রাজধানীর কমলাপুরে ছিনতাইকারীর হ্যাঁচকা টানে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে সুনিতা রানী দাস (৫০) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর ৬টার দিকে মতিঝিল কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নিহত সুনিতা রানী দাসের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায়। স্বামী সুজন চন্দ্র দাসের সঙ্গে তিন সন্তান নিয়ে মুগদা ঋষিপাড়ায় থাকতেন। তিনি মুগদা বৌদ্ধ মন্দিরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন।

নিহতের ভাগিনা সুজিত দাস জানান, গত মঙ্গলবার তার খালা সুনিতা রানী তার ডেমরা বাসায় যান। সেখান থেকে গতকাল ভোরে রিকশাযোগে শান্তিনগর যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তিনিও ছিলেন। শান্তিনগরে একটি দোকানে তাকে কাজে দেবেন বলে তার খালা আগ থেকে কথা বলে রেখেছেন। সুজিত জানান, ভোর ৬টার দিকে তাদের আরোহী রিকশাটি কমলাপুর বাস ডিপোর সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারে থাকা দুই ছিনতাইকারী তার খালার কাঁধে ঝোলানো ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়। তখন রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন সুনিতা রানী। ছিনতাইকারীরা ব্যাগ নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সুনিতা রানীকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান সুজিত। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বেলা সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস জানান, সুজিতকে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার পর সেখান থেকে মন্দিরের কাজে যাওয়ার কথা ছিল তার মায়ের কিন্তু পথিমধ্যে ছিনতাইকারীরা তার মায়ের জীবন কেড়ে নিল। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ঢামেক হাসপাতাল চিকিৎসক জানিয়েছেন, সুনিতা রানী মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে মাথার আঘাত গুরুতর। এতেই তার মৃত্যু হতে পারে। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ছিনতাইকারীসহ প্রাইভেটকার শনাক্তে তাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।