মান্দার ফেরিঘাট-পাঁঠাকাটা সড়ক খানখন্দে ভর্তি : যানচলাচল বন্ধ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট থেকে পাঁঠাকাটা-শিবগঞ্জ রাস্তাটি যুক্ত হয়েছে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে। আত্রাই নদীর পূর্বতীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এটি। যানবাহন চলাচলের জন্য এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০০৫ সালে রাস্তাটিতে কার্পেটিং করা হয়। পরে রাস্তাটি নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করে এলজিইডি। এরপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।

কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। কোথাও কোথাও খোয়া-বালুর আস্তরণ পর্যন্ত নেই। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। আর এতেই মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুপাশের অংশ ভেঙে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে রাস্তার। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে দুই একটি ভ্যান-ভটভটি। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাাটি এখন আর কেউ ব্যবহার করছে না।

দুর্ঘটনা এড়াতে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছে এলাকার মানুষ। রাস্তায় সরেজমিনে যাতায়াত করতে দেখা যায় কিছু ধানের বস্তা নিয়ে একটি ভটভটি স্থানীয় বাজারে যাবে ধান বিক্রয়ের জন্য, এছাড়া একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি বাইসাইকেল ও এলাকার সাধারণ মানুষ বাজারে হেঁটেই চলাচল করতে দেখা গেছে। অথচ একসময় এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও ভটভটিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করত। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অল্প রাস্তা হওয়ায় মান্দা-মহাদেবপুর যাতায়াতের জন্য এ রাস্তাটি ছিল সকলের পছন্দের তালিকায়।

স্থানীয়রা বলেন, রাস্তাটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে তা রক্ষার জন্য বালুবাহী ট্রাক্টর ও ট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। কিন্তু বালুমহালের ইজারাদারগণ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি অত্র এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি তাদের।

মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোরশেদুল হাসান বলেন, এলজিইডির তত্ত্ববাবধানে রাস্তাটি পাকাকরণের কিছুদিন পর নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় দেখভালের বিষয় এখন সওজের। রাস্তাটির বেহালদশার কথা অকপটে স্বীকার করেন নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, রাস্তাটি তার দপ্তরের অধীনে আসার পর টুকটাক কাজ ছাড়া তেমন কিছুই করা হয়নি।

বতর্মানে শিবগঞ্জ বাজার থেকে শিবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার রাস্তায় কাজ চলছে। মান্দা ফেরিঘাট থেকে শিবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তার কাজের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কাজটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৪ রমজান ১৪৪২

মান্দার ফেরিঘাট-পাঁঠাকাটা সড়ক খানখন্দে ভর্তি : যানচলাচল বন্ধ

প্রতিনিধি, মান্দা (নওগাঁ)

image

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট থেকে পাঁঠাকাটা-শিবগঞ্জ রাস্তাটি যুক্ত হয়েছে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে। আত্রাই নদীর পূর্বতীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এটি। যানবাহন চলাচলের জন্য এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০০৫ সালে রাস্তাটিতে কার্পেটিং করা হয়। পরে রাস্তাটি নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করে এলজিইডি। এরপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।

কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। কোথাও কোথাও খোয়া-বালুর আস্তরণ পর্যন্ত নেই। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। আর এতেই মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুপাশের অংশ ভেঙে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে রাস্তার। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে দুই একটি ভ্যান-ভটভটি। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাাটি এখন আর কেউ ব্যবহার করছে না।

দুর্ঘটনা এড়াতে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছে এলাকার মানুষ। রাস্তায় সরেজমিনে যাতায়াত করতে দেখা যায় কিছু ধানের বস্তা নিয়ে একটি ভটভটি স্থানীয় বাজারে যাবে ধান বিক্রয়ের জন্য, এছাড়া একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি বাইসাইকেল ও এলাকার সাধারণ মানুষ বাজারে হেঁটেই চলাচল করতে দেখা গেছে। অথচ একসময় এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও ভটভটিসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করত। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত অল্প রাস্তা হওয়ায় মান্দা-মহাদেবপুর যাতায়াতের জন্য এ রাস্তাটি ছিল সকলের পছন্দের তালিকায়।

স্থানীয়রা বলেন, রাস্তাটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে তা রক্ষার জন্য বালুবাহী ট্রাক্টর ও ট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। কিন্তু বালুমহালের ইজারাদারগণ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি অত্র এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি তাদের।

মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোরশেদুল হাসান বলেন, এলজিইডির তত্ত্ববাবধানে রাস্তাটি পাকাকরণের কিছুদিন পর নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় দেখভালের বিষয় এখন সওজের। রাস্তাটির বেহালদশার কথা অকপটে স্বীকার করেন নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, রাস্তাটি তার দপ্তরের অধীনে আসার পর টুকটাক কাজ ছাড়া তেমন কিছুই করা হয়নি।

বতর্মানে শিবগঞ্জ বাজার থেকে শিবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৭ কিলোমিটার রাস্তায় কাজ চলছে। মান্দা ফেরিঘাট থেকে শিবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রাস্তার কাজের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কাজটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।