এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয় দেখতে হবে কাদের

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয়, তা দেখতে হবে। বিআরটিসির জন্য টাকা চাইতেও লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, ‘দালাল চক্র থেকে বিআরটিএকে মুক্ত করতে হবে। কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে।’

স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি কার্ড সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিতে বলেছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

কার্ড স্বল্পতার কারণে দীর্ঘদিন ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা জরুরি। বিআরটিএকে ধাপে ধাপে হলেও কার্ড সরবরাহ করতে হবে। বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লেখালেখিও হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। যে প্রতিষ্ঠান কার্ড সরবরাহ করছে, তারা যেন দ্রুত তা করে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্মাণকাজের এক বছরের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নবীনগর-চন্দ্রার রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এ রকম রাস্তা করার চেয়ে না করাই ভালো। নকশার ত্রুটিগুলো আমাদের দেখা উচিত, এটা কিন্তু যথাযথভাবে দেখা হচ্ছে না। নকশার ত্রুটির কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোন ঠিকাদার নির্মাণকাজে দেরি করলে কার্যাদেশ বাতিল করুন। প্রয়োজনে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ বিআরটিসিকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসিকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয়, এটি দেখতে হবে। সরকারকে বারবার ভর্তুকি দিতে হয়। একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে বারবার শুধু টাকা দেয়া। বিআরটিসির জন্য টাকা চাইতেও লজ্জা লাগে। এত গাড়ি হলো, তারপরও বিআরটিসির লাভজনক ধারায় ফিরে আসা অধরা রয়ে গেলো।

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১ , ২২ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমজান ১৪৪২

এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয় দেখতে হবে কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয়, তা দেখতে হবে। বিআরটিসির জন্য টাকা চাইতেও লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, ‘দালাল চক্র থেকে বিআরটিএকে মুক্ত করতে হবে। কাজে স্বচ্ছতা আনতে হবে।’

স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি কার্ড সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিতে বলেছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

কার্ড স্বল্পতার কারণে দীর্ঘদিন ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ বন্ধ থাকার প্রসঙ্গ টেনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা জরুরি। বিআরটিএকে ধাপে ধাপে হলেও কার্ড সরবরাহ করতে হবে। বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লেখালেখিও হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অভিযোগ পাচ্ছি। যে প্রতিষ্ঠান কার্ড সরবরাহ করছে, তারা যেন দ্রুত তা করে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্মাণকাজের এক বছরের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নবীনগর-চন্দ্রার রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এ রকম রাস্তা করার চেয়ে না করাই ভালো। নকশার ত্রুটিগুলো আমাদের দেখা উচিত, এটা কিন্তু যথাযথভাবে দেখা হচ্ছে না। নকশার ত্রুটির কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোন ঠিকাদার নির্মাণকাজে দেরি করলে কার্যাদেশ বাতিল করুন। প্রয়োজনে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ বিআরটিসিকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসিকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। এত গাড়ি থাকার পরও বিআরটিসির কেন লোকসান হয়, এটি দেখতে হবে। সরকারকে বারবার ভর্তুকি দিতে হয়। একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে বারবার শুধু টাকা দেয়া। বিআরটিসির জন্য টাকা চাইতেও লজ্জা লাগে। এত গাড়ি হলো, তারপরও বিআরটিসির লাভজনক ধারায় ফিরে আসা অধরা রয়ে গেলো।