ৩৪ হয়েছে। এদিকে, দেশে করোনা শনাক্ত তিন সপ্তাহ আগের তুলনায় অর্ধেকেরও নিচে নেমে গতি মন্থর হয়ে পড়েছে কয়েক দিন ধরে, তবে মৃত্যু একটু কমছে তো আবার বাড়ছে। চলতি মাসের শুরুতে দৈনিক শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশে উঠে এখন সেটা ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। সংখ্যার হিসাবে শনাক্ত দিনে সাত হাজারে উঠেছিল, এখন তিন বা দুই হাজারের কাছাকাছি উঠানামা করছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গত বুধবার এক সভায় ভারতের করোনার ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি সংকটময় হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে। সভায় ভারত থেকে আসা সব যাত্রীকে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা নিশ্চিত করা, বর্ডার দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করার সুপারিশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা তিন সপ্তাহ ধরে যেমন ধারায় চলছিল, তাতেই সংক্রমণ অর্ধেকে নেমেছে, যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরো মাত্রায় কার্যকরের সঙ্গে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম আরও দ্রুত করা যেত, তবে নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয় ঢেউ আরও নিচে নামিয়ে ফেলা যেত। তারা উদাহরণ দেন, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই দ্বিতীয় ঢেউ যেমন দ্রুত উঠেছে, তেমনই আবার দ্রুতই নেমেছে। বিশেষজ্ঞরা এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে স্পষ্টতই বলছেন, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কঠোর থাকলে সংক্রমণরেখা নিচে নামে আর ঢিলেঢালা হলেই তা আবার ওপরে উঠে যায়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই কয়েক দিন ধরে এ ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে আসছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মানুষের জীবন-জীবিকায় সমান্তরাল ভারসাম্য রাখতে গেলে ক্ষণেক্ষণেই সংক্রমণ ওপরে উঠা আর নিচে নামার চিত্র দেখতে হবে, যার প্রভাব বারবারই পড়বে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপরে। ফলে দ্বিতীয় ঢেউ এখন যেভাবে তুলনামূলক নমনীয় পর্যায়ে আছে, সেখান থেকেই পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী ঢেউ মাথায় রেখে তা মোকাবিলার পরিকল্পনা এবং আগাম প্রস্তুতি নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জনের। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই হাজার ১৭৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিও সংখ্যার দিক থেকে আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪১৯টি ল্যাবে ২১ হাজার ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৪টি নমুনা। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২০ হাজার ৮৪২ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭২৩ জনের। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল ৩ হাজার ৮৮১টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল শনাক্তের হার দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৮টি। মারা যাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন আর নারী ২৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৩৫৩ জন এবং নারী তিন হাজার ৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৩৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগের আছেন পাঁচজন করে। ৫৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে দুইজনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া চার হাজার ৩২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন এক হাজার ৮৯৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮৪৫ জন, রংপুর বিভাগের ৪১৩ জন, খুলনা বিভাগের ১৭৯ জন, বরিশাল বিভাগের ২৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩২৭ জন, সিলেট বিভাগের ৩০১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১১৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৪৫০ জনের মধ্যে আট হাজার ৩৫৩ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ৯৭ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ৪২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ৫ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

তিন সপ্তাহে একদিনে মৃত্যু কমে ষাটের নিচে

‘লকডাউন কমিয়ে আনছে সংক্রমণ ও মৃত্যু’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ঢাকা মেডিকেলের সামনে হাসপাতালে ভর্তির অপেক্ষায় করোনা রোগী -সংবাদ

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গত তিন সপ্তাহের মধ্যে একদিনে সবচেয়ে কম মৃত্যু। এর আগে ৯ এপ্রিল ও ৭ এপ্রিল দেশে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ৫ এপ্রিল, সেদিন ৫২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত ২৫ দিনে আর ৬০-এর নিচে নামেনি মৃত্যু। তবে শনাক্তের হার নমুনা পরীক্ষার তুলনায় আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ৩৪ হয়েছে। এদিকে, দেশে করোনা শনাক্ত তিন সপ্তাহ আগের তুলনায় অর্ধেকেরও নিচে নেমে গতি মন্থর হয়ে পড়েছে কয়েক দিন ধরে, তবে মৃত্যু একটু কমছে তো আবার বাড়ছে। চলতি মাসের শুরুতে দৈনিক শনাক্তের হার প্রায় ২৪ শতাংশে উঠে এখন সেটা ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। সংখ্যার হিসাবে শনাক্ত দিনে সাত হাজারে উঠেছিল, এখন তিন বা দুই হাজারের কাছাকাছি উঠানামা করছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গত বুধবার এক সভায় ভারতের করোনার ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি সংকটময় হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে। সভায় ভারত থেকে আসা সব যাত্রীকে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা নিশ্চিত করা, বর্ডার দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করার সুপারিশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা তিন সপ্তাহ ধরে যেমন ধারায় চলছিল, তাতেই সংক্রমণ অর্ধেকে নেমেছে, যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরো মাত্রায় কার্যকরের সঙ্গে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম আরও দ্রুত করা যেত, তবে নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয় ঢেউ আরও নিচে নামিয়ে ফেলা যেত। তারা উদাহরণ দেন, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই দ্বিতীয় ঢেউ যেমন দ্রুত উঠেছে, তেমনই আবার দ্রুতই নেমেছে। বিশেষজ্ঞরা এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে স্পষ্টতই বলছেন, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কঠোর থাকলে সংক্রমণরেখা নিচে নামে আর ঢিলেঢালা হলেই তা আবার ওপরে উঠে যায়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেই কয়েক দিন ধরে এ ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়ে আসছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মানুষের জীবন-জীবিকায় সমান্তরাল ভারসাম্য রাখতে গেলে ক্ষণেক্ষণেই সংক্রমণ ওপরে উঠা আর নিচে নামার চিত্র দেখতে হবে, যার প্রভাব বারবারই পড়বে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপরে। ফলে দ্বিতীয় ঢেউ এখন যেভাবে তুলনামূলক নমনীয় পর্যায়ে আছে, সেখান থেকেই পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী ঢেউ মাথায় রেখে তা মোকাবিলার পরিকল্পনা এবং আগাম প্রস্তুতি নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জনের। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই হাজার ১৭৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এটিও সংখ্যার দিক থেকে আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪১৯টি ল্যাবে ২১ হাজার ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৪টি নমুনা। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২০ হাজার ৮৪২ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৭২৩ জনের। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল ৩ হাজার ৮৮১টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আগের দিন এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল শনাক্তের হার দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৮টি। মারা যাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন আর নারী ২৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৩৫৩ জন এবং নারী তিন হাজার ৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৩৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুইজন করে এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগের আছেন পাঁচজন করে। ৫৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে দুইজনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া চার হাজার ৩২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন এক হাজার ৮৯৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮৪৫ জন, রংপুর বিভাগের ৪১৩ জন, খুলনা বিভাগের ১৭৯ জন, বরিশাল বিভাগের ২৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩২৭ জন, সিলেট বিভাগের ৩০১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১১৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৪৫০ জনের মধ্যে আট হাজার ৩৫৩ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ৯৭ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ৪২৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ৫ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।