দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারণের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পরে নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।
ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে রেকিট বেনকিজার। কোম্পানিটির বিগত ৬ বছরের ইতিহাসে ৬৫০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়ার রেকর্ড নাই। যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া দূরহ হয়ে উঠে। এরমধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার। রেকিট বেনকিজারের ২০২০ সালে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শেয়ারপ্রতি ১৫৬.৩৮ টাকা হিসেবে নিট ৭৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১৪০০ শতাংশ হারে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা শেয়ারবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
এর আগের বছর রেকিট বেনকিজার থেকে ১২৫০ শতাংশ হারে ৫৯ কোটি ৬ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল। এ হিসেবে ২০২০ সালের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ বেড়েছে। তারপরেও গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে। কোম্পানিটির আগের দিনের ৪৬১৩.৯০ টাকার শেয়ার দর কমে এসেছে ৪৪৩৮.৭০ টাকায়। এ হিসেবে শেয়ার দর কমেছে ১৭৫.২০ টাকা বা ৩.৮০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১৪০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে।
সোমবার, ০৩ মে ২০২১ , ২১ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারণের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পরে নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।
ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে রেকিট বেনকিজার। কোম্পানিটির বিগত ৬ বছরের ইতিহাসে ৬৫০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়ার রেকর্ড নাই। যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া দূরহ হয়ে উঠে। এরমধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার। রেকিট বেনকিজারের ২০২০ সালে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শেয়ারপ্রতি ১৫৬.৩৮ টাকা হিসেবে নিট ৭৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ১৪০০ শতাংশ হারে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা শেয়ারবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না।
এর আগের বছর রেকিট বেনকিজার থেকে ১২৫০ শতাংশ হারে ৫৯ কোটি ৬ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল। এ হিসেবে ২০২০ সালের ব্যবসায় লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ বেড়েছে। তারপরেও গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে। কোম্পানিটির আগের দিনের ৪৬১৩.৯০ টাকার শেয়ার দর কমে এসেছে ৪৪৩৮.৭০ টাকায়। এ হিসেবে শেয়ার দর কমেছে ১৭৫.২০ টাকা বা ৩.৮০ শতাংশ। অর্থাৎ কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১৪০ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে।