দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের ৬ নেতা আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে হেফাজতের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান উপস্থিত ছিলেন। এতে হেফাজতের চট্টগ্রামের তিনজন এবং ঢাকার তিনজন নেতা অংশ নেন।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলটির নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর আগে হেফাজত নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে শুরু করলে ১৯ এপ্রিলও তারা মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (হেফাজত নেতা) অনেক কথা বলছেন। তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হয়েছে। আর অনুপ্রবেশকারীরা এসব কাজ (জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর) করেছে।
আপনি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের কী বলেছেন জিজ্ঞাসা করলে ফরিদুল হক খান বলেন, উনারা উনাদের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। আবার সন্দেহ করে কাউকে ধরলেও ছেড়ে দেয়া হয়। যেসব নেতা এসেছিলেন তাদের নামে মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনে হয় নেই। থাকলে তো আসত। বৈঠক শেষে হেফাজতের বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হেফাজতের নেতারা গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে ঢোকেন। বের হয়ে আসেন রাত ১২টার দিকে। নুরুল ইসলাম জিহাদির ছেলে মাওলানা রাশেদ বলেন, চট্টগ্রামের তিন নেতার পাশাপাশি তার বাবাসহ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, হেফাজতের নেতা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মুফতি মাওলানা জসিমউদ্দীন, মাওলানা ইয়াহিয়া, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা মাইনুদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এসেছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৪ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের ৬ নেতা আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে হেফাজতের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান উপস্থিত ছিলেন। এতে হেফাজতের চট্টগ্রামের তিনজন এবং ঢাকার তিনজন নেতা অংশ নেন।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলটির নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এর আগে হেফাজত নেতাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে শুরু করলে ১৯ এপ্রিলও তারা মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (হেফাজত নেতা) অনেক কথা বলছেন। তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হয়েছে। আর অনুপ্রবেশকারীরা এসব কাজ (জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর) করেছে।
আপনি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের কী বলেছেন জিজ্ঞাসা করলে ফরিদুল হক খান বলেন, উনারা উনাদের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। আবার সন্দেহ করে কাউকে ধরলেও ছেড়ে দেয়া হয়। যেসব নেতা এসেছিলেন তাদের নামে মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনে হয় নেই। থাকলে তো আসত। বৈঠক শেষে হেফাজতের বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মাদ্রাসা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হেফাজতের নেতারা গত মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে ঢোকেন। বের হয়ে আসেন রাত ১২টার দিকে। নুরুল ইসলাম জিহাদির ছেলে মাওলানা রাশেদ বলেন, চট্টগ্রামের তিন নেতার পাশাপাশি তার বাবাসহ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, হেফাজতের নেতা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মুফতি মাওলানা জসিমউদ্দীন, মাওলানা ইয়াহিয়া, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা মাইনুদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এসেছিলেন।