দোকান-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনি ব্যবস্থা মেয়র ঢাকা উত্তর

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমলসমূহ পরিচালনা করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আপনারা দোকানিরা কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার দিয়ে দোকান খুলেছেন, আপনারা আপনার প্রতিষ্ঠানে নিজেরা এবং ক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদেরই। তাই এ বিষয়ে আপনারই নিশ্চিত করুন। অন্যথায় বুধবার থেকে আমি নিজে মার্কেট পরিদর্শন করব এবং যারা মাস্ক পরে থাকবেন না তাদের দোকান বন্ধ করে দেব। আপনারা ব্যবসা করুন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরার নির্দেশ মানতে হবে আপনাদের।’

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি’র ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ ২টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মহাখালীতে এক হাজার শয্যার যে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল, ৯ অগাস্ট সেটি পরিদর্শন করতে এসে এই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিএনসিসি’র মেয়র।

অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য? অত্যাধুনিক দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি দেয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করা হবে, শুধুমাত্র অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের পরিচালক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার জন্যই সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির একটি বিপণিবিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’লে রূপান্তর করা হয়েছে। এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে ২৫৮টি দোকান বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি দুই শতাধিক মালিকের সঙ্গে নিজে কথা বলে তাদের বুঝাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য?ই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যার আয়তন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। বর্তমান হারে প্রত্যেক মাসে এর ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা, এই ভাড়ার টাকাও ডিএনসিসিকে দেয়া লাগবে না। মহামারী শেষ হলে এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে, যেখানে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১ , ২২ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমজান ১৪৪২

দোকান-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনি ব্যবস্থা মেয়র ঢাকা উত্তর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমলসমূহ পরিচালনা করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আপনারা দোকানিরা কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার দিয়ে দোকান খুলেছেন, আপনারা আপনার প্রতিষ্ঠানে নিজেরা এবং ক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদেরই। তাই এ বিষয়ে আপনারই নিশ্চিত করুন। অন্যথায় বুধবার থেকে আমি নিজে মার্কেট পরিদর্শন করব এবং যারা মাস্ক পরে থাকবেন না তাদের দোকান বন্ধ করে দেব। আপনারা ব্যবসা করুন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরার নির্দেশ মানতে হবে আপনাদের।’

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি’র ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ ২টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মহাখালীতে এক হাজার শয্যার যে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল, ৯ অগাস্ট সেটি পরিদর্শন করতে এসে এই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিএনসিসি’র মেয়র।

অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য? অত্যাধুনিক দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি দেয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করা হবে, শুধুমাত্র অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের পরিচালক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার জন্যই সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির একটি বিপণিবিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’লে রূপান্তর করা হয়েছে। এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে ২৫৮টি দোকান বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি দুই শতাধিক মালিকের সঙ্গে নিজে কথা বলে তাদের বুঝাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য?ই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যার আয়তন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। বর্তমান হারে প্রত্যেক মাসে এর ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা, এই ভাড়ার টাকাও ডিএনসিসিকে দেয়া লাগবে না। মহামারী শেষ হলে এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে, যেখানে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।