তীব্র দাবদাহে জীবন অতিষ্ঠ

গ্রীষ্মের প্রখর তাপে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সূর্যের প্রচ- তাপ আর বাতাস যেন আগুনের ছোঁয়া। সকাল থেকেই সূর্য তেঁতে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। মাহে রমজানের এমন একটি অবস্থায় প্রাণিকূল ও জনজীবনে উঠেছে চরম হাঁসফাঁস। উপজেলার দুই এক জায়গায় গত শনিবার সামান্য ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হলেও বেশিরভাগ স্থানেই বৃষ্টির কোন দেখা নেই। মানুষ আকাশের দিকে দুই চোখে চেয়ে থাকে একটু বৃষ্টির আশায়। এমন আবহাওয়ার মাঝে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগ। এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রখর রোদের তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গৃহপালিত পশু-পাখিরা গরম থেকে একটু শীতল স্বস্তি পেতে পুকুর বা ডোবায় নেমে বসে আছে। তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কষ্টের শেষ নেই খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকদের। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পুকুরসহ ডোবা-নালার পানিতে লাফালাফি করতে দেখা যায় ছেলেদের। মো. করিম নামে এক রিকশাচালক সংবাদকে বলেন, এত গরম বাপ দাদার বয়সে দেহি নাই। একবার যাত্রী টানলে দুইবার জিরাইতে অয়। একদিকে লকডাউন আরেক দিকে গরম পড়ায় মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। খামু কি, কিছুই জানি না। মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান জানান, চলমান তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। কেউ ঘরে বাইরে কোথাও গিয়ে শান্তি পাচ্ছে না। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব সাধারণ ও দিনমজুর মানুষেরা। বরিশাল আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, বরিশাল বিভাগে কিছুদিন ধরে মৃদু তাপদাহ চলছে। এ বিভাগে এই এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে পেটের পীড়াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে রোগীদের মধ্যে বয়স্করা বেশি। রয়েছে ভাইরাস জ্বর ও জল বসন্তের রোগীও। তিনি আরও বলেন, ‘বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে সকল স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

সোমবার, ০৩ মে ২০২১ , ২১ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমজান ১৪৪২

তীব্র দাবদাহে জীবন অতিষ্ঠ

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)

গ্রীষ্মের প্রখর তাপে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সূর্যের প্রচ- তাপ আর বাতাস যেন আগুনের ছোঁয়া। সকাল থেকেই সূর্য তেঁতে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। মাহে রমজানের এমন একটি অবস্থায় প্রাণিকূল ও জনজীবনে উঠেছে চরম হাঁসফাঁস। উপজেলার দুই এক জায়গায় গত শনিবার সামান্য ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হলেও বেশিরভাগ স্থানেই বৃষ্টির কোন দেখা নেই। মানুষ আকাশের দিকে দুই চোখে চেয়ে থাকে একটু বৃষ্টির আশায়। এমন আবহাওয়ার মাঝে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগ। এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রখর রোদের তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গৃহপালিত পশু-পাখিরা গরম থেকে একটু শীতল স্বস্তি পেতে পুকুর বা ডোবায় নেমে বসে আছে। তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কষ্টের শেষ নেই খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকদের। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পুকুরসহ ডোবা-নালার পানিতে লাফালাফি করতে দেখা যায় ছেলেদের। মো. করিম নামে এক রিকশাচালক সংবাদকে বলেন, এত গরম বাপ দাদার বয়সে দেহি নাই। একবার যাত্রী টানলে দুইবার জিরাইতে অয়। একদিকে লকডাউন আরেক দিকে গরম পড়ায় মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। খামু কি, কিছুই জানি না। মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান জানান, চলমান তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। কেউ ঘরে বাইরে কোথাও গিয়ে শান্তি পাচ্ছে না। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব সাধারণ ও দিনমজুর মানুষেরা। বরিশাল আবহাওয়া দপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, বরিশাল বিভাগে কিছুদিন ধরে মৃদু তাপদাহ চলছে। এ বিভাগে এই এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে পেটের পীড়াজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে রোগীদের মধ্যে বয়স্করা বেশি। রয়েছে ভাইরাস জ্বর ও জল বসন্তের রোগীও। তিনি আরও বলেন, ‘বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে সকল স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলতে হবে।’