চারগুণ বেশি শরণার্থী নেয়ার ঘোষণা দেন বাইডেন

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমালোচনার মুখেও আগের বেঁধে দেয়া সংখ্যা ৪ গুণের বেশি বাড়িয়ে এবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেঁধে দেয়া ১৫ হাজার শরণার্থীর সীমা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত ১৫ দিয়েছিলেন তিনি।

তবে নিজ দলের নেতা ও শরণার্থী অধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, মে মাসে তিনি এই সংখ্যা সংশোধন করবেন।

সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে দেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট নেতা বাইডেন বলেন, আগের প্রশাসন ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে কম ১৫ হাজারের যে সীমা দিয়েছিল, সেটা শরণার্থী সহায়ক জাতি হিসেবে আমেরিকার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা অনেক ভোগান্তির পর উদ্বেগের সঙ্গে নতুন জীবন শুরুর অপেক্ষায় আছেন, তাদের মন থেকে দীর্ঘদিনের সংশয়কে দূর করার জন্য আজকের এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল।

বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো শরণার্থীদের অনেকেই নিজ দেশের সংঘাত-সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে তাদের অনেক পরীক্ষার পরও অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে বাইডেনের ঘোষণা তার আগের পরিকল্পনার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। তার সই করা কংগ্রসে পাঠানো একটি স্মারকলিপিতে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থীকে অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।

সেখানে বলা হয়, আফ্রিকা থেকে ২২ হাজার, পূর্ব এশিয়া থেকে ছয় হাজার, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া থেকে চার হাজার, লাতিন আমেরিকা এ ক্যারিবীয় এলাকার পাঁচ হাজার এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ১৩ হাজার শরণার্থীকে অনুমোদন দেয়া হবে। এ বরাদ্দের বাইরেও আরও ১২ হাজার পাঁচশ শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমোদন দেয়া হবে।

তবে সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া এ অর্থবছরেই এসব শরণার্থীকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, ৬২ হাজার ৫০০ জনকে আমরা এ বছরই নেয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। আমরা গত চার বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এজন্য কিছু সময় লাগবে, কিন্তু সেই কাজ চলছে।’

তার প্রশাসন আগামী বছর শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজার করতে চায় বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি

বুধবার, ০৫ মে ২০২১ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমজান ১৪৪২

চারগুণ বেশি শরণার্থী নেয়ার ঘোষণা দেন বাইডেন

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমালোচনার মুখেও আগের বেঁধে দেয়া সংখ্যা ৪ গুণের বেশি বাড়িয়ে এবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেঁধে দেয়া ১৫ হাজার শরণার্থীর সীমা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত ১৫ দিয়েছিলেন তিনি।

তবে নিজ দলের নেতা ও শরণার্থী অধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, মে মাসে তিনি এই সংখ্যা সংশোধন করবেন।

সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে দেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট নেতা বাইডেন বলেন, আগের প্রশাসন ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে কম ১৫ হাজারের যে সীমা দিয়েছিল, সেটা শরণার্থী সহায়ক জাতি হিসেবে আমেরিকার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যারা অনেক ভোগান্তির পর উদ্বেগের সঙ্গে নতুন জীবন শুরুর অপেক্ষায় আছেন, তাদের মন থেকে দীর্ঘদিনের সংশয়কে দূর করার জন্য আজকের এই পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল।

বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো শরণার্থীদের অনেকেই নিজ দেশের সংঘাত-সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে তাদের অনেক পরীক্ষার পরও অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে বাইডেনের ঘোষণা তার আগের পরিকল্পনার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। তার সই করা কংগ্রসে পাঠানো একটি স্মারকলিপিতে ৬২ হাজার ৫০০ শরণার্থীকে অনুমোদন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।

সেখানে বলা হয়, আফ্রিকা থেকে ২২ হাজার, পূর্ব এশিয়া থেকে ছয় হাজার, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া থেকে চার হাজার, লাতিন আমেরিকা এ ক্যারিবীয় এলাকার পাঁচ হাজার এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ১৩ হাজার শরণার্থীকে অনুমোদন দেয়া হবে। এ বরাদ্দের বাইরেও আরও ১২ হাজার পাঁচশ শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমোদন দেয়া হবে।

তবে সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া এ অর্থবছরেই এসব শরণার্থীকে স্বাগত জানানোর বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, ৬২ হাজার ৫০০ জনকে আমরা এ বছরই নেয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। আমরা গত চার বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এজন্য কিছু সময় লাগবে, কিন্তু সেই কাজ চলছে।’

তার প্রশাসন আগামী বছর শরণার্থী প্রবেশের সীমা বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজার করতে চায় বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বিবিসি