নওগাঁয় পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু আসকের উদ্বেগ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় থানায় পুলিশের মারধরে আহত হয়ে হামিদুর রহমান নামে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক বিবৃতিতে আসক জানিয়েছে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় একটি পারিবারিক সমস্যা মীমাংসা করে দেয়ার জন্য থানায় বৈঠক ডেকে হামিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর আহত হামিদুরের মৃত্যু হয়। আসক জানায়, হামিদুর ও তার স্ত্রী ফাইমা খাতুনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়ার পর হামিদুর তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দিলে তার দুই ছেলে তাকে মারধর করেন। বিষয়টি নিয়ে হামিদুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ১৭ এপ্রিলে সমঝোতার কথা বলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নেয়। থানায় হামিদুর তার স্ত্রীকে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গত ২৫ এপ্রিল ফাইমা খাতুন থানায় গিয়ে তাকে স্ত্রী হিসেবে না মেনে নেয়ার অভিযোগ করলে থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম সমঝোতার কথা বলে হামিদুরকে তার বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরিবারের অভিযোগ সেদিন সমঝোতা বৈঠকে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে থানার ওসি শামসুল আলম শাহ হামিদুরকে লাথি-ঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই ঘটনার পর মাথায় ও বুকে আঘাত পাওয়া হামিদুর বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় হামিদুরের রক্তবমি শুরু হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ১১টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হামিদুরের পরিবার থেকে পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে দাবি করা হলেও পুলিশ তা অস্বীকার করছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হামিদুরের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি আসক হামিদুরের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে।

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

নওগাঁয় পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু আসকের উদ্বেগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় থানায় পুলিশের মারধরে আহত হয়ে হামিদুর রহমান নামে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক বিবৃতিতে আসক জানিয়েছে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় একটি পারিবারিক সমস্যা মীমাংসা করে দেয়ার জন্য থানায় বৈঠক ডেকে হামিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর আহত হামিদুরের মৃত্যু হয়। আসক জানায়, হামিদুর ও তার স্ত্রী ফাইমা খাতুনের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়ার পর হামিদুর তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক দিলে তার দুই ছেলে তাকে মারধর করেন। বিষয়টি নিয়ে হামিদুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ১৭ এপ্রিলে সমঝোতার কথা বলে পুলিশ উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নেয়। থানায় হামিদুর তার স্ত্রীকে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গত ২৫ এপ্রিল ফাইমা খাতুন থানায় গিয়ে তাকে স্ত্রী হিসেবে না মেনে নেয়ার অভিযোগ করলে থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম সমঝোতার কথা বলে হামিদুরকে তার বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরিবারের অভিযোগ সেদিন সমঝোতা বৈঠকে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে থানার ওসি শামসুল আলম শাহ হামিদুরকে লাথি-ঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই ঘটনার পর মাথায় ও বুকে আঘাত পাওয়া হামিদুর বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় হামিদুরের রক্তবমি শুরু হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ১১টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হামিদুরের পরিবার থেকে পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে দাবি করা হলেও পুলিশ তা অস্বীকার করছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হামিদুরের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি আসক হামিদুরের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে।