আগুনে আর কত প্রাণ গেলে আমরা সচেতন হব!

সম্প্রতি শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টাই রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশন নামে একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ২১ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি অবস্থায় আছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কা মুক্ত নন কেউই। আগুন লাগার সূত্র এখনও উদ্ঘাটন না হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধারণা করছেন রাসায়নিক গুদাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

এর আগেও রাসায়নিক গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় দুটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০১০ সালের ৩ জুন রাতের সেই ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ঠিক এর ৯ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন নামের একটি ভবনে আগুনে মারা যান ৭১ জন। এরপরেও পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গোডাউন সরানো গেল না। যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটে ঠিক তখনই কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে। কিছুদিন যাবৎ এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় তারপর আবার সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। এভাবেই চলছে।

পুরান ঢাকার গুদামগুলোতে আছে কমবেশি পাঁচ হাজার রকমের রাসায়নিক। যার মধ্যে অতি দাহ্য রাসায়নিকও রয়েছে। সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামের সংখ্যাও কম নয়। এ কারণে এলাকাটি বরাবরাই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকে। যতদিন না রাসায়নিকের গুদামগুলো সেখান থেকে অন্যত্র পুরোপুরি সরানো হবে ততদিন এই ঝুঁকি কমবে না। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাময়িক অভিযান চালিয়ে কিছুদিনের জন্য অবৈধ গুদাম বন্ধ করে সমাধান মিলবে না।

ইমরান হুসাইন

শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ০১ মে ২০২১ , ১৯ বৈশাখ ১৪২৮ ১৯ রমজান ১৪৪২

আগুনে আর কত প্রাণ গেলে আমরা সচেতন হব!

সম্প্রতি শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টাই রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশন নামে একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ২১ জন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি অবস্থায় আছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কা মুক্ত নন কেউই। আগুন লাগার সূত্র এখনও উদ্ঘাটন না হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধারণা করছেন রাসায়নিক গুদাম থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

এর আগেও রাসায়নিক গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় দুটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০১০ সালের ৩ জুন রাতের সেই ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ঠিক এর ৯ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন নামের একটি ভবনে আগুনে মারা যান ৭১ জন। এরপরেও পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গোডাউন সরানো গেল না। যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটে ঠিক তখনই কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে। কিছুদিন যাবৎ এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় তারপর আবার সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। এভাবেই চলছে।

পুরান ঢাকার গুদামগুলোতে আছে কমবেশি পাঁচ হাজার রকমের রাসায়নিক। যার মধ্যে অতি দাহ্য রাসায়নিকও রয়েছে। সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামের সংখ্যাও কম নয়। এ কারণে এলাকাটি বরাবরাই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকে। যতদিন না রাসায়নিকের গুদামগুলো সেখান থেকে অন্যত্র পুরোপুরি সরানো হবে ততদিন এই ঝুঁকি কমবে না। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাময়িক অভিযান চালিয়ে কিছুদিনের জন্য অবৈধ গুদাম বন্ধ করে সমাধান মিলবে না।

ইমরান হুসাইন

শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়