তৃণমূল আসন বেশি পেলেও বিজেপির সঙ্গে ভোটের ব্যবধান বেশি নয় : পর্যবেক্ষক

অনেক কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনার দাবি উঠছে

বিপুল জয়ের ম্যান্ডেট নিয়ে আজ তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১০-৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি রাজভবনে আনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

মমতা বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হবে অনাড়ম্বর। অতিথির সংখ্যাও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এদিকে জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের পারিষদীয় দলনেত্রী হিসেবেও মমতাকই নির্বাচিত করেছে নবনির্বাচিত তৃণমূলের বিধায়করা।

উল্লেখ্য, রাজ্যে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এবার ভোট গ্রহণ হয়েছে ২৯২টি আসনে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুটি আসনের ভোট স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন কিন্তু ফলাফলের নিরিখে দেখা গেছে তৃণমূল ২১৩টি আসন পেয়ে জিতেছে। অন্যদিকে বিজেপি জিতেছে ৭৭টি আসনে। ভোটপ্রপ্তির পরিসংখ্যানে তৃণমূল কংগ্রেস মোট পেয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪২০ ভোট। শতাংশ হিসেবে তারা পেয়েছে ৪৭.৯ ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭১৯ ভোট। অর্থাৎ বিজেপির থেকে তৃনমূল মাত্র ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭১০টি ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। শতাংশের হিসাবে বিজেপি পেয়েছে ৩৮.১ ভাগ ভোট।

সিপিএম পেয়েছে ৪.৭৩ শতাংশ ভোট, তাদের ভোটের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৬। কংগ্রেস পেয়েছে ২.৯৩ শতাংশ ভোট, তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৩১। আর নোটায় ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ, মোট ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮২৭টি ভোট পড়েছে নোটায়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, ভোটের অঙ্কে তৃনমূলের সঙ্গে বিজেপির ভোট প্রপ্তির ব্যবধান খুব ব্যাপক নয়, এত ভোট পেয়েও বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব মনের দিক থেকে এই ফলাফল মেনে নিতে তাদের কষ্ট হচ্ছে।

বোঝা না গেলেও আভাসে তারা যে ভোট পুনর্গণনার দাবির দিকে এগুবে তার খানিকটা ইঙ্গিত মেলে বিজেপি নেতৃত্ব-র কথাবার্তায়। তাদের যুক্তি নন্দিগ্রামসহ ৫টি আসনে ভোট গণনায় বিজেপি প্রার্থীরা পিছিয়ে ছিল, কিন্তু ভোট পুনর্গণনার পর তারা বিজয়ী হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নন্দীগাম আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থী। গণনার শুরু থেকে বেশ কয়েক রাউন্ডের গণনায় শুভেন্দু অধিকারীকে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু বেলার দিকে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখায় এবং কেন্দ্র থেকে একপর্যায়ে মমতাকে বিজয়ী দেখানো হয়। শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে ভোট পুনর্গণনার জোড় দাবি তোলে এবং পুনর্গণার পরে প্রায় দু’হাজার ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যায়। কিন্তু মমতা হেরে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে জোড় করে হারিয়েছে, দরকার হলে আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি জনাব আদালতে।

এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকে রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মীরা। ইতোমধ্যে তাদের হামলায় ৬ জন বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছে। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যজুড়ে বেপরোয়া হিংস্রতা ও হত্যার ব্যাপারটি সবিস্তারে জানান। রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে এই লাগাতার সন্ত্রাসের কথা জানিয়েছে।

এদিকে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যে পৌঁছেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বেলেঘাটা ও সোনারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যাবেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও বিজেপির পার্টি আফিও ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি মহিলা কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতরা। মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে তাদের ওপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতরা।

২ মে ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃনমূলের সহিংসতা ও কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন রাজ্যব্যাপী ধরনার ডাক দিয়েছে বিজেপি । ওইদিন বিজেপির কর্মীরা সব জেলায় এই কর্মসূচি পালন করবে বলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের হারমাদরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের হাজার হাজার বাড়িঘর লুট করা হয়েছ। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছে।

ইতোমধ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয় কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় টুইট করে হুমকি দেন বিজেপির সংসদ সদস্য পরভেশ সাহিব সিংহ। বলেন, নির্বাচনে জিতেই তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কর্মীদের খুন করছে। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। খেয়াল রাখবেন, তৃণমূলের সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়কদের কিন্তু দিল্লি আসতে হবে। আমি আপনাদের সতর্ক করছি। নির্বাচনে হার-জিত হতে পারে কিন্তু খুন ও সহিংসতা নয়।

বুধবার, ০৫ মে ২০২১ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমজান ১৪৪২

আজ মমতার শপথ

তৃণমূল আসন বেশি পেলেও বিজেপির সঙ্গে ভোটের ব্যবধান বেশি নয় : পর্যবেক্ষক

অনেক কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনার দাবি উঠছে

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

বিপুল জয়ের ম্যান্ডেট নিয়ে আজ তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১০-৪৫ মিনিটে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি রাজভবনে আনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

মমতা বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হবে অনাড়ম্বর। অতিথির সংখ্যাও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এদিকে জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের পারিষদীয় দলনেত্রী হিসেবেও মমতাকই নির্বাচিত করেছে নবনির্বাচিত তৃণমূলের বিধায়করা।

উল্লেখ্য, রাজ্যে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এবার ভোট গ্রহণ হয়েছে ২৯২টি আসনে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই দুটি আসনের ভোট স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন কিন্তু ফলাফলের নিরিখে দেখা গেছে তৃণমূল ২১৩টি আসন পেয়ে জিতেছে। অন্যদিকে বিজেপি জিতেছে ৭৭টি আসনে। ভোটপ্রপ্তির পরিসংখ্যানে তৃণমূল কংগ্রেস মোট পেয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪২০ ভোট। শতাংশ হিসেবে তারা পেয়েছে ৪৭.৯ ভোট। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭১৯ ভোট। অর্থাৎ বিজেপির থেকে তৃনমূল মাত্র ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭১০টি ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। শতাংশের হিসাবে বিজেপি পেয়েছে ৩৮.১ ভাগ ভোট।

সিপিএম পেয়েছে ৪.৭৩ শতাংশ ভোট, তাদের ভোটের পরিমাণ ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৬। কংগ্রেস পেয়েছে ২.৯৩ শতাংশ ভোট, তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৩১। আর নোটায় ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ, মোট ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮২৭টি ভোট পড়েছে নোটায়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, ভোটের অঙ্কে তৃনমূলের সঙ্গে বিজেপির ভোট প্রপ্তির ব্যবধান খুব ব্যাপক নয়, এত ভোট পেয়েও বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব মনের দিক থেকে এই ফলাফল মেনে নিতে তাদের কষ্ট হচ্ছে।

বোঝা না গেলেও আভাসে তারা যে ভোট পুনর্গণনার দাবির দিকে এগুবে তার খানিকটা ইঙ্গিত মেলে বিজেপি নেতৃত্ব-র কথাবার্তায়। তাদের যুক্তি নন্দিগ্রামসহ ৫টি আসনে ভোট গণনায় বিজেপি প্রার্থীরা পিছিয়ে ছিল, কিন্তু ভোট পুনর্গণনার পর তারা বিজয়ী হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নন্দীগাম আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থী। গণনার শুরু থেকে বেশ কয়েক রাউন্ডের গণনায় শুভেন্দু অধিকারীকে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়, কিন্তু বেলার দিকে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখায় এবং কেন্দ্র থেকে একপর্যায়ে মমতাকে বিজয়ী দেখানো হয়। শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে ভোট পুনর্গণনার জোড় দাবি তোলে এবং পুনর্গণার পরে প্রায় দু’হাজার ভোটে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যায়। কিন্তু মমতা হেরে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে জোড় করে হারিয়েছে, দরকার হলে আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি জনাব আদালতে।

এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকে রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মীরা। ইতোমধ্যে তাদের হামলায় ৬ জন বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছে। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যজুড়ে বেপরোয়া হিংস্রতা ও হত্যার ব্যাপারটি সবিস্তারে জানান। রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে এই লাগাতার সন্ত্রাসের কথা জানিয়েছে।

এদিকে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যে পৌঁছেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বেলেঘাটা ও সোনারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যাবেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও বিজেপির পার্টি আফিও ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামে বিজেপি মহিলা কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতরা। মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে তাদের ওপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল দুষ্কৃতরা।

২ মে ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃনমূলের সহিংসতা ও কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন রাজ্যব্যাপী ধরনার ডাক দিয়েছে বিজেপি । ওইদিন বিজেপির কর্মীরা সব জেলায় এই কর্মসূচি পালন করবে বলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের হারমাদরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের হাজার হাজার বাড়িঘর লুট করা হয়েছ। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছে।

ইতোমধ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয় কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় টুইট করে হুমকি দেন বিজেপির সংসদ সদস্য পরভেশ সাহিব সিংহ। বলেন, নির্বাচনে জিতেই তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কর্মীদের খুন করছে। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। খেয়াল রাখবেন, তৃণমূলের সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়কদের কিন্তু দিল্লি আসতে হবে। আমি আপনাদের সতর্ক করছি। নির্বাচনে হার-জিত হতে পারে কিন্তু খুন ও সহিংসতা নয়।