ফেনীতে ভার্চুয়াল আদালতে ১৬১ আসামির জামিন

ফেনীর আদালতে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৬১ আসামি জামিন লাভ করেছেন। ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩১৮ জন আসামির জামিন আবেদন শুনানি শেষে ২২০ জনের আবেদন না-মঞ্জুর করে আদালত। ফেনী জেলা জর্জ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভাচুর্য়াল আদালতে এসব জামিন শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। তবে আইনজীবীদের দাবি, যতদ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা আরোপ করে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক না করা হলে একদিকে মামলার জট বাঁধবে অন্যদিকে মানুষ ন্যায়বিচার বঞ্চিত হবে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, লকডাউন পরিস্থিতিতে ১৩ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুধুমাত্র কারাগারে থাকা আসামিদের জরুরি জামিন শুনানি ছাড়া বাকি সব কার্যক্রম স্থগিত করে নির্দেশনা জারি করা হয়। সেই থেকে ফেনীতে অদ্যবধি ভাচুর্য়াল আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা ও দায়রা জর্জ ড. বেগম জেবুননেছার ভার্চুয়াল আদালতে এ সময়ের মধ্যে ১২৫ জন আসামীর জামিন শুনানি নিষ্পত্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ৭২ আসামীর আবেদন না-মঞ্জুর করে আদালত। জেলা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার ১৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ জন আসামীর জামিন শুনানী করে ১৪ জনের আবেদন মঞ্জুর ও ২৬ জনের নামঞ্জুর করেন। একই ভাবে জুডিসশয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের কয়েকটি আদালতে উল্লিখিত সময়ে ২১৬ জনের জামিন শুনানী করা হয়। এদের মধ্যে ৯৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকী ১২২ জনের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর হোসেন জানান, লকডাউনের পর থেকে আদালতে শুধুমাত্র কারাগারে থাকা আসামির জামিন শুনানি চলছে। অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে বিচারপ্রার্থীদের বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে মামলার জটও বাড়ছে। যদিও আদালতের সেবাগ্রহিতা থেকে শুরু করে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল চালু হয়েছে কিন্তু এর দীর্ঘসূত্রিতায় বিচারপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব ভার্চুয়াল আদালত বন্ধ করে স্বাস্ব্যবিধি মেনে নিয়মিত আদালত চালুর দাবি জানান আইনজীবী সমিতির এ নেতা।

বুধবার, ০৫ মে ২০২১ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমজান ১৪৪২

ফেনীতে ভার্চুয়াল আদালতে ১৬১ আসামির জামিন

প্রতিনিধি, ফেনী

ফেনীর আদালতে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১৬১ আসামি জামিন লাভ করেছেন। ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩১৮ জন আসামির জামিন আবেদন শুনানি শেষে ২২০ জনের আবেদন না-মঞ্জুর করে আদালত। ফেনী জেলা জর্জ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভাচুর্য়াল আদালতে এসব জামিন শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। তবে আইনজীবীদের দাবি, যতদ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতা আরোপ করে আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক না করা হলে একদিকে মামলার জট বাঁধবে অন্যদিকে মানুষ ন্যায়বিচার বঞ্চিত হবে।

আদালতের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, লকডাউন পরিস্থিতিতে ১৩ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুধুমাত্র কারাগারে থাকা আসামিদের জরুরি জামিন শুনানি ছাড়া বাকি সব কার্যক্রম স্থগিত করে নির্দেশনা জারি করা হয়। সেই থেকে ফেনীতে অদ্যবধি ভাচুর্য়াল আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা ও দায়রা জর্জ ড. বেগম জেবুননেছার ভার্চুয়াল আদালতে এ সময়ের মধ্যে ১২৫ জন আসামীর জামিন শুনানি নিষ্পত্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ৭২ আসামীর আবেদন না-মঞ্জুর করে আদালত। জেলা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার ১৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ জন আসামীর জামিন শুনানী করে ১৪ জনের আবেদন মঞ্জুর ও ২৬ জনের নামঞ্জুর করেন। একই ভাবে জুডিসশয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের কয়েকটি আদালতে উল্লিখিত সময়ে ২১৬ জনের জামিন শুনানী করা হয়। এদের মধ্যে ৯৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকী ১২২ জনের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর হোসেন জানান, লকডাউনের পর থেকে আদালতে শুধুমাত্র কারাগারে থাকা আসামির জামিন শুনানি চলছে। অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে বিচারপ্রার্থীদের বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে মামলার জটও বাড়ছে। যদিও আদালতের সেবাগ্রহিতা থেকে শুরু করে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল চালু হয়েছে কিন্তু এর দীর্ঘসূত্রিতায় বিচারপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব ভার্চুয়াল আদালত বন্ধ করে স্বাস্ব্যবিধি মেনে নিয়মিত আদালত চালুর দাবি জানান আইনজীবী সমিতির এ নেতা।