এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনা ৩৯৭টি প্রাণ ঝরলো ৪৫২

লকডাউনের মধ্যেও গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে ৩৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫২ জন নিহত এবং ৫১৯ জন আহত হয়েছেন। গত মার্চ মাসে ৪০৯টি দুর্ঘটনায় ৫১৩ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫৪ জন। এপ্রিল মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছে গড়ে ১৫ দশমিক ০৬ জন। এই হিসাবে এপ্রিল মাসে প্রাণহানি কমেছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। লকডাউনের মধ্যে সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ এবং মানুষের যাতায়াত যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত, তারপরও দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই হার চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

এর মধ্যে ১৪৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৮ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে, ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬৬টি গ্রামীণ সড়কে, ৩১টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭টি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাসমূহের ৫৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯২টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৮টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৪টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫২১টি। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১২টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৩৭ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ২০টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কারণে দুঘর্টনা ঘটছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ট্রাক এবং মোটরসাইকেল চরম হুমকি হয়ে উঠেছে।

আরও খবর
সারাদেশে নিম্নমানের ভেজাল সেমাই বাজারে
চীনের উপহারের ৫ লাখ টিকা আসছে ১২ মে’র মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে শপিংমলগুলোতে চরম অরাজকতা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়
করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া
তৃতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিলেন মমতা
সরকারকে ফাঁকি দেয়া যায় মৃত্যুকে নয় : কাদের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাদের মুক্তির জন্য হেফাজতের সাক্ষাৎ
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে আ’লীগ : তথ্যমন্ত্রী
মুনিয়া হত্যার বিচার দাবিতে কুমিল্লায় প্রতিবাদ সমাবেশ
দোকানপাট শপিংমল খোলা রাত ৮টা পর্যন্ত

বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৪ রমজান ১৪৪২

এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনা ৩৯৭টি প্রাণ ঝরলো ৪৫২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

লকডাউনের মধ্যেও গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে ৩৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫২ জন নিহত এবং ৫১৯ জন আহত হয়েছেন। গত মার্চ মাসে ৪০৯টি দুর্ঘটনায় ৫১৩ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫৪ জন। এপ্রিল মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছে গড়ে ১৫ দশমিক ০৬ জন। এই হিসাবে এপ্রিল মাসে প্রাণহানি কমেছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। লকডাউনের মধ্যে সারাদেশে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ এবং মানুষের যাতায়াত যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত, তারপরও দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির এই হার চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

এর মধ্যে ১৪৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৮ জন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে, ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬৬টি গ্রামীণ সড়কে, ৩১টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭টি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাসমূহের ৫৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯২টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৮টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৪টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৬টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫২১টি। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১২টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৩৭ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ২০টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কারণে দুঘর্টনা ঘটছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ট্রাক এবং মোটরসাইকেল চরম হুমকি হয়ে উঠেছে।