করোনাযুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে

ভয়াল করোনার থাবায় ভারতে বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল, চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। এমতাবস্থায় দেশটিতে দেয়া হচ্ছে দফায় দফায় লকডাউন। মরদেহ পোড়াতে পোড়াতে কাঠখড়ের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দেশের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের দেশের প্রয়োজন আরও সচেতন হওয়া।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে হুঁ হুঁ করে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল। দেশের সরকার সংক্রমণের হার কমাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কিন্তু তাতেও যেন কাজ হচ্ছে না। জনগণ যেন বিধিনিষেধের তোয়াক্কাই করছে না।

প্রথমত, খেটে খাওয়া মানুষের কথাই যদি চিন্তা করি, তারা কেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছে! এতে তাদের স্বার্থ কি? খেটে খাওয়া মানুষগুলো একবেলা খাবারের আসায় রাস্তায় নামছে। অনেকেই সরকারি সাহায্য পাননি। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র ঋণ। লকডাউন তো ঋণ নামক শব্দকে সব জায়গায় বেঁধে রাখতে পারছে না। ঋণের কিস্তি দিতে দিতে প্রান্তিক মানুষেরা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে।

এবার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কথা বলি। এই শ্রেণি না পারছে কারও কাছে চাইতে না পারছে সব সহ্য করতে। নিজের খরচ, পরিবারের সবার চাহিদা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে তারা। পরিবারের জোগানের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি থেকে তারাও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। যদি আমরা এই সকল সমস্যার সমাধানে সঠিক রাস্তা দেখাতে পারি ও পরিপূর্ণভাবে পাশে থাকতে পারি তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন তারা যদি এই কঠিন সময়ে ছিন্নমূল মানুষের পাশে থাকেন এবং ভ্রমণ, কেনাকাটা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারেন তাহলেও কিছুটা পরিবর্তন আসবে। এতে সংক্রমণের হারও হাতের নাগালের ভেতর চলে আসবে।

মামুনূর রহমান হৃদয়

শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

করোনাযুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে

ভয়াল করোনার থাবায় ভারতে বেড়েছে মৃত্যুর মিছিল, চাহিদা বেড়েছে অক্সিজেনের। এমতাবস্থায় দেশটিতে দেয়া হচ্ছে দফায় দফায় লকডাউন। মরদেহ পোড়াতে পোড়াতে কাঠখড়ের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দেশের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের দেশের প্রয়োজন আরও সচেতন হওয়া।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে হুঁ হুঁ করে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল। দেশের সরকার সংক্রমণের হার কমাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কিন্তু তাতেও যেন কাজ হচ্ছে না। জনগণ যেন বিধিনিষেধের তোয়াক্কাই করছে না।

প্রথমত, খেটে খাওয়া মানুষের কথাই যদি চিন্তা করি, তারা কেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছে! এতে তাদের স্বার্থ কি? খেটে খাওয়া মানুষগুলো একবেলা খাবারের আসায় রাস্তায় নামছে। অনেকেই সরকারি সাহায্য পাননি। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্ষুদ্র ঋণ। লকডাউন তো ঋণ নামক শব্দকে সব জায়গায় বেঁধে রাখতে পারছে না। ঋণের কিস্তি দিতে দিতে প্রান্তিক মানুষেরা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে।

এবার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কথা বলি। এই শ্রেণি না পারছে কারও কাছে চাইতে না পারছে সব সহ্য করতে। নিজের খরচ, পরিবারের সবার চাহিদা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে তারা। পরিবারের জোগানের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি থেকে তারাও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। যদি আমরা এই সকল সমস্যার সমাধানে সঠিক রাস্তা দেখাতে পারি ও পরিপূর্ণভাবে পাশে থাকতে পারি তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন তারা যদি এই কঠিন সময়ে ছিন্নমূল মানুষের পাশে থাকেন এবং ভ্রমণ, কেনাকাটা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারেন তাহলেও কিছুটা পরিবর্তন আসবে। এতে সংক্রমণের হারও হাতের নাগালের ভেতর চলে আসবে।

মামুনূর রহমান হৃদয়

শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী