পদ্মা সেতু চালুর দিনই ট্রেন চলবে

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মাওয়া থেকে ভাঙ্গা সেকশনের সার্বিক অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ এবং সম্পূর্ণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগামী বছর যখন পদ্মা সেতু চালু হবে একই দিনে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। তিনি জানান, রেল অংশটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরা আছে। তবে আগামী বছর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত কাজ চলছে।

গতকাল মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভায়াডাক্ট-২ অংশটি সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) প্রকল্প পরিচালক ওয়্যাং কুন ও প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কাজের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সূত্র জানায়, গতকাল মাওয়া প্রান্তের পিয়ার এম-১ ও পিএন-১ এর ওপর বক্স গার্ডারের শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ভায়াডাক্ট-২ এর সেগমেন্টাল গার্ডার বসানো হয়েছে। পিবিআরএলপি’র ভায়াডাক্ট-২ এর মোট দৈর্ঘ্য ২৫৮৯ দশমিক ২ মিটার। এ সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার ভায়াডাক্টটির ৬৫টি স্প্যান রয়েছে, এর মধ্যে চারটি স্প্যান ৩৪ মিটার এবং ৬১টি স্প্যান ৩৮ মিটার। সবমিলে ৭৭৬টি সেগমেন্ট রয়েছে। করোনা এবং লকডাউনের মধ্যেও প্রকল্পের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম চলছে।

মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাওয়া, ভাঙ্গা, শিবচর ও জাজিরায় স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা জংশন স্টেশন হবে এবং রেল লাইনের মাধ্যমে চারটি গন্তব্যকে সংযুক্ত করবে। বিদ্যমান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এনে আমরা একে একটি আইকনিক স্টেশনে পরিণত করবো।’

সিআরইসি’র প্রতিনিধি ওয়্যাং কুন বলেন, ‘সিআরইসি অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। যার মধ্যে ছিল প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশার অনুমোদন ও পেমেন্ট প্রদানে দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের কাজে দেড় বছরের কালক্ষেপণ হয়েছে।

বুধবার, ০৫ মে ২০২১ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমজান ১৪৪২

মাওয়ায় রেলমন্ত্রী

পদ্মা সেতু চালুর দিনই ট্রেন চলবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মাওয়া থেকে ভাঙ্গা সেকশনের সার্বিক অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ এবং সম্পূর্ণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগামী বছর যখন পদ্মা সেতু চালু হবে একই দিনে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। তিনি জানান, রেল অংশটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরা আছে। তবে আগামী বছর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত কাজ চলছে।

গতকাল মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভায়াডাক্ট-২ অংশটি সেতুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) প্রকল্প পরিচালক ওয়্যাং কুন ও প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কাজের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সূত্র জানায়, গতকাল মাওয়া প্রান্তের পিয়ার এম-১ ও পিএন-১ এর ওপর বক্স গার্ডারের শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ভায়াডাক্ট-২ এর সেগমেন্টাল গার্ডার বসানো হয়েছে। পিবিআরএলপি’র ভায়াডাক্ট-২ এর মোট দৈর্ঘ্য ২৫৮৯ দশমিক ২ মিটার। এ সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার ভায়াডাক্টটির ৬৫টি স্প্যান রয়েছে, এর মধ্যে চারটি স্প্যান ৩৪ মিটার এবং ৬১টি স্প্যান ৩৮ মিটার। সবমিলে ৭৭৬টি সেগমেন্ট রয়েছে। করোনা এবং লকডাউনের মধ্যেও প্রকল্পের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম চলছে।

মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাওয়া, ভাঙ্গা, শিবচর ও জাজিরায় স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা জংশন স্টেশন হবে এবং রেল লাইনের মাধ্যমে চারটি গন্তব্যকে সংযুক্ত করবে। বিদ্যমান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এনে আমরা একে একটি আইকনিক স্টেশনে পরিণত করবো।’

সিআরইসি’র প্রতিনিধি ওয়্যাং কুন বলেন, ‘সিআরইসি অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। যার মধ্যে ছিল প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশার অনুমোদন ও পেমেন্ট প্রদানে দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের কাজে দেড় বছরের কালক্ষেপণ হয়েছে।