গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব

কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডল গ্রিনহাউস হিসেবে আচরণ করে। অর্থাৎ সূর্যের তাপ এসব গ্যাসের কারণে আর ফিরে যেতে পারে না। ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাপমাত্রা বাড়ার ফলে মেরু অঞ্চলের বরফগুলো গলতে শুরু করেছে। এক সময় হয়ত পৃথিবীর অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এটাই গ্রিনহাউস প্রভাব।

এ যে প্রচণ্ড তাপমাত্রা গ্রীষ্মের শুরুতেই, কিছু কি টের পাচ্ছি আমরা? সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন উঠে এসেছে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় মিডিয়ায় যেখানে বলা হচ্ছে, গ্রিনহাউস গ্যাসের অন্যতম প্রধান গ্যাস মিথেন (যেটি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকেও ৮৪ গুণ বেশি বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ) এর অতিরিক্ত নিঃসরণ রাজধানী ঢাকার একাধিক অঞ্চলকে স্যাটেলাইট চিহ্নিত করেছে। যেটি বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যারই ফলস্বরূপ আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি তাপমাত্রা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমরা জানি মিথেন একটি প্রাকৃতিক গ্যাস, যেটি বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প-কারাখানা, যানবাহন ও রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা চাইলেই এই অতিরিক্ত মিথেন গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলো মিটিয়ে একইসাথে শক্তির সঠিক ব্যবহার ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য আরো দায়ী যে গ্যাসগুলো রয়েছে, সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারি।যেমন- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা কমিয়ে সৌর, জল ও বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; ময়লা আবর্জনার স্তূপগুলোকে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহারে দক্ষতা বাড়বে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। আসুন সবাই নিজ উদ্যোগে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে নিজে বাঁচি এবং পুরো পৃথিবীকে বাঁচাই।

নাজমুল ইসলাম, শিক্ষার্থী

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১ , ২২ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমজান ১৪৪২

গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব

কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডল গ্রিনহাউস হিসেবে আচরণ করে। অর্থাৎ সূর্যের তাপ এসব গ্যাসের কারণে আর ফিরে যেতে পারে না। ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাপমাত্রা বাড়ার ফলে মেরু অঞ্চলের বরফগুলো গলতে শুরু করেছে। এক সময় হয়ত পৃথিবীর অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এটাই গ্রিনহাউস প্রভাব।

এ যে প্রচণ্ড তাপমাত্রা গ্রীষ্মের শুরুতেই, কিছু কি টের পাচ্ছি আমরা? সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন উঠে এসেছে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় মিডিয়ায় যেখানে বলা হচ্ছে, গ্রিনহাউস গ্যাসের অন্যতম প্রধান গ্যাস মিথেন (যেটি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকেও ৮৪ গুণ বেশি বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ) এর অতিরিক্ত নিঃসরণ রাজধানী ঢাকার একাধিক অঞ্চলকে স্যাটেলাইট চিহ্নিত করেছে। যেটি বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যারই ফলস্বরূপ আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি তাপমাত্রা কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমরা জানি মিথেন একটি প্রাকৃতিক গ্যাস, যেটি বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প-কারাখানা, যানবাহন ও রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা চাইলেই এই অতিরিক্ত মিথেন গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলো মিটিয়ে একইসাথে শক্তির সঠিক ব্যবহার ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য আরো দায়ী যে গ্যাসগুলো রয়েছে, সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারি।যেমন- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা কমিয়ে সৌর, জল ও বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; ময়লা আবর্জনার স্তূপগুলোকে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হলে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে, অন্যদিকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহারে দক্ষতা বাড়বে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। আসুন সবাই নিজ উদ্যোগে বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে নিজে বাঁচি এবং পুরো পৃথিবীকে বাঁচাই।

নাজমুল ইসলাম, শিক্ষার্থী

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়