ভারতে ফের রেকর্ড

করোনায় একদিনে মৃত্যু ৩৭৮০ জন

ভারতে করোনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবারও ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। একদিনে কোভিড রোগীর মৃত্যু হিসাবে এই সংখ্যা এখন পযর্ন্ত সর্বোচ্চ।এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৮ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার বেশি। এনডিটিভি

সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮০ জন। ভারতে মোট শনাক্ত দুই কোটি ছয় লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৮টি নমুনা। পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ১১ হাজার ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩৩ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

উল্লেখ্য, জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।এই তিন দেশ ছাড়া বিশ্বের বাকি কোনো দেশের আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ১ কোটি ছাড়ায়নি।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩২ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন নয় কোটি পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৫ জন। এদিকে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপক আকার ধারণ করায় কোভিডের ছোবল থেকে রেহাই মিলছে না বন্য প্রাণীদেরও। প্রথমবারের মতো এবার দেশটিতে সিংহের শরীরেও করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে।

হায়দরাবাদের নেহরু জুলজিক্যাল পার্কের আটটি এশিয়াটিক সিংহের শরীরে কোভিড ধরা পড়েছে। সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সিংহগুলোর আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা ড. সিদ্ধানন্দ কুকৃতী অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে সিংহগুলোর মধ্যে কোভিড লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। এখনও সিসিএমবি থেকে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট হাতে আসেনি। আর তা এলেও ঘোষণা করা ঠিক নয়। সিংহগুলো ভালোই আছে।’

ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (ডব্লিউআরটিসি)-র ডিরেক্টর শিরিষ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর আগে নিউইয়র্কের ব্রংস চিড়িয়াখানায় আটটি বাঘ, সিংহের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। হংকং-এ কুকুর, বিড়ালও আক্রান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, আক্রান্ত সিংহদের খিদে চলে গিয়েছিল। নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল আর তারা কাশছিল। এই লক্ষণগুলো দেখেই এনজেপি চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ তাদের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ৪০ একর এলাকাজুড়ে হায়দরাবাদের নেহেরু জিওলজিক্যাল পার্কের এই চিড়িয়াখানা অবস্থিত শহরের উপকণ্ঠে। পার্কের ১২টি সিংহের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং চারটি পুরুষ সিংহ করোনা সংক্রামিত হয়েছে। চিকিৎসকরা সিংহগুলোর অরোফ্যারিনজিয়াল সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে সিসিএমবি-তে পাঠিয়েছে। সিসিএমবির বিজ্ঞানীরা জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখবেন ভাইরাসের কোন স্ট্রেন রয়েছে সিংহগুলোর শরীরে। স্বভাবতই এতে ধাক্কা খেয়েছে চিড়িখানা কর্তৃপক্ষ। এমওইএফসিসি-র তরফে সারা ভারতে সব চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল পার্ক, স্যাংচুয়ারি, বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনজেপি আপাতত দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে ২৫ জন কর্মচারীর করোনা ধরা পড়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। রাজ্য বন দফতর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, পাখিরালয়, বাঘ প্রকল্প পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। কয়েক দিন আগেই রাজ্য সরকার কোভিডের ঢেউ রুখতে বাজার, দোকানপাট এবং অন্যান্য অফিস-আদালত খোলার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের দিকে এগোলো রাজ্য সরকার। শুধু চিড়িয়াখানা বা অভয়ারণ্যই নয় বরং ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএনআই-এর টুইটার অ্যাকাউন্টে সিংহের করোনা শনাক্ত সংক্রান্ত টুইটে নিজেদের মতামত দিয়েছেন অনেকে ব্যবহারকারী। সরকার আরণ্য পার্থসারথী লিখেছেন, এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সিংহদের আক্রান্ত হওয়ার মানে হলো আসন্ন দিনগুলোতে ভাইরাসটি যে কোনও প্রাণীকে ধরাশায়ী করে ফেলবে। বিমল লখোটিয়া লিখেছেন, অভিনন্দন মানব জাতি। চিড়িয়াখানার ভিতরে বেশ ভালোভাবে বসে থাকা প্রাণীগুলোকেও আপনারা ছাড়েননি।

কার্তিক শর্মা লিখেছেন, এমনকি প্রাণীরাও এখন নিরাপদ নয়। পৃথিবী থেকে পুরো জীবজগৎকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মিশনে নেমেছে কোভিড।

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৪ রমজান ১৪৪২

ভারতে ফের রেকর্ড

করোনায় একদিনে মৃত্যু ৩৭৮০ জন

নতুন শনাক্ত ৩ লাখ ৮২ হাজার

image

ভারতে করোনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবারও ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। একদিনে কোভিড রোগীর মৃত্যু হিসাবে এই সংখ্যা এখন পযর্ন্ত সর্বোচ্চ।এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৮ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৫ হাজার বেশি। এনডিটিভি

সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮০ জন। ভারতে মোট শনাক্ত দুই কোটি ছয় লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ২২৯ জন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৮টি নমুনা। পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ১১ হাজার ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩৩ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

উল্লেখ্য, জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।এই তিন দেশ ছাড়া বিশ্বের বাকি কোনো দেশের আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ১ কোটি ছাড়ায়নি।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩২ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন নয় কোটি পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৫ জন। এদিকে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপক আকার ধারণ করায় কোভিডের ছোবল থেকে রেহাই মিলছে না বন্য প্রাণীদেরও। প্রথমবারের মতো এবার দেশটিতে সিংহের শরীরেও করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে।

হায়দরাবাদের নেহরু জুলজিক্যাল পার্কের আটটি এশিয়াটিক সিংহের শরীরে কোভিড ধরা পড়েছে। সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে সিংহগুলোর আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা ড. সিদ্ধানন্দ কুকৃতী অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে সিংহগুলোর মধ্যে কোভিড লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। এখনও সিসিএমবি থেকে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট হাতে আসেনি। আর তা এলেও ঘোষণা করা ঠিক নয়। সিংহগুলো ভালোই আছে।’

ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (ডব্লিউআরটিসি)-র ডিরেক্টর শিরিষ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর আগে নিউইয়র্কের ব্রংস চিড়িয়াখানায় আটটি বাঘ, সিংহের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। হংকং-এ কুকুর, বিড়ালও আক্রান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, আক্রান্ত সিংহদের খিদে চলে গিয়েছিল। নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল আর তারা কাশছিল। এই লক্ষণগুলো দেখেই এনজেপি চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ তাদের করোনা টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ৪০ একর এলাকাজুড়ে হায়দরাবাদের নেহেরু জিওলজিক্যাল পার্কের এই চিড়িয়াখানা অবস্থিত শহরের উপকণ্ঠে। পার্কের ১২টি সিংহের মধ্যে চারটি স্ত্রী এবং চারটি পুরুষ সিংহ করোনা সংক্রামিত হয়েছে। চিকিৎসকরা সিংহগুলোর অরোফ্যারিনজিয়াল সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে সিসিএমবি-তে পাঠিয়েছে। সিসিএমবির বিজ্ঞানীরা জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখবেন ভাইরাসের কোন স্ট্রেন রয়েছে সিংহগুলোর শরীরে। স্বভাবতই এতে ধাক্কা খেয়েছে চিড়িখানা কর্তৃপক্ষ। এমওইএফসিসি-র তরফে সারা ভারতে সব চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল পার্ক, স্যাংচুয়ারি, বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনজেপি আপাতত দুই দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে ২৫ জন কর্মচারীর করোনা ধরা পড়েছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। রাজ্য বন দফতর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য, পাখিরালয়, বাঘ প্রকল্প পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। কয়েক দিন আগেই রাজ্য সরকার কোভিডের ঢেউ রুখতে বাজার, দোকানপাট এবং অন্যান্য অফিস-আদালত খোলার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের দিকে এগোলো রাজ্য সরকার। শুধু চিড়িয়াখানা বা অভয়ারণ্যই নয় বরং ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএনআই-এর টুইটার অ্যাকাউন্টে সিংহের করোনা শনাক্ত সংক্রান্ত টুইটে নিজেদের মতামত দিয়েছেন অনেকে ব্যবহারকারী। সরকার আরণ্য পার্থসারথী লিখেছেন, এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। সিংহদের আক্রান্ত হওয়ার মানে হলো আসন্ন দিনগুলোতে ভাইরাসটি যে কোনও প্রাণীকে ধরাশায়ী করে ফেলবে। বিমল লখোটিয়া লিখেছেন, অভিনন্দন মানব জাতি। চিড়িয়াখানার ভিতরে বেশ ভালোভাবে বসে থাকা প্রাণীগুলোকেও আপনারা ছাড়েননি।

কার্তিক শর্মা লিখেছেন, এমনকি প্রাণীরাও এখন নিরাপদ নয়। পৃথিবী থেকে পুরো জীবজগৎকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মিশনে নেমেছে কোভিড।